পরে খালেদের ওভারে আরও দুটি চার মারেন ক্যাম্পবেল—প্রথমটি সফট হ্যান্ডে গালি দিয়ে, পরেরটি দারুণ কাভার ড্রাইভে। পরের চার দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজনীয় রান নেমে আসে এক অঙ্কে। ওই চার দিয়ে ৪৮ রানে পৌঁছান ক্যাম্পবেল, পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে মেডেন দিয়ে ক্যাম্পবেলকে মূলত অর্ধশতকের সুযোগ করে দেন ব্ল্যাকউড। পরের ওভারে নাজমুল হোসেনকে সুইপ করে মারা চারে মাত্র ৬৩ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ক্যাম্পবেল। সে ওভারেই ছয় মেরে জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
প্রায় ৬ সেশন বাকি থাকতেই তাই প্রথম টেস্ট হারতে হলো বাংলাদেশকে। মূলত প্রথম দিনই যে ম্যাচে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে তারা, টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশ পেয়েছে সে অর্থে একটিই বড় জুটি, তবে সেটিও সপ্তম উইকেটে গিয়ে। সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসানের লড়াকু ১২৩ রানের জুটিতে ভর করেই ইনিংস পরাজয় এড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ, এটি এখন বলাই যায়।
সাকিব-নুরুলের জুটির পর তৃতীয় দিন বিকালে অসম্ভব এক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন খালেদ—নিজের প্রথম ১১ বলের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে। জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও জন ক্যাম্পবেল অবশ্য এরপর ধাতস্থ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

ব্যাটিং দুর্দশার বাইরে এ টেস্টে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ ছিল ফিল্ডিং-ও। সেটি অবশ্য বেশ কিছু দিন ধরেই পিছু ছাড়ছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে তারা, সেটির মাশুলও গুণতে হয়েছে। পাঁচটি ক্যাচ মিসের সঙ্গে রিভিউ নিয়ে উইকেট পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করা—এ টেস্টে দুই দলের মধ্যে বড় একটা পার্থক্য গড়েছে সে সব। প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয়দের সর্বোচ্চ স্কোরার ক্রেগ ব্রাফেটের (৯৪) একাই পান তিনটি জীবন—০, ১৬ ও ৬৩ রানে।
আগামী ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ায় শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের চাওয়া থাকবে এমন—ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংয়ে উন্নতি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৩২.৫ ওভারে ১০৩ (সাকিব ৫১, তামিম ২৯; সিলস ৩/৩৩, জোসেফ ৩/৩৩) ও ৯০.৫ ওভারে ২৪৫ (নুরুল ৬৪, সাকিব ৬৩; রোচ ৫/৫৩, জোসেফ ৩/৫৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১১২.৫ ওভারে ২৬৫ (ব্রাফেট ৯৪, ব্ল্যাকউড ৬৩; মিরাজ ৪/৫৯, খালেদ ২/৫৯) ও ৮৮/৩ (ক্যাম্পবেল ৫৮*, ব্ল্যাকউড ২৬; খালেদ ৩/২৭)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী