ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বাবরের জীবন থেকে ১৭ বছর কেড়ে নেয় ‘প্রথম আলো’ সোমবার থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাপমুক্ত প্রশাসন এবং ড. ইউনূসের দর্শন ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব

একটা জ্বীনের বাদশার আত্মকাহিনী

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • / 77
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তখন রাত ২ টা,
আমি গভীর নিদ্রায়। হঠাৎ মোবাইলের রিং বেজে উঠল।
ঘুম ঘুম চোখে ফোনটা রিসিভ করলাম।
– হ্যালো!
– আসসালামু আলাইকুম আমি জ্বীনের বাদশা! (একটা ভারী গলায়)
-ও আচ্ছা, (চোখে প্রচন্ড ঘুম)
মোবাইলটা রুপন্তীর আম্মুর দিকে এগিয়ে দিয়ে,
– এই রুপন্তীর আম্মু,এই, উঠ! ধরো তোমার ফোন।

রুপন্তীর আম্মু কথা বলে, আমাকে একধাক্কায় উঠিয়ে দিয়ে বলল,
– এই এই উঠেন! এটা বুঝি আমার ফোন ?
– না মানে, শাশুড়ি আম্মার নাম্বারটা আমি জ্বীনের বাদশা দিয়ে সেভ করে রাখছিলাম। তাই সরি!
– ইউ!!! (রেগে গিয়ে)
– আচ্ছা দাড়াও জিজ্ঞেস করে নিই।
ফোনটা লাউডস্পীকারে দিয়ে,
– হ্যা ভাই, বলেন কি যেন বলছিলেন?
– আমি জ্বীনের বাদশা। আপনার নামে সাতটি স্বর্ণের ডেক উঠিয়াছে। যাহা আপনি নিজে চারটি রেখে বাকি তিনটি অসহায় গরীবের মাঝে বিলি করে দিবেন। আমি কাদেমের মোবাইল থেকে ফোন করিয়াছি।

– জ্বীন সাহেব, সাত ডেক এ কিচ্ছু হবেনা আমার শশুরবাড়ির লোকেরাই সব সাবাড় করে দিবে , আপনি চিনেননা তাদের। আরেকটু বেশি করে পাঠানো যায় না?

– আপনি একজন জ্বীনের বাদশাহর সাথে কথা বলছেন কিন্তু, আর স্বর্ণের ডেকগুলো পেতে আপনাকে দু রাকাত নামাজ পরে পশ্চিম দিকে ফিরে ফুঁক মারতে হবে। তারপর কাদেম সাহেবের মাজারে একটা জায়নামাজ পাঠাতে হবে। আপনি এতো দূরে জায়নামাজ দিতে পারবেন না তাই কাদেম সাহাবের নাম্বার এক হাজার টাকা বিকাশ করে দিলে হবে।

-আরে জ্বীনের বাদশাহ ভাই আগে আপনি ডেক পাঠান। ডেক দেখে আমরা টাকা পাঠামু। ওইদিন এভাবে টাকা আগে দিয়ে অনলাইন ঘড়ি অর্ডার করছিলাম। ধরা খাইছি।
-একজন জ্বীনের বাদশা আপনার সাথে কথা বলতে আপনি ভয় পাচ্ছেন না?
– আরে ভাই, পাঁচ বছর ধরে আস্ত একটা জ্বীনের সাথে দিব্যি খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি এতে আপনার কি মনে হয় ভয় জিনিসটা থাকে?
রুপন্তীর আম্মু আবার রেগে গিয়ে।
– কি বললেন আমি জ্বীন?
– কেন, ঘুমানোর সময়ও যদি এত্তোগুলা আটা ময়দা মেখে ঘুমাও দেখতে তো মনে হয় সাতখাত জ্বীন। আর তোমার মোটাতাজা ভাই যে পরিমাণ খাই কোন জ্বীনের চেয়ে কম না। আর শাশুড়ি আম্মা আসলেই জ্বীনের বাদশা, সারাদিন পান চিবুতে থাকে আর আমার চৌদ্দগোষ্ঠীসহ উদ্ধার করে বেড়ায়, পুরা জ্বীনের খান্দান তোমরা।

হ্যালো হ্যালো, আমার কথা শুনছেননা, আমি জ্বীনের বাদশা। আপনারা দয়া করে ঝগড়া থামান।
– আরে, মিয়া রাখেন কনফিউজড কইরেন না। আমার জায়গায় আসলে বুঝতেন।
– হ ভাই, আমারও অবস্থা একই।
সকাল বিকাল রাইত দুপুরে বউয়ে দেয় ঠেলা,
কই বউ পোষার মুরোদ নাই তুই বিয়া কইরছস কেলা। তাই আমি জ্বীনের বাদশা সাজি গভীর রাত্রবেলা।
ট্যুট ট্যুট ট্যুট…….

