১৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে ১৮টি ফেরির বিপরীতে থেমে থেমে চলছে মাত্র ৭টি। পদ্মায় ২ নম্বর বিপৎসংকেত থাকায় লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এখনো প্রবল স্রোত আর বাতাস থাকায় চাহিদা অনুসারে ফেরি চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকাল বুধবার বেলা একটা থেকে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে ঘাট কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রী ও পরিবহনচালকেরা। পদ্মা পারাপারের অপেক্ষায় অনেক যাত্রীরা দুর্ভোগ আর বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাত কাটিয়েছেন ঘাটে। গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে অনেকেই ঘাটে এসে আবার ফিরে গেছেন। অন্যদিকে, ফেরি চলাচল কম থাকায় ঘাটে আটকা পড়েছে গরুবোঝাই শতাধিক ট্রাক। ঠিক সময়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিতে না পারায় গরুর ব্যাপারীরা লোকসানের আতঙ্কে রয়েছেন।
পদ্মায় ফেরি চলাচল ব্যাহত থাকায় দুই ঘাটেই এক হাজারেরও বেশি যানবাহন আটকা পড়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর আমরা সকাল ছয়টা থেকে ফেরি চলাচল শুরু করেছি। পদ্মায় এখনো প্রবল স্রোত ও বাতাস বইছে। তবে তা গতকালের চেয়ে কম। তাই আমরা ১৮টি ফেরির বিপরীতে ৭টি ফেরি চালাতে সক্ষম হয়েছি। এখনো স্রোত আর বাতাস থাকায় পদ্মায় চ্যানেল ঘুরে শিমুলিয়া যেতে প্রতিটি ফেরির দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে।’