বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ পরীক্ষা করে ভয়াবহ অনিয়ম পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। স্বর্ণের চাকতি হয়ে গেছে মিশ্র ধাতু। ২৪ থেকে ২০ ক্যারেটের স্বর্ণের বেশিরভাগই এখন ১৮ ক্যারেটের।
মোট ৩ কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কারে গরমিল পাওয়া গেছে বলে জানানো হয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইঁয়া।
২০১৫ সালে কাস্টম হাউসের গুদাম কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ একটি স্বর্ণের চাকতি এবং আংটি বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ওই চাকতি এবং আংটি যথাযথ ব্যক্তিকে দিয়ে পরীক্ষা করে ৮০ শতাংশ বিশুদ্ধ স্বর্ণ হিসেবে প্রত্যয়নপত্র দেয়। কিন্তু দুই বছর পর পরিদর্শন দল ওই চাকতি ও আংটি পরীক্ষা করলে তাতে স্বর্ণ পাওয়া যায় সাড়ে ৪৬ শতাংশ।