চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি শ্যালোমেশিন ঘরে তাকে ধর্ষণ করা হয়। গুরুতর আহত ওই শিশুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে ধর্ষক আহম্মেদ আলী। ধর্ষক আহম্মদ আলী পাইকপাড়া গ্রামের মারফত আলীর ছেলে।তাকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানায়, পাইকপাড়া গ্রামের ওই শিশু কন্যা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে বাড়ির পাশের খোলা জায়গায় খেলা করছিল। এ সময় আহম্মদ আলী মুরগী ধরে দেবার লোভ দেখিয়ে ওই শিশুটিকে শ্যালোমেশিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
বাড়ি ফিরে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিভাবকদের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি শিকার করে। দ্রুত শিশুটিকে তার পরিবারের লোকজন রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: আবু এহসান মো: ওয়াহেদ রাজু জানান, রাত ১২ টার দিকে আমরা ওই শিশুটিকে ভর্তি করে নেই। শুক্রবার হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।
এদিকে, পাইকপাড়া গ্রামে তৃতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রামবাসী। তারা ঘটনার পরই ধর্ষক আহম্মেদ আলীকে আটকের চেষ্টা করলে সে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, ধর্ষককে গ্রেফতারে আমরা ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছি। খুব শীঘ্রই ধর্ষককে আইনের আওতায় আনা হবে