ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সুযোগ্য কন্যা মেহেনাজ মান্নান ইলিশ ধরায় খরচ ৮৩০ টাকা, ভোক্তার গুনতে হয় অন্তত ২ হাজার নির্বাচন কে সামনে রেখে উত্তাল ঢাকা-১ দোহার-নবাবগঞ্জ আসন আটপাড়ায় কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর কেন্দুয়ায় মানবপাচার মামলার আসামীরা রিমান্ডে মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ করেছে ‎ ‎কেন্দুয়ায় মানবপাচারের মামলায় চীনা নাগরিকসহ দুই আসামীকে কারাগারে প্রেরণ কেন্দুয়া থেকে তিন নারীকে চীনে পাচারের চেষ্টা; চীনা নাগরিকসহ আটক দুইজন কেন্দুয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫ ‎কেন্দুয়ায় প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তের সময় হাতাহাতি: ইউএনও আহত কেন্দুয়ায় প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস ওসমান হাদী দাবিতে ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রচার, সামনে এলো আসল সত্য ব্লাড মুন দেখা যাবে রোববার, চাঁদ লাল হওয়ার কারণ কী? তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

কাফির গল্প: এক পথিকের আত্মপ্রকাশ

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 150
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
কাফি ছিল আমাদের ক্লাসমেট—একজন নিরহংকারী, সরল ও লাজুক স্বভাবের ছেলে। দারুন্নাজাত মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করে সে সরকারি বাঙলা কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হয়। প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে নিজের লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করেছিল। যদিও কবিতাটি আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি, তবু বুঝতে পারছিলাম—এই ছেলেটির ভেতরে চেষ্টা আছে, সাহস আছে। হয়তো একদিন এই প্রচেষ্টাই তাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।
শুরুর গল্পঃ
একদিন, জিওগ্রাফি চ্যানেলের ছবিয়াল বন্ধু সাজ্জাদের সাথে আমরা কয়েকজন বাংলা কলেজের মাঠে বসে আলোচনা করছিলাম—এই ডিজিটাল যুগে কীভাবে নিজেদের ক্যাম্পাস ও পরিচিতিকে তুলে ধরা যায়। জম্পেশ আড্ডার পর অন্যরা চলে গেলেও আমি আর কাফি কথোপকথনে মগ্ন ছিলাম। হঠাৎ সে বলল,
“চলো, ভিডিও করি, কনটেন্ট বানাই। আমি বিশ্বাস করি, কয়েক মাস পরেই ভালো ফিডব্যাক আসবে। শুধু লেগে থাকতে হবে!”
আমি ওকে উৎসাহ দিলাম, বললাম, “কাজে লেগে থাকলে সফলতা আসবেই! তুমি শুরু করো।”
সেদিন আমরা একটা ভিডিও ও কিছু ছবি তুললাম। মনে হলো, এটা শুধু একটা ছোট্ট চেষ্টা, কিন্তু কে জানত—এটাই হয়তো এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা!
কাফির পথচলাঃ
এরপর হঠাৎ করেই কভিড-১৯ মহামারির ধাক্কায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। কাফি ফিরে যায় দেশের বাড়িতে, আর তখন থেকেই শুরু হয় তার কনটেন্ট ক্রিয়েশনের যাত্রা।
কিন্তু শুরুটা ছিল আমার জন্য খানিকটা হতাশাজনক। তার ভিডিওগুলো আমার কাছে তেমন আকর্ষণীয় লাগেনি—অপরিচিত চরিত্রের গল্প, অদ্ভুত সংলাপ, কখনো নদীর ধারে উদ্ভট আচরণ, কখনো বা স্বর্ণা-সাদিয়া নাম উল্লেখ করে ফান কনটেন্ট তৈরি করা। মনে হচ্ছিল, সে যেন ভাইরাল হওয়ার জন্য হিরো আলম ধরনের কনটেন্ট বানাচ্ছে।
তবে আমি কখনো কাফিকে নিরুৎসাহিত করিনি। চেয়েছিলাম, যেভাবেই হোক সে পরিচিত হোক, নিজের জায়গাটা তৈরি করুক। বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা আর দরদ থেকেই আমি তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলাম।
আমার একটি সাত কলেজ ভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপ ছিল, সেখানে কাফিকে ভিডিও আপলোড করতে বললাম। বাংলা কলেজ পরিবার গ্রুপেও দিতে বললাম, যদিও মডারেটরদের কেউ কেউ এতে রাজি ছিল না। তবে কাফি সহজে হাল ছাড়ার পাত্র ছিল না। সে একের পর এক গ্রুপ, ফেক আইডি, ইনবক্স মেসেজ, ম্যানশন, অল ইনবাইট লাইক-কমেন্টের মাধ্যমে স্ট্রাগল করতে থাকল।
তবু তখনো কাফি তেমন পরিচিত হয়ে ওঠেনি। তার দর্শকের বড় অংশ ছিল উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরী, যারা হয়তো সাময়িক বিনোদনের জন্য তার ভিডিও দেখত।
একটি ভিডিও, এক নতুন মোড়ঃ
একসময় কাফির একটি ভিডিও ভাইরাল হলো—
“আমি আমার প্রাক্তনকে কখনো ক্ষমা করবো না!”
