ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতাবান ইলন মাস্কের সঙ্গে যে আলোচনা হলো ড. ইউনূসের শ্যামল দত্তের অ্যাকাউন্টে ১০৪২ কোটি টাকার লেনদেন কিভাবে পারে এত পাষণ্ড হতে, হাসিনাকে বললেন আসিফ নজরুল জাতিসংঘের রিপোর্ট ‘শেখ হাসিনার নির্দেশেই গুলি’! তসলিমার ‘চুম্বন’ প্রকাশকের জয় বাংলা স্লোগান, মব জাস্টিস উস্কে দেয়ার ভারতীয় প্ল্যান? জরুরি ওষুধেও ব্যবসার ফাঁদ:ওষুধের বাজারে অরাজকতা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডি ৩২: প্রতিশোধের ক্রোধে উন্মাদ প্রায় শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেন

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 97
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামিরা বিচারের সময় লড়তে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবেন। প্রসিকিউশন টিম এই বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করবে না বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রসিকিউশন টিম যা যা করা দরকার তা করবে বলে জানান অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর এসব কথা বলেন।

আসামিপক্ষে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করি আসামিপক্ষ তাদের বেস্ট ডিফেন্স দেওয়ার জন্য আইনজীবী চান—সেটি দেশি হোক, বিদেশি হোক আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি থাকার কোনো কারণ নেই।…তারা যে ধরনের আইনজীবী চান, সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হলে আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি থাকবে না। যাতে কোনো আসামি না বলতে পারেন যে বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে তার এই সমস্যা ছিল, ওই সমস্যা ছিল, যে কারণে তিনি ন্যায়বিচার পাননি। এটা যাতে বলতে না পারেন, সে বিষয়ে সরকারও সচেতন আছে, প্রসিকিউশন টিম হিসেবে আমরাও সচেতন আছি। মনে করি বিচার শেষ হওয়ার পরে আসামিপক্ষ এবং বাদীপক্ষ, দুই পক্ষই যে বলে এখানে সুবিচার হয়েছে। কারও প্রতি কোনো অন্যায় করা হবে না, কিন্তু কোনো অপরাধে ছাড়ও কাউকে দেওয়া হবে না—এটা আমাদের পরিষ্কার বার্তা। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য যা যা করার দরকার, তাই করা হবে।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো গোপনীয়তা নেই যে রায় নিজেদের মতো করে বানিয়ে দিতে হবে, মিথ্যা কথা বলে তদন্ত সাজাতে হবে—প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের অধিকাংশ এই ঘটনাগুলোর লাইভ উইটনেস। বাংলাদেশের সবার চোখের সামনে অপরাধ ঘটেছে, যা ঘটেছে, যাদের চোখের সামনে ঘটেছে, প্রত্যেকে এসে সাক্ষী দেবেন, তাতে বিচারের রায় যা হওয়ার তা হবে। আমরা কাউকে কোনো অধিকার বঞ্চিত করতে চাই না। সম্পূর্ণ ফেয়ার ট্রায়াল নিশ্চিত করার জন্য প্রসিকিউশন কাজ করবে।’

এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে আহত–নিহতের তালিকা, চিকিৎসা ও দাফনের বিষয়ে তথ্যাদি চেয়ে দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ও সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চিঠি পাঠানোর কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘মূলত তদন্তের সূচনালগ্নে প্রাথমিক যে বিষয়গুলো দরকার, সেগুলো আমরা সংগ্রহ করার জন্য চিঠি দিয়েছি। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক তদন্তের যে যাত্রা সেটি আমরা শুরু করেছি।’

জুলাই–আগস্ট বিপ্লব নিয়ে ক্যামেরায় ধারণ করা ডকুমেন্ট ও প্রতিবেদনের অনুলিপি সরবরাহ করার জন্য সব মিডিয়া হাউসের (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া) প্রশাসনে যারা আছেন, তাদের কাছে চিঠি পাঠানোর কথাও জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

