সেন্টমার্টিন: অদৃশ্য খেলা নাকি বাস্তবতা?
- আপডেট সময় : ১২:৩৩:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
সেন্টমার্টিন: অদৃশ্য খেলা নাকি বাস্তবতা?
সাম্প্রতিক সময়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে যেসব আলোচনা ও মন্তব্য উঠে এসেছে, তা আমাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। বাংলাদেশের অসংখ্য দ্বীপের মধ্যে কেন বারবার সেন্টমার্টিনকেই কেন্দ্র করে আলোচনা হচ্ছে? বিষয়টি মোটেও স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে, সেন্টমার্টিন নিয়ে কি কোনো অদৃশ্য খেলা চলছে? নাকি এর পেছনে কোনো গভীর রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক স্বার্থ কাজ করছে?
একটি দ্বীপের মালিকানা বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এত সহজে কারো হাতে তুলে দেওয়া যায় না। এর সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন গভীরভাবে জড়িত। একে বাস্তবায়ন করতে গেলে কৌশল, বুদ্ধিমত্তা এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, দ্বীপের মানুষদের সরিয়ে দেওয়ার এক অদ্ভুত কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন বিদেশি স্বার্থে কাজ করা এক নারীর বক্তব্যে যেন এই ষড়যন্ত্রের প্রথম ইঙ্গিতই পাওয়া গেল।
পরিবেশের সুরক্ষার দোহাই দিয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ দেশের মানুষ পরিবেশের বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং এই কারণ দেখিয়ে তাদের সহজেই প্রভাবিত করা সম্ভব। কিন্তু প্রকৃত প্রশ্ন হলো, পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্টমার্টিনবাসীকে দ্বীপ ছেড়ে দিতে বাধ্য করার পেছনে আসল উদ্দেশ্য কী?
যারা দ্বীপ রক্ষার কথা বলছেন, তাদের একথা জানা উচিত— সেন্টমার্টিনবাসীরা যদি দ্বীপ ছেড়ে চলে যায়, তবে এই দ্বীপটি মাত্র দুই মাসের মধ্যে আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই প্রশ্ন হলো, কেন সেন্টমার্টিনের মানুষদের জীবনযাত্রাকে ক্রমশ কঠিন করে তাদের দ্বীপ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে? এর পেছনে কার স্বার্থ কাজ করছে?
উপদেষ্টা রিজওয়ানার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের মনে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে। তাঁর সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক এবং দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি বলে মনে হচ্ছে। যারা পরিবেশের দোহাই দিচ্ছেন, তারা কি সত্যিই দ্বীপের স্বার্থ নিয়ে ভাবছেন? আমরা যদি সেন্টমার্টিন ছেড়ে দিই, তাহলে কিভাবে এই দ্বীপ রক্ষা করা হবে?
আজকের এই পরিস্থিতি গভীর বিশ্লেষণ এবং প্রজ্ঞার দাবি রাখে। আমরা যেন কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার না হই, এবং দেশের স্বার্থ যেন কোনো অদৃশ্য কৌশলের মধ্যে হারিয়ে না যায়— সেটাই এখন মূল প্রশ্ন।
এস আহমেদ ভোর
কলাতলী, কক্সবাজার।