ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতাবান ইলন মাস্কের সঙ্গে যে আলোচনা হলো ড. ইউনূসের শ্যামল দত্তের অ্যাকাউন্টে ১০৪২ কোটি টাকার লেনদেন কিভাবে পারে এত পাষণ্ড হতে, হাসিনাকে বললেন আসিফ নজরুল জাতিসংঘের রিপোর্ট ‘শেখ হাসিনার নির্দেশেই গুলি’! তসলিমার ‘চুম্বন’ প্রকাশকের জয় বাংলা স্লোগান, মব জাস্টিস উস্কে দেয়ার ভারতীয় প্ল্যান? জরুরি ওষুধেও ব্যবসার ফাঁদ:ওষুধের বাজারে অরাজকতা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডি ৩২: প্রতিশোধের ক্রোধে উন্মাদ প্রায় শেখ হাসিনা বেনজীরকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারিতে নির্দেশনা শেখ হাসিনার সরকার হটাতে মার্কিন নীলনকশার গোপন নথি ফাঁস শেখ হাসিনার সঙ্গে কী পরিকল্পনা করছিলেন শাওন ? এবার আটক অভিনেত্রী সোহানা সাবা অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক শেখ হাসিনার ফাঁদে পড়ে আরও ক্ষয়ে যাচ্ছে আ. লীগ হাসিনা-রেহানাকে শেয়ারবাজারের ৩ লাখ কোটি টাকা দেন শিবলী রুবাইয়াত হাসিনার ভাষণের মুখোমুখি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন! শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কী বলছে আওয়ামী লীগ? হাসিনা-রেহানাদের ৪ বাগানবাড়ি, আছে ডুপ্লেক্স ভবন, শানবাঁধানো ঘাট, পুকুর বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ

বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর এ যাবার পুর্বে জেনে নিন?

সারফিন এ জান্নাত
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
  • / 159
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সম্প্রতি খুবই জনপ্রিয় এবং প্রচারিত একটি জায়গা বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর বা মিলিটারি মিউজিয়াম। এই প্লেসের বিষয়ে সবারই খুব পজিটিভ রিভিউ পাওয়া যায়। কিন্তু যেই নেগেটিভ দিকটা নিয়ে কখনো কেউ কিছু লিখে না সেটা জানানোর জন্যই লেখা:

১. তাদের সময় ব্যবস্থাপনা খুবই অসন্তোষজনক। তাদের গ্যালারি ওপেন সময় হচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা। মধ্যবর্তী সময়ে টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকবে। আপনি ভাবতেই পারেন আপনি ভিতরে প্রবেশ করেছেন এবং তাদের ক্লোজিং সময় অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬টার যেকোনো সময়ে আপনি বের হতে পারবেন। কিন্তু বিষয়াটা এরকম নয়। আপনি যদি ১২ঃ৪০ মিনিটেও ভিতরে প্রবেশ করেন, ১২ঃ৪৫ মিনিটে গ্যালারির লাইট অফ করে গ্যালারি বন্ধ করে দিবেন। এমনকি ভিতরে আপনি থাকতে পারবেন না। হয় আপনি খোলা আকাশের নিচে বসবেন অথবা তাদের রেস্টুরেন্টে অথবা বের হয়ে যাবেন।

২. সঠিক তথ্য প্রদান না করাঃ গ্যালারির লাইট ১২ঃ৪৫ এ বন্ধ করে দেয়া হয়। আপনি যদি ১২ঃ৪৫ এও টিকেট কাটেন, তারা আপনাকে জানাবে না যে পরবর্তী সময় অর্থাৎ বিকাল ৩টায় আসতে। আপনি ৫০ টাকা করে ৪/৫টা টিকেট কিনে, পার্কিং ফি দিয়ে বের হয়ে যাবেন, বিষয়টা অবশ্যই ভালো লাগবে না। কারন আপনি একবার বের হয়ে গেলে পুনরায় ঢুকতে নতুন করে টিকেট কাটতে হবে। আর এতো গরমে দুই ঘন্টা বাহিরে বেঞ্চে বসে থাকা সম্ভব হয় না।

৩. অতিরিক্ত খাবারের দামঃ আপনি ভাবতে পারেন দুই ঘন্টা বা লাঞ্চের সময় আপনি তাদের রেস্টুরেন্টে থাকবেন। কিন্তু অতিরিক্ত দাম হওয়ায় সেখানে বসা সম্ভব হয় না।

