ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ট্রাম্পের জয় অস্বস্তি বাড়াচ্ছে ইউনূসের সাকিব আল হাসানের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ ঢাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীরা, প্রতি শিফট ৫০০ টাকা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৯ নির্দেশনা, সচিবদের চিঠি গান-বাজনার আড়ালে তাপসের যত কুকীর্তি গণ-অভ্যুত্থানের দিনগুলো : গোয়েন্দাদের যেভাবে বিভ্রান্ত করতেন সমন্বয়করা কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার কাছে জিম্মি হবে না বাংলাদেশ জীবিকা হারিয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে সেন্টমার্টিনের মানুষ বাণিজ্য রুট পরিবর্তন করে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি, ভারতের মাথায় হাত বাফুফের আর্থিক অনিয়মের অডিট হবে: উপদেষ্টা আসিফ চুন্নুর বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করে যা বললেন হাসনাত বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা আগামীতে কাকে ক্ষমতায় বসাবে: হাসনাত আবদুল্লাহ আপার পথে জাপা – হাসনাত আমদানি পণ্য ও ডলারের দাম কমার প্রভাব নেই বাজারে শনিবার কাকরাইল ও আশপাশে সভা-মিছিল নিষিদ্ধ ইসির সার্চ কমিটিতে তাহসানের মা মেট্রোরেলের এমআরটি পাস রেজিস্ট্রেশন বন্ধ বাংলাদেশ মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ: ড. ইউনূস ‘রাজনীতিতে যোগ দেওয়া, দল গঠনের ইচ্ছা নেই: ডঃ ইউনূস

বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর এ যাবার পুর্বে জেনে নিন?

সারফিন এ জান্নাত
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২ ৮১ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সম্প্রতি খুবই জনপ্রিয় এবং প্রচারিত একটি জায়গা বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর বা মিলিটারি মিউজিয়াম। এই প্লেসের বিষয়ে সবারই খুব পজিটিভ রিভিউ পাওয়া যায়। কিন্তু যেই নেগেটিভ দিকটা নিয়ে কখনো কেউ কিছু লিখে না সেটা জানানোর জন্যই লেখা:

১. তাদের সময় ব্যবস্থাপনা খুবই অসন্তোষজনক। তাদের গ্যালারি ওপেন সময় হচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা। মধ্যবর্তী সময়ে টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকবে। আপনি ভাবতেই পারেন আপনি ভিতরে প্রবেশ করেছেন এবং তাদের ক্লোজিং সময় অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬টার যেকোনো সময়ে আপনি বের হতে পারবেন। কিন্তু বিষয়াটা এরকম নয়। আপনি যদি ১২ঃ৪০ মিনিটেও ভিতরে প্রবেশ করেন, ১২ঃ৪৫ মিনিটে গ্যালারির লাইট অফ করে গ্যালারি বন্ধ করে দিবেন। এমনকি ভিতরে আপনি থাকতে পারবেন না। হয় আপনি খোলা আকাশের নিচে বসবেন অথবা তাদের রেস্টুরেন্টে অথবা বের হয়ে যাবেন।

২. সঠিক তথ্য প্রদান না করাঃ গ্যালারির লাইট ১২ঃ৪৫ এ বন্ধ করে দেয়া হয়। আপনি যদি ১২ঃ৪৫ এও টিকেট কাটেন, তারা আপনাকে জানাবে না যে পরবর্তী সময় অর্থাৎ বিকাল ৩টায় আসতে। আপনি ৫০ টাকা করে ৪/৫টা টিকেট কিনে, পার্কিং ফি দিয়ে বের হয়ে যাবেন, বিষয়টা অবশ্যই ভালো লাগবে না। কারন আপনি একবার বের হয়ে গেলে পুনরায় ঢুকতে নতুন করে টিকেট কাটতে হবে। আর এতো গরমে দুই ঘন্টা বাহিরে বেঞ্চে বসে থাকা সম্ভব হয় না।

৩. অতিরিক্ত খাবারের দামঃ আপনি ভাবতে পারেন দুই ঘন্টা বা লাঞ্চের সময় আপনি তাদের রেস্টুরেন্টে থাকবেন। কিন্তু অতিরিক্ত দাম হওয়ায় সেখানে বসা সম্ভব হয় না।

৪. ক্যামেরা/ পানির বোতল নেয়া নিষেধ ঃ আপনি নিজের পছন্দের কোনো ফ্লাস্কে পানি নিয়ে গেলে সেটি বাহিরে রেখে যেতে হবে। এবং গেটে রাখা কোনো জিনিসের দায়ভার তাদের নয়। তাই একান্ত পানির প্রয়োজন হলে ১৫টাকা দামের পানির বোতল নিন। গেট দিয়ে ঢোকার সময় তারা আপনার সামনেই ডাস্টবিনে বোতল ফেলে দিবেন। এছাড়া ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করলেও কোনো DSLR ক্যামেরা নেয়ার পারমিশন নেই।

