চলতি মাসে আরো তিনটি আশান্বিত প্রকল্প চালু হতে যাচ্ছে। এর একটি হলো খুলনার ৫.১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু। এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম রেলসেতু। এ রেলসেতুটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা।
এরপর রয়েছে নড়াইলের মধুমতি নদীর উপর কালনা পয়েন্টে ৯৬০ কোটি টাকায় নির্মিত কালনা ছয়লেন সেতু। এটিই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ছয়লেনের সেতু।
এরপরেরটি পিরোজপুরের কচা নদীর উপর নির্মিত বেকুটিয়া সেতু (বাংলাদেশ-চায়না অষ্টম মৈত্রী সেতু)। সেতুটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা।
এই তিনটি প্রকল্পই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হয়েছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলের (বঙ্গবন্ধু টানেল) কাজ ২০২৩ সালে শেষ হবার কথা থাকলেও, আশার কথা হলো এর নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই এটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে টানেলের ভেতরের বিদ্যুৎ প্রবাহ, অক্সিজেন প্রবাহ ও আনুষঙ্গিক সড়ক নির্মাণের কাজ। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই মেট্রোরেলের সঙ্গে টানেলটি জনসাধারণের জন্যে উম্মুক্ত করে দেয়া হবে।
এগুলোই বাংলাদেশের সম্পদ, বাংলাদেশীদের অর্জন। এসব ক্ষুদ্র বৃহৎ অর্জন দলমত ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশীদের অর্জন ও মাথা উঁচু করে বাঁচার প্রতীক।