ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সুযোগ্য কন্যা মেহেনাজ মান্নান ইলিশ ধরায় খরচ ৮৩০ টাকা, ভোক্তার গুনতে হয় অন্তত ২ হাজার নির্বাচন কে সামনে রেখে উত্তাল ঢাকা-১ দোহার-নবাবগঞ্জ আসন আটপাড়ায় কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর কেন্দুয়ায় মানবপাচার মামলার আসামীরা রিমান্ডে মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ করেছে ‎ ‎কেন্দুয়ায় মানবপাচারের মামলায় চীনা নাগরিকসহ দুই আসামীকে কারাগারে প্রেরণ কেন্দুয়া থেকে তিন নারীকে চীনে পাচারের চেষ্টা; চীনা নাগরিকসহ আটক দুইজন কেন্দুয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫ ‎কেন্দুয়ায় প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তের সময় হাতাহাতি: ইউএনও আহত কেন্দুয়ায় প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস ওসমান হাদী দাবিতে ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রচার, সামনে এলো আসল সত্য ব্লাড মুন দেখা যাবে রোববার, চাঁদ লাল হওয়ার কারণ কী? তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 132
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

প্রফেসর ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা সফল হবে, সেটি সময় আমাদের কে বলবে। তবে তার রাজনৈতিক শৈল্পিকতা নিয়ে এখন আর সন্দেহের অবকাশ নেই। জাতিসংঘের রিপোর্ট এখন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি পাবলিক ডকুমেন্ট – এটি কেবল একটি নথি নয়, একটি মৃত্যুপরোয়ানা, হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের ওপর এক চূড়ান্ত সিলমোহর।

এই খেলাটি কেউ আর খেলতে পারেনি, কারণ এই মাত্রার কৌশল এবং আন্তর্জাতিক দখলদারি সাধারণ কোনো রাজনীতিবিদের ক্যাপাসিটিতে পড়ে না। প্রফেসর ইউনূস জাতিসংঘকে এমনভাবে ইনভলভ করেছেন যে, শেখ হাসিনার শাসন এখন বিশ্বজোড়া এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

দেশীয় রিপোর্ট পাশ কাটানো সম্ভব হতে পারে, কিন্তু জাতিসংঘের এই রিপোর্ট বিশ্বরাজনীতির টেবিলে জমা পড়ে গেছে। এটি হাসিনাকে রাজনৈতিক শ্মশানে ঠেলে দেওয়ার সূচনা।

ভারতেরও এখন চিন্তার কারণ আছে। শেখ হাসিনাকে বাঁচানো মানে নিজেদের মানবাধিকার সূচক নামিয়ে আনা। রিপোর্টের লিগ্যাল বাইন্ডিংস না থাকলেও এর গ্রহণযোগ্যতা প্রবল। ক্ষমতা থাকলে ইগনোর করুক! দেখা যাক তারা কি করে এখন।

সবচেয়ে নির্মম সত্য? শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহতা এতটাই নগ্ন যে, জাতিসংঘ সরকারের মঞ্চ নয়, নিজস্ব সদর দপ্তর থেকে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর গ্রহণযোগ্যতা এখন ধ্বংস করা অসম্ভব।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – এত দ্রুত সময়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাসিনাকে এভাবে এক্সপোজ করা – এটি একটি রাজনৈতিক বিস্ময়। প্রফেসর ইউনূস কেবল অর্থনীতির নোবেলজয়ী নন, রাজনৈতিক দাবার মাস্টারপিস। তিনি যা করলেন, তা কেউ কল্পনাও করেনি।

এখন হাসিনার জন্য রাস্তাটা একটাই – অন্ধকার। হয় ভারত আশ্রয় দেবে, নয়তো বিচার। ফেরার পথ বন্ধ। আওয়ামী লীগের জন্য এটি শুধু ক্ষতি নয়, অস্তিত্ব সংকট। নিষেধাজ্ঞা এখন আর প্রশ্ন নয়, সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক নতুন পৃষ্ঠা লেখা হলো, যেখানে শেখ হাসিনার নাম থাকবে এক লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত হিসেবে।

কপি-পেস্ট
লেখকঃ অজানা

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল।

প্রফেসর ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার কতটা সফল হবে, সেটি সময় আমাদের কে বলবে। তবে তার রাজনৈতিক শৈল্পিকতা নিয়ে এখন আর সন্দেহের অবকাশ নেই। জাতিসংঘের রিপোর্ট এখন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি পাবলিক ডকুমেন্ট – এটি কেবল একটি নথি নয়, একটি মৃত্যুপরোয়ানা, হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের ওপর এক চূড়ান্ত সিলমোহর।

এই খেলাটি কেউ আর খেলতে পারেনি, কারণ এই মাত্রার কৌশল এবং আন্তর্জাতিক দখলদারি সাধারণ কোনো রাজনীতিবিদের ক্যাপাসিটিতে পড়ে না। প্রফেসর ইউনূস জাতিসংঘকে এমনভাবে ইনভলভ করেছেন যে, শেখ হাসিনার শাসন এখন বিশ্বজোড়া এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

দেশীয় রিপোর্ট পাশ কাটানো সম্ভব হতে পারে, কিন্তু জাতিসংঘের এই রিপোর্ট বিশ্বরাজনীতির টেবিলে জমা পড়ে গেছে। এটি হাসিনাকে রাজনৈতিক শ্মশানে ঠেলে দেওয়ার সূচনা।

ভারতেরও এখন চিন্তার কারণ আছে। শেখ হাসিনাকে বাঁচানো মানে নিজেদের মানবাধিকার সূচক নামিয়ে আনা। রিপোর্টের লিগ্যাল বাইন্ডিংস না থাকলেও এর গ্রহণযোগ্যতা প্রবল। ক্ষমতা থাকলে ইগনোর করুক! দেখা যাক তারা কি করে এখন।

সবচেয়ে নির্মম সত্য? শেখ হাসিনার শাসনের ভয়াবহতা এতটাই নগ্ন যে, জাতিসংঘ সরকারের মঞ্চ নয়, নিজস্ব সদর দপ্তর থেকে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর গ্রহণযোগ্যতা এখন ধ্বংস করা অসম্ভব।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – এত দ্রুত সময়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হাসিনাকে এভাবে এক্সপোজ করা – এটি একটি রাজনৈতিক বিস্ময়। প্রফেসর ইউনূস কেবল অর্থনীতির নোবেলজয়ী নন, রাজনৈতিক দাবার মাস্টারপিস। তিনি যা করলেন, তা কেউ কল্পনাও করেনি।

এখন হাসিনার জন্য রাস্তাটা একটাই – অন্ধকার। হয় ভারত আশ্রয় দেবে, নয়তো বিচার। ফেরার পথ বন্ধ। আওয়ামী লীগের জন্য এটি শুধু ক্ষতি নয়, অস্তিত্ব সংকট। নিষেধাজ্ঞা এখন আর প্রশ্ন নয়, সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক নতুন পৃষ্ঠা লেখা হলো, যেখানে শেখ হাসিনার নাম থাকবে এক লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত হিসেবে।

কপি-পেস্ট
লেখকঃ অজানা