তাদের এই কয়টি দিকের মান ভালো করলে ঘরের কাছেই এমন সুন্দর একটি যায়গা সুন্দরভাবে উপভোগ করা যেতো। নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ১৩০টাকা দিয়ে (৩০টাকা বাইক পার্কিং) প্রবেশ করেই বের হয়ে যাওয়া মোটেও ভালো লাগে নি। প্রথম ফ্লোর ছাড়া কিছু দেখতে পারি নি বা নিচের দুটি ছবি ছাড়া আর কোনো ছবি তুলতে পারি নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর এ যাবার পুর্বে জেনে নিন?

আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২

 

সম্প্রতি খুবই জনপ্রিয় এবং প্রচারিত একটি জায়গা বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর বা মিলিটারি মিউজিয়াম। এই প্লেসের বিষয়ে সবারই খুব পজিটিভ রিভিউ পাওয়া যায়। কিন্তু যেই নেগেটিভ দিকটা নিয়ে কখনো কেউ কিছু লিখে না সেটা জানানোর জন্যই লেখা:

১. তাদের সময় ব্যবস্থাপনা খুবই অসন্তোষজনক। তাদের গ্যালারি ওপেন সময় হচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা। মধ্যবর্তী সময়ে টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকবে। আপনি ভাবতেই পারেন আপনি ভিতরে প্রবেশ করেছেন এবং তাদের ক্লোজিং সময় অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬টার যেকোনো সময়ে আপনি বের হতে পারবেন। কিন্তু বিষয়াটা এরকম নয়। আপনি যদি ১২ঃ৪০ মিনিটেও ভিতরে প্রবেশ করেন, ১২ঃ৪৫ মিনিটে গ্যালারির লাইট অফ করে গ্যালারি বন্ধ করে দিবেন। এমনকি ভিতরে আপনি থাকতে পারবেন না। হয় আপনি খোলা আকাশের নিচে বসবেন অথবা তাদের রেস্টুরেন্টে অথবা বের হয়ে যাবেন।

২. সঠিক তথ্য প্রদান না করাঃ গ্যালারির লাইট ১২ঃ৪৫ এ বন্ধ করে দেয়া হয়। আপনি যদি ১২ঃ৪৫ এও টিকেট কাটেন, তারা আপনাকে জানাবে না যে পরবর্তী সময় অর্থাৎ বিকাল ৩টায় আসতে। আপনি ৫০ টাকা করে ৪/৫টা টিকেট কিনে, পার্কিং ফি দিয়ে বের হয়ে যাবেন, বিষয়টা অবশ্যই ভালো লাগবে না। কারন আপনি একবার বের হয়ে গেলে পুনরায় ঢুকতে নতুন করে টিকেট কাটতে হবে। আর এতো গরমে দুই ঘন্টা বাহিরে বেঞ্চে বসে থাকা সম্ভব হয় না।

৩. অতিরিক্ত খাবারের দামঃ আপনি ভাবতে পারেন দুই ঘন্টা বা লাঞ্চের সময় আপনি তাদের রেস্টুরেন্টে থাকবেন। কিন্তু অতিরিক্ত দাম হওয়ায় সেখানে বসা সম্ভব হয় না।

৪. ক্যামেরা/ পানির বোতল নেয়া নিষেধ ঃ আপনি নিজের পছন্দের কোনো ফ্লাস্কে পানি নিয়ে গেলে সেটি বাহিরে রেখে যেতে হবে। এবং গেটে রাখা কোনো জিনিসের দায়ভার তাদের নয়। তাই একান্ত পানির প্রয়োজন হলে ১৫টাকা দামের পানির বোতল নিন। গেট দিয়ে ঢোকার সময় তারা আপনার সামনেই ডাস্টবিনে বোতল ফেলে দিবেন। এছাড়া ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করলেও কোনো DSLR ক্যামেরা নেয়ার পারমিশন নেই।

তাদের এই কয়টি দিকের মান ভালো করলে ঘরের কাছেই এমন সুন্দর একটি যায়গা সুন্দরভাবে উপভোগ করা যেতো। নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ১৩০টাকা দিয়ে (৩০টাকা বাইক পার্কিং) প্রবেশ করেই বের হয়ে যাওয়া মোটেও ভালো লাগে নি। প্রথম ফ্লোর ছাড়া কিছু দেখতে পারি নি বা নিচের দুটি ছবি ছাড়া আর কোনো ছবি তুলতে পারি নি।