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

একটা জ্বীনের বাদশার আত্মকাহিনী

আপডেট সময় : ০৩:১২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

তখন রাত ২ টা,
আমি গভীর নিদ্রায়। হঠাৎ মোবাইলের রিং বেজে উঠল।
ঘুম ঘুম চোখে ফোনটা রিসিভ করলাম।
– হ্যালো!
– আসসালামু আলাইকুম আমি জ্বীনের বাদশা! (একটা ভারী গলায়)
-ও আচ্ছা, (চোখে প্রচন্ড ঘুম)
মোবাইলটা রুপন্তীর আম্মুর দিকে এগিয়ে দিয়ে,
– এই রুপন্তীর আম্মু,এই, উঠ! ধরো তোমার ফোন।

রুপন্তীর আম্মু কথা বলে, আমাকে একধাক্কায় উঠিয়ে দিয়ে বলল,
– এই এই উঠেন! এটা বুঝি আমার ফোন ?
– না মানে, শাশুড়ি আম্মার নাম্বারটা আমি জ্বীনের বাদশা দিয়ে সেভ করে রাখছিলাম। তাই সরি!
– ইউ!!! (রেগে গিয়ে)
– আচ্ছা দাড়াও জিজ্ঞেস করে নিই।
ফোনটা লাউডস্পীকারে দিয়ে,
– হ্যা ভাই, বলেন কি যেন বলছিলেন?
– আমি জ্বীনের বাদশা। আপনার নামে সাতটি স্বর্ণের ডেক উঠিয়াছে। যাহা আপনি নিজে চারটি রেখে বাকি তিনটি অসহায় গরীবের মাঝে বিলি করে দিবেন। আমি কাদেমের মোবাইল থেকে ফোন করিয়াছি।

– জ্বীন সাহেব, সাত ডেক এ কিচ্ছু হবেনা আমার শশুরবাড়ির লোকেরাই সব সাবাড় করে দিবে , আপনি চিনেননা তাদের। আরেকটু বেশি করে পাঠানো যায় না?

– আপনি একজন জ্বীনের বাদশাহর সাথে কথা বলছেন কিন্তু, আর স্বর্ণের ডেকগুলো পেতে আপনাকে দু রাকাত নামাজ পরে পশ্চিম দিকে ফিরে ফুঁক মারতে হবে। তারপর কাদেম সাহেবের মাজারে একটা জায়নামাজ পাঠাতে হবে। আপনি এতো দূরে জায়নামাজ দিতে পারবেন না তাই কাদেম সাহাবের নাম্বার এক হাজার টাকা বিকাশ করে দিলে হবে।

-আরে জ্বীনের বাদশাহ ভাই আগে আপনি ডেক পাঠান। ডেক দেখে আমরা টাকা পাঠামু। ওইদিন এভাবে টাকা আগে দিয়ে অনলাইন ঘড়ি অর্ডার করছিলাম। ধরা খাইছি।
-একজন জ্বীনের বাদশা আপনার সাথে কথা বলতে আপনি ভয় পাচ্ছেন না?
– আরে ভাই, পাঁচ বছর ধরে আস্ত একটা জ্বীনের সাথে দিব্যি খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি এতে আপনার কি মনে হয় ভয় জিনিসটা থাকে?
রুপন্তীর আম্মু আবার রেগে গিয়ে।
– কি বললেন আমি জ্বীন?
– কেন, ঘুমানোর সময়ও যদি এত্তোগুলা আটা ময়দা মেখে ঘুমাও দেখতে তো মনে হয় সাতখাত জ্বীন। আর তোমার মোটাতাজা ভাই যে পরিমাণ খাই কোন জ্বীনের চেয়ে কম না। আর শাশুড়ি আম্মা আসলেই জ্বীনের বাদশা, সারাদিন পান চিবুতে থাকে আর আমার চৌদ্দগোষ্ঠীসহ উদ্ধার করে বেড়ায়, পুরা জ্বীনের খান্দান তোমরা।

হ্যালো হ্যালো, আমার কথা শুনছেননা, আমি জ্বীনের বাদশা। আপনারা দয়া করে ঝগড়া থামান।
– আরে, মিয়া রাখেন কনফিউজড কইরেন না। আমার জায়গায় আসলে বুঝতেন।
– হ ভাই, আমারও অবস্থা একই।
সকাল বিকাল রাইত দুপুরে বউয়ে দেয় ঠেলা,
কই বউ পোষার মুরোদ নাই তুই বিয়া কইরছস কেলা। তাই আমি জ্বীনের বাদশা সাজি গভীর রাত্রবেলা।
ট্যুট ট্যুট ট্যুট…….