আদর পুণাওয়ালা
হস্পতিবার এই জানিয়েছেন সংস্থাটির সিইও আদর পুণাওয়ালা।
গত বছর তথা ২০২১ সালের ডিসেম্বরেই বন্ধ করা হয় করোনার টিকা ‘কোভিশিল্ডের’ উৎপাদন। টিকার চাহিদা কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওই সংস্থা। কিন্তু বুস্টার টিকা নেওয়ার প্রতি মানুষের অনীহার কারণে কোটি কোটি টিকা গুদামেই রয়ে গেছে। মেয়াদ ফুরনোর কারণে এই টিকাগুলো এখন ব্যবহারের অযোগ্য।
বৃহস্পতিবার পুণের এক অনুষ্ঠানে আদর পুণাওয়ালা বলেন, “২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে আমরা কোভিশিল্ডের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছি। বুস্টার টিকার কোনও চাহিদা নেই। মানুষ এখন কোভিড নিয়ে বিরক্ত। সত্যি বলতে, আমিও বিরক্ত। ১০ কোটি কোভিশিল্ড টিকা ইতোমধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ মাস নাগাদ পৃথিবীর বুকে থাবা বসিয়েছিল সংক্রামক করোনাভাইরাস। এরপর থেকেই বদলে গিয়েছিল পৃথিবীর চেহারা। করোনা ধীরে ধীরে মহামারীতে রূপ নেওয়ার পর এর আক্রমণে বিশ্বজুড়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে। করোনায় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায়নি ভারতও। করোনার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এক সময় ভারতবাসী ভরসা করেছিল টিকার উপরেই। এমনকি, টিকার জন্য এক সময় মানুষের মধ্যে হাহাকারও পড়ে গিয়েছিল। পর্যাপ্ত টিকা হাতে আসার পর দেশবাসীকে এক এক করে দু’টি টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে, দু’টি টিকা নেওয়ার পর বুস্টার টিকা নেওয়ার প্রতি মানুষের যে অনীহা তৈরি হয়েছে তা এই টিকা নষ্ট হওয়ার ঘটনা থেকে স্পষ্ট। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, বিজনেস টুডে