প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দিল্লি সফরে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় এই সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হবে। ওই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। এ মুহূর্তে আসামের এনআরসি, তিস্তার পানি, বাণিজ্যে স্বেচ্ছাচারিতা, রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হঠাৎ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ, ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে শিক্ষা দেয়া এবং এনআরসি ইস্যুতে অহেতুক ‘বাংলাদেশের নাম’ টেনে আনায় পরিস্থিতি কিছুটা হলেও জটিল হয়ে গেছে।
আবার কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান এখন মুখোমুখি তখন দিল্লি সফরের আগের দিন শেখ হাসিনাকে ফোন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু’র ‘শাহজ কমেন্টস, উত্তর প্রদেশ ডেভেলপমেন্টস কাস্ট এ শ্যাডো অন হাসিনাজ ভিজিট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র ‘বাংলাদেশি নাগরিক, অনুপ্রবেশকারী ও বিদেশি অভিবাসীকে তাড়িয়ে দেয়া’র ঘোষণা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের ওপর ‘ছায়া’ ফেলেছে। শেখ হাসিনার ভারত সফর উপলক্ষে গত ১ অক্টোবর দিল্লিতে কর্মরত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি জানান, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হবে ৫ অক্টোবর। যোগাযোগ, সংস্কৃতি বিনিময়, কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যুব ও ক্রীড়া, আকাশ সেবা, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। তিনি তিস্তা, রোহিঙ্গা ও আসামের নাগরিক পুঞ্জি ইস্যু নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে আমরা কোনো ধারণা পোষণ করতে পারছি না’। গতকাল ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন ১০ থেকে ১২টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। তার মতে যুব ও ক্রীড়া, সংস্কৃতি, নৌ-পরিবহন, অর্থনীতি, সমুদ্র গবেষণা, পণ্যের মান নির্ধারণ, বাণিজ্য, শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাখাতে সমঝোতা সই হতে পারে। এছাড়াও সীমান্ত হত্যা প্রতিরোধ, উন্নয়ন-জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা হতে পারে’। ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর কোনোটিতে ১২টি, কোনোটিতে ১৬টি এবং কেউ লিখেছে ১৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।