ওষুধ শিল্প। বাংলাদেশর এক গৌরব ও অহংকারের নাম। বাংলাদেশের তৈরিকৃত ওষুধ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সুনামের সাথে রপ্তানি করা হচ্ছে।
এমন সোনালি গৌরবের প্রধান অংশীদার এই বাংলার একঝাক ফার্মাসিস্ট, যারা কিনা দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরম মমতায় তৈরি করেন লক্ষ কোটি মানুষের জীবন রক্ষাকারী পাথেয়।
কিন্তু দেশের সেই সোনালি সন্তানদের কি যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে? যে সূর্য সন্তানদের জন্য ওষুধ শিল্প আজ গর্বের শিল্পে পরিচিতি লাভ করেছে,সেই সূর্য সন্তানরাই আজ সবচেয়ে বঞ্চিত,অবহেলিত। এটাই কি তাদের প্রাপ্য ছিল?
আমাদের এই দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর মত সুনামধন্য ১২ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সহ মোট ৩৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিশেষায়িত প্রপেশনাল সাবজেক্টি পড়ানো হয়।
দেশের অন্যতম মেধাবীরা আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে এই বিশেষায়িত সাবজেক্টি পড়ে থাকেন।কিন্তু ফার্মাসিস্টদের প্রতি আমাদের সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে অনেক ফার্মাসিস্ট বিদেশে পাড়ি জমান।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) এর মতে,উন্নত স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত করার জন্য,দেশের মোট ফার্মাসিস্টের ৫৫% কমিউনিটি ফার্মাসি তে নিয়োগ দেওয়া উচিত।
কিন্তু আমাদের দেশে নেই কোন কমিউনিটি ফার্মাসি।বি,সি,এস এ ফার্মাসিস্টদের জন্য নেই কোন কোটার ব্যবস্থা,নেই তেমন কোন সরকারি চাকুরীর ব্যবস্থা।
এই বৈষম্য আর কত দিন? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবার অতন্দ্র প্রহরী ফার্মাসিস্টদের যারা স্বাস্থ্যসেবার এক মহান ব্রত নিয়ে দেশ ও মানব জাতিকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে, সে সব ধূমকেতুদের যথাযথ মূল্যায়ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিকট জোর দাবি ও আকুতি জানাচ্ছি।
লেখক: তানভীর আহমেদ রাসেল
শিক্ষার্থী, ফার্মেসী বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।