ভারতের মণিপুরে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ!
- আপডেট সময় : ১০:০৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
আরো একবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ভারতের মণিপুর। চলমান সহিংসতার কারণে রাজ্যের পূর্ব ও পশ্চিমে পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, বিষ্ণুপুর, থৌবাল, কাকচিং, কাংপোকপি ও চূড়াচাঁদপুরে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। এ ছাড়া সোমবার রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব জেলায় কারফিউ রয়েছে, সেখানে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
কয়েক দিন ধরে একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। সম্প্রতি এক কুকি নারীকে হত্যার অভিযোগ, সিআরপিএফ সেনাদের গুলিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ১০ জন কুকি যুবকের মৃত্যু, তারপর নারী-শিশু মিলিয়ে ছয়জনকে (মেইতেই গোষ্ঠীর) অপহরণ ও পরবর্তীতে নদী থেকে তাদের দেহ উদ্ধার কেন্দ্র করে সে রাজ্যে নতুনভাবে সহিংসতা ছড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে মণিপুরে রাজনৈতিক টানাপড়েনও তুঙ্গে।
শনিবার একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়কের পদত্যাগ দাবি করে তাদের বাড়িতে হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
বিক্ষুব্ধদের মোকাবেলা করতে নামানো হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য। জনগণকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরপর রবিবার রাতে মেইতেই সম্প্রদায়ের ছয়জনকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে জিরিবাম থানা এলাকার বাবুপাড়ায় ভাঙচুর হয়।
বিক্ষুব্ধদের একাংশের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এদিকে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন ন্যাশানাল পিপলস পার্টি। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বিজেপির ন্যশানাল প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডাকে চিঠিতে মণিপুরের অবস্থার কথা জানিয়ে অভিযোগ তুলেছেন, এন বীরেন সিংয়ের সরকার তার রাজ্যের (মণিপুরের) পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরাও।
মণিপুরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার একটা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন।
এর পরই সোমবার জানানো হয়, রাষ্ট্ৰীয় অনুসন্ধান সংস্থা বা এনআইএ মণিপুরের সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনার তদন্ত করবে, যাকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে ওই রাজ্যে। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসেও অশান্ত হয়ে উঠেছিল এই রাজ্য।
সোমবারের পরিস্থিতি কেমন
কারফিউ জারি করার পর সোমবার সকাল থেকেই থমথমে পরিস্থিতি রয়েছে ইম্ফলে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিপুল সদস্যের উপস্থিতি দেখা গেছে। কড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। রাস্তাঘাটে যান চলাচল কম। কড়া তল্লাশির পরই যানবাহন যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ওষুধের দোকান ও জরুরি পরিষেবা বাদে অন্যান্য দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে কারফিউর আওতায় থাকা অঞ্চলে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন এবং রাজভবনের বাইরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইম্ফলের বাসিন্দা পি শরৎচন্দ্র রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। মেইতেই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এই অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার বলেন, ‘মণিপুর আর নিরাপদ নেই। পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। এক বছর ধরে যা অবস্থা, তাতে মানুষের আর প্রশাসনের প্রতিও আস্থা নেই। আর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধরপাকড়, কারফিউ, তল্লাশি, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই প্রায় হয় না। উত্তপ্ত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এমন পদক্ষেপ বহু বছর ধরেই দেখে আসছি আমরা। এতে কিছুই লাভ হয়নি। মণিপুরের পরিস্থিতি আসলে সাংবিধানিক ব্যর্থতার কারণে বলেই আমি মনে করি।’
মেইতেইদের পরিস্থিতির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেইতেই গোষ্ঠীর মানুষ মোটেই নিরাপদ বোধ করছে না কোথাও।’
অন্যদিকে কুকি গোষ্ঠীর অভিযোগ, মেইতেই প্রধান অঞ্চলে তাদের নিশানা করা হচ্ছে। কুকি গোষ্ঠীর হাতজালহই হাওকিপ বলেন, ‘কুকিদের পরিস্থিতির কথা আদৌ কি কেউ ভাবছে? তাদের দেখলেই মারধর করা হচ্ছে, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা পালিয়ে গিয়ে অন্যত্র বাস করতে বাধ্য হচ্ছে। হয় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকছে, নয়তো অন্য কোথাও গা ঢাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে।’