এই ভিডিওটি যেন একটি বিস্ফোরণের মতো কাজ করল। মানুষের আবেগের সাথে মিশে গিয়ে এটি ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলল। ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে পড়ল, আর কাফির নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগল।
কাফির বিবর্তন: বিনোদন থেকে প্রতিবাদে রূপান্তর
এই ভাইরাল ভিডিওর পর কাফি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করল। একের পর এক তথ্য উন্মোচন করে সে সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে আলোড়ন সৃষ্টি করল। সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠস্বর আরও শক্তিশালী হয়ে উঠল।
সে এমনকি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও অনলাইনে লড়াইয়ে নেমে গেল। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও ন্যায়বিচারের জন্য তার সংগ্রাম থামেনি। সময়ের সাথে সাথে সে হয়ে উঠল জনতার কণ্ঠস্বর, জনতার সেলিব্রিটি।
সমালোচনার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা কাফিঃ
আজ তাকে নিয়ে অনেকেই ট্রল করে, সমালোচনা করে। কিন্তু তারা হয়তো জানে না—কাফি যেমনই লেখুক, তার মনের ভাব প্রকাশের ক্ষমতা অসাধারণ। তার চিন্তাগুলো হয়তো সবসময় গুছিয়ে প্রকাশ করা হয় না, কিন্তু সে নিজের জায়গা থেকে নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
১৯/২০ সালে আমরা বন্ধুরা মিলে তার প্রথম প্রকাশিত বই কিনেছিলাম, তাকে উৎসাহ দিয়েছিলাম। তখনই বুঝেছিলাম, সে শুধু বিনোদনের জন্য নয়—একজন লেখক, একজন প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবেও নিজেকে গড়ে তুলতে চাইছে।
একটি নাম, এন্টি ফ্যাসিস্ট মুভমেন্টার
“একজন কবি, সাহিত্যিক বা লেখক বড় মনের মানুষ হয়, মুক্তচিন্তার ধারক হয়। কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাধারণত বিনোদনের ব্যবসায়ী। কিন্তু একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক তার অবস্থান স্পষ্ট রাখে এবং দেশের জন্য লড়াই করে।”
কাফি সেই পথেই এগোচ্ছে। এবং সে জানে, এই পথ সহজ নয়। তার চারপাশে শত্রুর সংখ্যা বাড়ছে, সমালোচকের দল আরও সক্রিয় হচ্ছে। কিন্তু কাফি কখনো হাল ছাড়ার মানুষ নয়।
সে লড়াই চালিয়ে যাবে—নিজের জন্য, দেশের জন্য, সমাজের জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাফির গল্প: এক পথিকের আত্মপ্রকাশ

আপডেট সময় : ১১:৪০:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
কাফি ছিল আমাদের ক্লাসমেট—একজন নিরহংকারী, সরল ও লাজুক স্বভাবের ছেলে। দারুন্নাজাত মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করে সে সরকারি বাঙলা কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হয়। প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে নিজের লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করেছিল। যদিও কবিতাটি আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি, তবু বুঝতে পারছিলাম—এই ছেলেটির ভেতরে চেষ্টা আছে, সাহস আছে। হয়তো একদিন এই প্রচেষ্টাই তাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।
শুরুর গল্পঃ
একদিন, জিওগ্রাফি চ্যানেলের ছবিয়াল বন্ধু সাজ্জাদের সাথে আমরা কয়েকজন বাংলা কলেজের মাঠে বসে আলোচনা করছিলাম—এই ডিজিটাল যুগে কীভাবে নিজেদের ক্যাম্পাস ও পরিচিতিকে তুলে ধরা যায়। জম্পেশ আড্ডার পর অন্যরা চলে গেলেও আমি আর কাফি কথোপকথনে মগ্ন ছিলাম। হঠাৎ সে বলল,
“চলো, ভিডিও করি, কনটেন্ট বানাই। আমি বিশ্বাস করি, কয়েক মাস পরেই ভালো ফিডব্যাক আসবে। শুধু লেগে থাকতে হবে!”
আমি ওকে উৎসাহ দিলাম, বললাম, “কাজে লেগে থাকলে সফলতা আসবেই! তুমি শুরু করো।”
সেদিন আমরা একটা ভিডিও ও কিছু ছবি তুললাম। মনে হলো, এটা শুধু একটা ছোট্ট চেষ্টা, কিন্তু কে জানত—এটাই হয়তো এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা!
