রফিক হিলালীর রাজনৈতিক দর্শনই শিবলীর অনুপ্রেরনা

- আপডেট সময় : ০৬:০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
- / 65
কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব, নেত্রকোনা৩ ( কেন্দুয়া- আটপাড়া) নির্বাচনীএলাকার বিএনপির নমিনির রাজনৈতিক দর্শন ন্যায় নীতি আদর্শ সততা রাজনৈতিক বিচক্ষণতাসহ তার অমায়িক আচরণ ও কর্মী বান্ধব উদার মনমানসিকতার নেতৃত্বের গুনাবলীর প্রতি আকৃষ্ট ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালীর সামগ্রিক রাজনৈতিক দর্শনের অনুপ্রেরনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বর্তমান কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবাক তৌফিকুল হক শিবলী তাঁর রাজনীতি জীবনের নব যাত্রা শুরু করেন। ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রদলের বিভিন্ন মিছিল মিটিং এ অংশ গ্রহন করে অগ্রণীয় ভূমিকা পালন করেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের বাট্টা উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারী উচ্চ বিদ্যালেয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ফজলুল হকের সুযোগ্য সন্তান তৌফিকুল হক শিবলী। তার মাতার নাম মোছাঃ ফরিদা আক্তার। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সে তৃতীয় সন্তান। ১৯৯০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সে জন্মগ্রহন করেন।
পড়াশোনা জীবনে আলীপুর কেন্দুয়া সরকয়রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডী পেরিয়ে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রই সরকয়রী উচ্চ বিদ্যালশ থেকে এস এস সি পাশ করেন। পরে কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এস সি ময়মনসিংহের আনন মোহন বিশ্ববিদ্যায় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
মূলত ২০০৪ সাল থেকেই কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম হিলালী ও পারিবারিক উৎসাহ অনুপ্রেরনা ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে ছাত্রদলের রাজনীতে যোগদান করেন। এছাড়াও পারিবারিকভাবে উৎসাহে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে নীতি আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে ২০০৬ সাল থেকে কলেজ ছাত্রদলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে মনে প্রাণে রাজনীতির পথ চলা শুরু করি। তিনি ২০০৭ সালে কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। অনিবার্য কারণ বশত সে কমিটি না হওয়ায় পরবর্তী রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার ফলে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক পদে মনোনীত হন এবং অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। পরে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক পদে মনোনীত হয়ে দায়িত্বে গ্রহন করে অদ্যাবধি পর্যন্ত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
একান্ত সাক্ষাতকারে শিবলী জানান,প্রতিপক্ষ রাজনীতির রোষানলে পরে সে আটাশটি মামলার আসামী হওয়াসহ একবার কারাবরণ করতে হয়েছে।
কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জানান শিবলী জানান,রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পুলিশী হয়রানী এড়াতে ও গ্রেফতার আতংকে বহু মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে দুশ্চিন্ত আর অনিশ্চিত জীবন ভাবনায় ফেরারী জীব যাপন করার কষ্ট আজও ভুলতে পারিনা। সময়ের বহু মূলবান সময় জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়র পরও মনোবল শক্ত করে আজও রাজপথে আছি। জীবন বাজী রেখে রাজনৈতিক মাঠে থাকবো
জীনব গড়ার সঠিক সময়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মূলক আসামী দিন মাস বছর বাড়ী ছাড়া হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করার কষ্টটা একমাত্র ভুক্ত ভোগিরাই অনুভব করতে পারে পুলিশী হয়রাণী ও গ্রেফতার আতংকে বহুরাত নিজ বাড়িতে ঘুমাতে পারেন নি। বিভিন্ন সাথে অনিশ্চিত জীবন যাপনের সেই দূর্বিসহ জীবনের কথা কোনদিন ভুলতে পারবো না।
শিবলী আরও জানান,তিনি কেন্দুয়া উপজেলার প্রত্যেক ওয়ার্ড ছাত্রদলের কর্মীদের সুসংগঠিত করে সামনের দিনে আগামীদিনে তারেক রহমানের হাতকে তৃণমূলে শক্তিশালী করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি । প্রত্যেক ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন-সকল প্রকার গ্রুপি লবিং এর উর্দ্ধে থেকে একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।
পরিশেে তিনি আরও বলেন-আগামীদিনে তারেক রহমানের স্বপ্ন পূরণে সকল ভেদাভেদ ভুলে প্রত্যেক কর্মীকে সক্রিয় ভূমিকা পালনে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার কোন বিকল্প নেই।
একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেন-আগামীদিনে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় দলীয় প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়নে জীবন বাজী রেখে পালন করার জন্য সদা সর্বদা প্রস্তুত আছি।
কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তৌফিকুল হক শিবলী বলেন- আমি যেন নেতৃত্বে নিজ কর্মগুণে আর ভালো অবস্থানে পৌঁছতে পারি আমার রাজনৈতিক পথচলায় দলের সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতা ও জনমানুষের ভালবাসা চাই
পরিশেষে তিনি বলেন-জলকল্যাণে নিজে নিয়েজিত রেখে মানুষের সুখে দুঃখে আপদ বিপদে তাদের পাশে থেকে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে সকলের ভালবাসা ও দোয়ায় সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় আমার মূল লক্ষ্য এজন্য সকল নেতৃবৃন্দহ সর্বস্তরের জমগণের ভালবাসাই আমার একমাত্র কাম্য।