একই সঙ্গে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাওকিপ। তিনি বলেন, ‘শান্তি কমিটি তৈরি করার কথা বলা হয়েছিল, কোথায় সেই কমিটি এবং কী করেছে তারা? যদি কিছুই করেই থাকে তাহলে এই পরিস্থিতি তৈরিই হতো না মণিপুরে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সরকার কী করছে? গত বছর থেকে মণিপুরে আগুন জ্বলছে।’
মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে হামলা
কয়েক দিন ধরে মণিপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ইম্ফলে বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও মন্ত্রীর বাড়িতে শনিবার হামলা চালানো হয়, বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় মন্ত্রী, বিধায়ক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়িতে ছিল না।
ইম্ফল পূর্ব জেলার লুয়াংশাংবামে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পৈতৃক বাড়িতে হামলার অভিযোগও ওঠে। মণিপুরের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সাপম রঞ্জন, বিজেপি বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের জামাতা আরকে ইমোর বাড়িতেও আক্রমণ চালানো হয় বলে অভিযোগ।
জিরিবাম থেকে যে ছয়জনকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে তার ন্যায় বিচার ও অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানায় বিক্ষুব্ধরা। এর পাশাপাশি বিধায়ক-মন্ত্রীদের পদত্যাগও দাবি করে তারা।
মণিপুর বিধানসভায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বিধায়ক শেখ নুরুল হাসান বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে আমার বাড়িতে ১০০-১৫০ জনের ভিড় হয়। আমি সবে দিল্লি এসেছি। জমায়েতের কয়েকজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলি। তাদের অভিযোগ, বর্তমান বিধায়ক-মন্ত্রী মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না, তাই তাদের পদত্যাগ করা উচিত। আমি তাদের দাবি মেনে নিয়েছি। তাই তারা আমার বাড়িতে হামলা না চালিয়ে ফিরে যায়। আমি বলেছি, জনগণ যা বলবে আমি সেটাই করতে রাজি।’
কেন আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর?
গত ৭ নভেম্বর রাজ্যের জিরিবামে কুকি গোষ্ঠীর এক নারীকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পর থেকে জিরিবামে লাগাতার সহিংসতা চলে আসছে।
গত ১১ নভেম্বর জিরিবাম জেলায় সিআরপিএফ সেনাদের সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীর গোলাগুলি হয়। ওই জেলার জাকুরাদোর এলাকায় সিআরপিএফ পোস্টে হামলা চালানো হয়। গোলাগুলিতে যে ১০ জন যুবকের মৃত্যু হয় তারা আদিবাসী ও কুকি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এই ঘটনার পর বিক্ষোভ দেখান কুকি গোষ্ঠীর মানুষ। পরে শান্তি বজায় রাখতে জিরিবাম জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়।
এনকাউন্টারের পরে বোরাবেকারা থানার কাছে একটি ত্রাণশিবির থেকে মেইতেই সম্প্রদায়ের একই পরিবারের ছয় সদস্য নিখোঁজ হয়, এদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। মেইতেই গোষ্ঠী এই ঘটনার জন্য কুকিদের দায়ী করে। মণিপুরের বিভিন্ন অংশে নারীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। ঘটনার দিন পাঁচেক পর গত শুক্রবার জিরিমুক গ্রামের কাছে ত্রাণশিবির থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নদীতে এক নারী, দুই শিশুসহ তিনজনের দেহ পাওয়া যায়। এর পরই নতুন করে সহিংসতা দেখা দেয়। এরপর একে একে ছয়জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এই দেহ নিখোঁজদেরই কি না, তা বলা সম্ভব নয়। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া দেহ অপহৃত ব্যক্তিদের। এভাবে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়, জনপ্রতিনিধিরাও বিক্ষুব্ধদের রোষের শিকার হন।
রাজনৈতিক অবস্থান
মণিপুরের অবস্থাকে কেন্দ্র করে সে রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন ন্যাশানাল পিপলস পার্টি। তবে তাদের এই পদক্ষেপ মণিপুরে বিজেপি সরকারের জন্য এই মুহূর্তে খুব একটা চিন্তার কারণ হবে না বলেই মনে করা হয়। কারণ মণিপুরে বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে বিজেপির ওপর থেকে কোনো জোটসঙ্গীর সমর্থন তুলে নেওয়া এনডিএ সরকারের প্রতি ভালো ইঙ্গিত দেয় না বলেই বিশ্লেষকদের মত।
নাগাল্যান্ড প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মণিপুরের অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীও প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে মণিপুর সফরে যাওয়ার এবং সেখানে শান্তি ফেরানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে ওই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারের কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার রাতে এই পরিস্থিতি নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট মহল কী বলছে?