৪. ক্যামেরা/ পানির বোতল নেয়া নিষেধ ঃ আপনি নিজের পছন্দের কোনো ফ্লাস্কে পানি নিয়ে গেলে সেটি বাহিরে রেখে যেতে হবে। এবং গেটে রাখা কোনো জিনিসের দায়ভার তাদের নয়। তাই একান্ত পানির প্রয়োজন হলে ১৫টাকা দামের পানির বোতল নিন। গেট দিয়ে ঢোকার সময় তারা আপনার সামনেই ডাস্টবিনে বোতল ফেলে দিবেন। এছাড়া ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করলেও কোনো DSLR ক্যামেরা নেয়ার পারমিশন নেই।

তাদের এই কয়টি দিকের মান ভালো করলে ঘরের কাছেই এমন সুন্দর একটি যায়গা সুন্দরভাবে উপভোগ করা যেতো। নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ১৩০টাকা দিয়ে (৩০টাকা বাইক পার্কিং) প্রবেশ করেই বের হয়ে যাওয়া মোটেও ভালো লাগে নি। প্রথম ফ্লোর ছাড়া কিছু দেখতে পারি নি বা নিচের দুটি ছবি ছাড়া আর কোনো ছবি তুলতে পারি নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর এ যাবার পুর্বে জেনে নিন?

আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২

 

সম্প্রতি খুবই জনপ্রিয় এবং প্রচারিত একটি জায়গা বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর বা মিলিটারি মিউজিয়াম। এই প্লেসের বিষয়ে সবারই খুব পজিটিভ রিভিউ পাওয়া যায়। কিন্তু যেই নেগেটিভ দিকটা নিয়ে কখনো কেউ কিছু লিখে না সেটা জানানোর জন্যই লেখা:

১. তাদের সময় ব্যবস্থাপনা খুবই অসন্তোষজনক। তাদের গ্যালারি ওপেন সময় হচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা। মধ্যবর্তী সময়ে টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকবে। আপনি ভাবতেই পারেন আপনি ভিতরে প্রবেশ করেছেন এবং তাদের ক্লোজিং সময় অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬টার যেকোনো সময়ে আপনি বের হতে পারবেন। কিন্তু বিষয়াটা এরকম নয়। আপনি যদি ১২ঃ৪০ মিনিটেও ভিতরে প্রবেশ করেন, ১২ঃ৪৫ মিনিটে গ্যালারির লাইট অফ করে গ্যালারি বন্ধ করে দিবেন। এমনকি ভিতরে আপনি থাকতে পারবেন না। হয় আপনি খোলা আকাশের নিচে বসবেন অথবা তাদের রেস্টুরেন্টে অথবা বের হয়ে যাবেন।

২. সঠিক তথ্য প্রদান না করাঃ গ্যালারির লাইট ১২ঃ৪৫ এ বন্ধ করে দেয়া হয়। আপনি যদি ১২ঃ৪৫ এও টিকেট কাটেন, তারা আপনাকে জানাবে না যে পরবর্তী সময় অর্থাৎ বিকাল ৩টায় আসতে। আপনি ৫০ টাকা করে ৪/৫টা টিকেট কিনে, পার্কিং ফি দিয়ে বের হয়ে যাবেন, বিষয়টা অবশ্যই ভালো লাগবে না। কারন আপনি একবার বের হয়ে গেলে পুনরায় ঢুকতে নতুন করে টিকেট কাটতে হবে। আর এতো গরমে দুই ঘন্টা বাহিরে বেঞ্চে বসে থাকা সম্ভব হয় না।

৩. অতিরিক্ত খাবারের দামঃ আপনি ভাবতে পারেন দুই ঘন্টা বা লাঞ্চের সময় আপনি তাদের রেস্টুরেন্টে থাকবেন। কিন্তু অতিরিক্ত দাম হওয়ায় সেখানে বসা সম্ভব হয় না।

৪. ক্যামেরা/ পানির বোতল নেয়া নিষেধ ঃ আপনি নিজের পছন্দের কোনো ফ্লাস্কে পানি নিয়ে গেলে সেটি বাহিরে রেখে যেতে হবে। এবং গেটে রাখা কোনো জিনিসের দায়ভার তাদের নয়। তাই একান্ত পানির প্রয়োজন হলে ১৫টাকা দামের পানির বোতল নিন। গেট দিয়ে ঢোকার সময় তারা আপনার সামনেই ডাস্টবিনে বোতল ফেলে দিবেন। এছাড়া ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করলেও কোনো DSLR ক্যামেরা নেয়ার পারমিশন নেই।

তাদের এই কয়টি দিকের মান ভালো করলে ঘরের কাছেই এমন সুন্দর একটি যায়গা সুন্দরভাবে উপভোগ করা যেতো। নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ১৩০টাকা দিয়ে (৩০টাকা বাইক পার্কিং) প্রবেশ করেই বের হয়ে যাওয়া মোটেও ভালো লাগে নি। প্রথম ফ্লোর ছাড়া কিছু দেখতে পারি নি বা নিচের দুটি ছবি ছাড়া আর কোনো ছবি তুলতে পারি নি।