অ আ অক্ষর চিনতে না পারার অপরাধে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রকে ক্লাসে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পাটুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপালী রাণী সরকার ডলি’র বিরুদ্ধে । আহত ছাত্রের নাম কাশেম (৫)। প্রধান শিক্ষকের বেতের আঘাতে কাশেমের ডান হাতের কব্জি ফুলে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষকের দাবি, সেদিন ওই ক্লাসেই তিনি যাননি।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের পাটুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় কাশেমের বাবা সেদিনই ওই প্রধান শিক্ষকের কাছে এবং আজ শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
আহত কাশেমের বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের পাটুরিয়া গ্রামে।
শিশু কাশেমের বাবা কালাম খন্দকার জানান, ‘এ বছরের জানুয়ারি মাসে ওই স্কুলে তার ছেলে কাশেমকে ভর্তি করান। তার ছেলে এখনও অক্ষর চিনে উঠতে পারেনি। গত বৃহস্পতিবার সকালে কাশেম স্কুলে যায়। ছেলের কাছে শুনেছেন, প্রধান শিক্ষক দিপালী রাণী সরকার ডলি এদিন তাদের বাংলা ক্লাস নেন। তিনি ক্লাসের আর সবার মতো কাশেমকেও অ আ দেখিয়ে অক্ষরগুলো চেনে কিনা তা জিজ্ঞাসা করেন। কাশেম অক্ষর না চেনায় পড়া বলতে পারেনি। এজন্য তিনি কাশেমকে বেত দিয়ে মার দিলে সেটি তার ডান হাতের কব্জিতে লাগে। কাশেমের প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে অসুস্থ হয়ে যায়। তার সহপাঠী ও আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী কাশেমকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ছেলেকে মধুখালী হাসপাতালে নিয়ে যাই। কব্জি ফুলে যাওয়ায় চিকিৎসক তার হাতে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছেন।’
কালাম খন্দকার আরও বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাশেমকে কেন মারধর করলেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা ডলি ঘটনাটি অস্বীকার করেন। তিনি আমাকে বলেন, তোমার ছেলেকে নিয়ে গিয়ে অন্য স্কুলে পড়াও, এ স্কুলে আর পড়ানো হবে না। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’