গত বছর থেকে বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠা মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল। সে রাজ্যের প্রবীণ সাংবাদিক মায়ুম শর্মা বলেছেন, ‘সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন ভয় রয়েছে, তেমনি সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভ এখন প্রকাশ পাচ্ছে।’
সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার যা অবস্থা সেটা স্পষ্ট। এন বীরেন সিংয়ের সরকার যে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি সেটাও স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রীর ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছে। অন্যান্য মন্ত্রী-বিধায়কদের ওপরও একই চাপ বাড়ছে। অনেকে চাপের মুখে পদত্যাগ করবেন বলেছেন। কিন্তু কবে করবেন বা আদৌ করবেন কি না, সেটা দেখার বিষয়।’
রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শর্মা। তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যে প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা রয়েছে ডিসেম্বর মাসে, এই মুহূর্তে মণিপুরের যা পরিস্থিতি তাতে, ছাত্র-ছাত্রীরা কী করে পড়াশোনা চালাবে? অনেক ছেলে-মেয়ে বাইরে পড়াশোনা করতে যায়। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কারণে তাদের টাকা পাঠাতে পারছে না। এভাবে রাজ্য চলতে পারে না।’
মেইতেই গোষ্ঠীর অধিকারের জন্য কাজ করা ফিলেম রোহন সিং বলেন, ‘যখন নারী ও শিশুদের নিশানা করা হয় তখন বিষয়টা কোনো একটা গোষ্ঠীর মধ্যে আটকে থাকে না। যখন দুজন কুকি নারীকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়েছিল, আমি সবার আগে প্রতিবাদ করেছিলাম। যে ছয়জন মেইতেইকে নিশানা করা হয়েছে সেখানে তো শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি। আমার সবচেয়ে অবাক লাগে রাজ্য সরকার কী করছে? তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারছে না, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার কেন নিশ্চুপ?’
পুরো বিষয়টাকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করেছেন সিং। তিনি বলেছেন, ‘মণিপুরের পরিস্থিতি কিন্তু আর কুকি ও মেইতেই গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। মনুষ্যত্বের ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। আর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এটা কিন্তু রাজনীতির সময় নয়, শান্তি ফেরানোর সময়।’
কুকি সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করে এমন এক সংগঠনের পক্ষ থেকে হাতজালহই হাওকিপ বলেন, ‘একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং এটা শুধু মণিপুরে আবদ্ধ নেই। রাজ্যের বাইরেও কিন্তু কেউ নিরাপদ বোধ করছেন না। নারী ও শিশুদের হত্যার ঘটনা নিন্দনীয়। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকে কুকি মেয়েরা হুমকি পাচ্ছে। শুধু রাজ্যে না, অন্যত্র বসবাসকারী কুকি মেয়েদের সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে। ছাত্রী ও কর্মরত নারীরা আতঙ্কে রয়েছেন। এটা একটা বাঁচার মতো পরিবেশ?’