১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই বাস্তিল দুর্গের পতনের খবরপালতোলা জাহাজে করে মাদ্রিদে পৌছেছিল ১৩ দিনপর । কারণ আমাদের কাছে খুব পরিষ্কার । তখন ছিলনা আজকের প্রযুক্তির সর্বগামিতা । ছিল নাউড়োজাহাজ, বিমান কিংবা দ্রুতগামী জাপানি ট্রেনকিংবা শব্দের চেয়ে সেকেন্ডে অধিকতর দ্রুতগামীবোমারু বিমান । তবে সুস্থ ছিল সবাই প্রযুক্তিরভয়াবহতা থেকে ।
বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছুতৈরি করে জীবনমানকে আরো উন্নত থেকে উন্নততরকরতে গিয়ে জীবনের ও প্রকৃতির যা অবস্থা, তা আজআমাদের মাঝে স্পষ্ট । আর এ থেকে মুক্তির কথাবলে গিয়েছিল চাইনিজ দার্শনিকরা সেই যিষুখ্রিস্টেরজন্মের আগে । আর সত্তোর দশকের দিকে এসে‘’প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা ‘’ বিষয়ক ভাবনার পথিকৃত“দি ইকোলজিস্টের“ প্রতিষ্টাতা সম্পাদক গোল্ডস্মিথডাক দিয়ে বলেছিলেন– যন্ত্র, দূষন ও ভোগস্বর্বস দুনিয়াথেকে প্রাকৃতিক জগতে ফেরার ।
আর এই প্রযুক্তি থেকে প্রকৃতিতে ফেরার ট্রাম্পকার্ডটিই হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান পশ্চিমা রাজনীতিরচাবিকাঠি ।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে প্রযুক্তির সর্বশেষ বিস্ফোরণ লিটলবয় ও ফ্যাটম্যান ঘটলেও বিশ্ববাসি যে শিক্ষা নিয়েছেতা ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়ারই শামিল বলাযায় ।
বর্তমানে লিটলয়, ফ্যাটম্যানের আশংকা না থাকলেওরাশিয়ার ফাদার অব অল বোম্স, আমেরিকার মাদারঅব অল বোম্স, উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র প্রতিযোগিতা, চিনের অস্ত্র মোহড়া প্রতিনিয়তই কাপিয়ে তুলছে এইবিশ্বকে । আর তাই আমাদের সামনে বারবার উঠেআসছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষনাটি ।যেখানে তারা আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকদের তাগিদদিয়ে বলেছিলেন “সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হলে এটাই হতেপারে মানুষের জন্য শেষ শতাব্দি“ ।
প্রযুক্তির এইসব ভয়াবহ দিকগুলো সামনে আসলেওবারবার অধরা থেকে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কু-প্রভাব। যা তৈরি করা হয়েছিল সামাজিকযোগাযোগের জন্য, আজ তাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহারহচ্ছে অসামাজিক কাজের জন্য ।
বর্তমানের তরুণ প্রজন্ম ষোল ঘন্টা সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করলেও এ্যাপল প্রধাণ টিমকুক চান না তাঁর ভাতিজা এগুলো ব্যাবহার করুক ।
ফেসবুকের লোভনীয় কারাগারে যুব সমাজ স্বেচ্ছায়রাত কাটানোর কু-প্রভাব বর্তমানে আমাদের কর্মস্থলেদিবালোকের মত স্পষ্ট যে, কাজে তারা অমোনোযোগি, মেজাজে ভারসাম্যহীন ও খিটখিটে, একগোয়েমি, সর্বোপরি তৈরি হচ্ছে মানসিক বৈকল্য । যা নতুন ভাবেচিন্তা করতে উদ্বোদ্ধ করছে আমাদের এই প্রযুক্তিকেকোথায় রাখব ।
তাই এখনি সময় এসেছে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিককাজটি করার । অন্যথায় ভবিষতে আমরা যে প্রজন্মপাব তা হবে সম্পূর্ণ অকর্মঠ এক প্রজন্ম ।
(সাদিকুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,সাভার,o