যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রয়েছে। সেই অনুযায়ী নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে জনগণের অংশগ্রহণও জরুরি।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কূটনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পিটার ডি হাস বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও বাহিনীটিকে জবাবদিহিতায় আনা প্রয়োজন। এটা ছাড়া র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই। আমরা র্যাবকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কার্যকর একটি বাহিনী হিসেবে দেখতে চাই। তবে তাদের মৌলিক মানবাধিকারও মেনে চলতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির কেন্দ্রে রয়েছে। সে কারণে মানাবাধিকার রক্ষায় আমরা কোনো প্রকার ছাড় দেই না।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভয়-ভীতিহীন সাংবাদিকতা সম্পর্কে সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও সেটি চায় যুক্তরাষ্ট্র।
শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা এক নয়। দুই দেশের পরিস্থিতি ভিন্ন। তাই দুই দেশকে একই ভাবে মেলানো যায় না।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৫০ বছরে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করে যাবে, যেভাবে গত ৫০ বছর কাজ করে গেছে।