সম্মিলিতভাবে তদন্ত সংস্থাকে সহায়তা করার জন্য সমন্বয়ক ও ছাত্রনেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিগগিরই ছাত্রনেতাদের বা সমন্বয়কদের আমাদের এখানে আসার আহ্বান জানাব। তাদের কাছে যেসব তথ্য–প্রমাণ আছে, এগুলো সংগ্রহের ব্যাপারে তারা কীভাবে সহযোগিতা করবে, সে বিষয়গুলো নির্ধারণের জন্য তাদের এখানে আমন্ত্রণ জানাব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেখ হাসিনা চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেন

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামিরা বিচারের সময় লড়তে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারবেন। প্রসিকিউশন টিম এই বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করবে না বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রসিকিউশন টিম যা যা করা দরকার তা করবে বলে জানান অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

gnewsদৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর এসব কথা বলেন।

আসামিপক্ষে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করি আসামিপক্ষ তাদের বেস্ট ডিফেন্স দেওয়ার জন্য আইনজীবী চান—সেটি দেশি হোক, বিদেশি হোক আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি থাকার কোনো কারণ নেই।…তারা যে ধরনের আইনজীবী চান, সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হলে আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি থাকবে না। যাতে কোনো আসামি না বলতে পারেন যে বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে তার এই সমস্যা ছিল, ওই সমস্যা ছিল, যে কারণে তিনি ন্যায়বিচার পাননি। এটা যাতে বলতে না পারেন, সে বিষয়ে সরকারও সচেতন আছে, প্রসিকিউশন টিম হিসেবে আমরাও সচেতন আছি। মনে করি বিচার শেষ হওয়ার পরে আসামিপক্ষ এবং বাদীপক্ষ, দুই পক্ষই যে বলে এখানে সুবিচার হয়েছে। কারও প্রতি কোনো অন্যায় করা হবে না, কিন্তু কোনো অপরাধে ছাড়ও কাউকে দেওয়া হবে না—এটা আমাদের পরিষ্কার বার্তা। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য যা যা করার দরকার, তাই করা হবে।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো গোপনীয়তা নেই যে রায় নিজেদের মতো করে বানিয়ে দিতে হবে, মিথ্যা কথা বলে তদন্ত সাজাতে হবে—প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের অধিকাংশ এই ঘটনাগুলোর লাইভ উইটনেস। বাংলাদেশের সবার চোখের সামনে অপরাধ ঘটেছে, যা ঘটেছে, যাদের চোখের সামনে ঘটেছে, প্রত্যেকে এসে সাক্ষী দেবেন, তাতে বিচারের রায় যা হওয়ার তা হবে। আমরা কাউকে কোনো অধিকার বঞ্চিত করতে চাই না। সম্পূর্ণ ফেয়ার ট্রায়াল নিশ্চিত করার জন্য প্রসিকিউশন কাজ করবে।’

এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে আহত–নিহতের তালিকা, চিকিৎসা ও দাফনের বিষয়ে তথ্যাদি চেয়ে দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ও সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চিঠি পাঠানোর কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘মূলত তদন্তের সূচনালগ্নে প্রাথমিক যে বিষয়গুলো দরকার, সেগুলো আমরা সংগ্রহ করার জন্য চিঠি দিয়েছি। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক তদন্তের যে যাত্রা সেটি আমরা শুরু করেছি।’

জুলাই–আগস্ট বিপ্লব নিয়ে ক্যামেরায় ধারণ করা ডকুমেন্ট ও প্রতিবেদনের অনুলিপি সরবরাহ করার জন্য সব মিডিয়া হাউসের (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া) প্রশাসনে যারা আছেন, তাদের কাছে চিঠি পাঠানোর কথাও জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

সম্মিলিতভাবে তদন্ত সংস্থাকে সহায়তা করার জন্য সমন্বয়ক ও ছাত্রনেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিগগিরই ছাত্রনেতাদের বা সমন্বয়কদের আমাদের এখানে আসার আহ্বান জানাব। তাদের কাছে যেসব তথ্য–প্রমাণ আছে, এগুলো সংগ্রহের ব্যাপারে তারা কীভাবে সহযোগিতা করবে, সে বিষয়গুলো নির্ধারণের জন্য তাদের এখানে আমন্ত্রণ জানাব।’