কাফির পথচলাঃ
এরপর হঠাৎ করেই কভিড-১৯ মহামারির ধাক্কায় ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। কাফি ফিরে যায় দেশের বাড়িতে, আর তখন থেকেই শুরু হয় তার কনটেন্ট ক্রিয়েশনের যাত্রা।
কিন্তু শুরুটা ছিল আমার জন্য খানিকটা হতাশাজনক। তার ভিডিওগুলো আমার কাছে তেমন আকর্ষণীয় লাগেনি—অপরিচিত চরিত্রের গল্প, অদ্ভুত সংলাপ, কখনো নদীর ধারে উদ্ভট আচরণ, কখনো বা স্বর্ণা-সাদিয়া নাম উল্লেখ করে ফান কনটেন্ট তৈরি করা। মনে হচ্ছিল, সে যেন ভাইরাল হওয়ার জন্য হিরো আলম ধরনের কনটেন্ট বানাচ্ছে।
তবে আমি কখনো কাফিকে নিরুৎসাহিত করিনি। চেয়েছিলাম, যেভাবেই হোক সে পরিচিত হোক, নিজের জায়গাটা তৈরি করুক। বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা আর দরদ থেকেই আমি তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলাম।
আমার একটি সাত কলেজ ভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপ ছিল, সেখানে কাফিকে ভিডিও আপলোড করতে বললাম। বাংলা কলেজ পরিবার গ্রুপেও দিতে বললাম, যদিও মডারেটরদের কেউ কেউ এতে রাজি ছিল না। তবে কাফি সহজে হাল ছাড়ার পাত্র ছিল না। সে একের পর এক গ্রুপ, ফেক আইডি, ইনবক্স মেসেজ, ম্যানশন, অল ইনবাইট লাইক-কমেন্টের মাধ্যমে স্ট্রাগল করতে থাকল।
তবু তখনো কাফি তেমন পরিচিত হয়ে ওঠেনি। তার দর্শকের বড় অংশ ছিল উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরী, যারা হয়তো সাময়িক বিনোদনের জন্য তার ভিডিও দেখত।
একটি ভিডিও, এক নতুন মোড়ঃ
একসময় কাফির একটি ভিডিও ভাইরাল হলো—
“আমি আমার প্রাক্তনকে কখনো ক্ষমা করবো না!”
এই ভিডিওটি যেন একটি বিস্ফোরণের মতো কাজ করল। মানুষের আবেগের সাথে মিশে গিয়ে এটি ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলল। ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে পড়ল, আর কাফির নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগল।
কাফির বিবর্তন: বিনোদন থেকে প্রতিবাদে রূপান্তর
এই ভাইরাল ভিডিওর পর কাফি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করল। একের পর এক তথ্য উন্মোচন করে সে সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে আলোড়ন সৃষ্টি করল। সমাজের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠস্বর আরও শক্তিশালী হয়ে উঠল।
সে এমনকি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও অনলাইনে লড়াইয়ে নেমে গেল। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও ন্যায়বিচারের জন্য তার সংগ্রাম থামেনি। সময়ের সাথে সাথে সে হয়ে উঠল জনতার কণ্ঠস্বর, জনতার সেলিব্রিটি।
সমালোচনার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা কাফিঃ
আজ তাকে নিয়ে অনেকেই ট্রল করে, সমালোচনা করে। কিন্তু তারা হয়তো জানে না—কাফি যেমনই লেখুক, তার মনের ভাব প্রকাশের ক্ষমতা অসাধারণ। তার চিন্তাগুলো হয়তো সবসময় গুছিয়ে প্রকাশ করা হয় না, কিন্তু সে নিজের জায়গা থেকে নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
১৯/২০ সালে আমরা বন্ধুরা মিলে তার প্রথম প্রকাশিত বই কিনেছিলাম, তাকে উৎসাহ দিয়েছিলাম। তখনই বুঝেছিলাম, সে শুধু বিনোদনের জন্য নয়—একজন লেখক, একজন প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবেও নিজেকে গড়ে তুলতে চাইছে।
একটি নাম, এন্টি ফ্যাসিস্ট মুভমেন্টার
“একজন কবি, সাহিত্যিক বা লেখক বড় মনের মানুষ হয়, মুক্তচিন্তার ধারক হয়। কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাধারণত বিনোদনের ব্যবসায়ী। কিন্তু একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক তার অবস্থান স্পষ্ট রাখে এবং দেশের জন্য লড়াই করে।”
কাফি সেই পথেই এগোচ্ছে। এবং সে জানে, এই পথ সহজ নয়। তার চারপাশে শত্রুর সংখ্যা বাড়ছে, সমালোচকের দল আরও সক্রিয় হচ্ছে। কিন্তু কাফি কখনো হাল ছাড়ার মানুষ নয়।
সে লড়াই চালিয়ে যাবে—নিজের জন্য, দেশের জন্য, সমাজের জন্য।