ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সুযোগ্য কন্যা মেহেনাজ মান্নান ইলিশ ধরায় খরচ ৮৩০ টাকা, ভোক্তার গুনতে হয় অন্তত ২ হাজার নির্বাচন কে সামনে রেখে উত্তাল ঢাকা-১ দোহার-নবাবগঞ্জ আসন আটপাড়ায় কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর কেন্দুয়ায় মানবপাচার মামলার আসামীরা রিমান্ডে মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ করেছে ‎ ‎কেন্দুয়ায় মানবপাচারের মামলায় চীনা নাগরিকসহ দুই আসামীকে কারাগারে প্রেরণ কেন্দুয়া থেকে তিন নারীকে চীনে পাচারের চেষ্টা; চীনা নাগরিকসহ আটক দুইজন কেন্দুয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫ ‎কেন্দুয়ায় প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তের সময় হাতাহাতি: ইউএনও আহত কেন্দুয়ায় প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস ওসমান হাদী দাবিতে ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রচার, সামনে এলো আসল সত্য ব্লাড মুন দেখা যাবে রোববার, চাঁদ লাল হওয়ার কারণ কী? তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

পরিবার, স্বপ্ন এবং এক ঝলক উদ্যোগের গল্প

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 333
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

*প্রথম কথা: পরিবারের অবিচল সমর্থন*

জীবনের যেকোনো সফল যাত্রার প্রথম শর্ত হলো পরিবারের পাশে থাকা। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সেই সৌভাগ্যবতী যিনি শুরু থেকেই পরিবারের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। আমার মা-বাবা, স্বামী, ভাই এবং ভাবি শুধু অনুপ্রেরণাই দেননি, আমার ছোট্ট সন্তানের দেখভালের দায়িত্বও নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাদের এই অবদান ছাড়া আজ আমি যেখানেই থাকি না কেন, এতটুকুও এগোতে পারতাম না।

*শৈশব থেকে সেলাই মেশিনে: ফ্যাশনের প্রতি ভালোবাসা*
শৈশব থেকেই নতুন ডিজাইনের জামা-কাপড়ের প্রতি আমার আলাদা আকর্ষণ ছিল। আম্মুকে দেখতাম কীভাবে সুতো আর কাপড় জুড়ে আমার জন্য বানিয়ে দিতেন রঙিন পোশাক। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের মনের ডিজাইনকে রূপ দিতে শিখলাম। কিশোরী বয়সেই নিজের জামা নিজেই সেলাই করা শুরু করি। শখের বসে কাজিনদের জন্যও বানাতাম নানা স্টাইলের পোশাক। এভাবেই একসময় শখ পেশায় রূপ নেওয়ার পথ তৈরি হলো।

অনলাইন জগতে পা রাখা: ফেমিস ফেসতা গ্রুপের অনুপ্রেরণা
২০১৪ সালে ফেসবুকের জনপ্রিয় নারী উদ্যোক্তাদের গ্রুপ “ফেমিস ফেসতা”-এ যুক্ত হই। ৭৬,০০০ সদস্যের সেই গ্রুপে নারীদের সৃজনশীল কাজ দেখে আমি মুগ্ধ! কীভাবে অনলাইনে নারী উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা গুছিয়ে তুলছেন, সেটা দেখে নিজের মধ্যেও জাগলো সাহস। তখনই তৈরি করলাম “Armina’s Closet” নামে একটি ফেসবুক পেজ।

*Armin’s Closet: স্বপ্নের ডিজাইনের স্থান*
এই পেজে আমি তুলে ধরেছি মেয়েদের জন্য দেশীয় ও ভারতীয় স্টাইলের মিশেলে আমার নিজের ডিজাইন করা পোশাক। গ্রুপের সদস্য এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে পেয়েছি অসম্ভব ভালো সাড়া। প্রতিটি ডিজাইনে আমি যত্ন করে ফুটিয়ে তুলি আমার অভিজ্ঞতা আর সৃজনশীলতা। গ্রাহকদের সন্তুষ্টিই আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা।

*ভবিষ্যতের পথচলা: সকলের পাশে পেলে এগিয়ে যাবো*
আজ আমার এই ছোট্ট প্রচেষ্টা শুধুই শুরু। আমি বিশ্বাস করি পরিবারের ভালোবাসা আর আপনাদের সমর্থন পেলে একদিন Armina’s Closet হয়ে উঠবে অনেক বড় একটি ব্র্যান্ড। প্রতিটি পোশাকে যেন লেগে থাকে বাংলাদেশের ঐতিহ্য আর আধুনিকতার ছোঁয়া—সেই স্বপ্ন নিয়ে আমি প্রতিদিন কাজ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পরিবার, স্বপ্ন এবং এক ঝলক উদ্যোগের গল্প

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

*প্রথম কথা: পরিবারের অবিচল সমর্থন*

জীবনের যেকোনো সফল যাত্রার প্রথম শর্ত হলো পরিবারের পাশে থাকা। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সেই সৌভাগ্যবতী যিনি শুরু থেকেই পরিবারের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। আমার মা-বাবা, স্বামী, ভাই এবং ভাবি শুধু অনুপ্রেরণাই দেননি, আমার ছোট্ট সন্তানের দেখভালের দায়িত্বও নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাদের এই অবদান ছাড়া আজ আমি যেখানেই থাকি না কেন, এতটুকুও এগোতে পারতাম না।

*শৈশব থেকে সেলাই মেশিনে: ফ্যাশনের প্রতি ভালোবাসা*
শৈশব থেকেই নতুন ডিজাইনের জামা-কাপড়ের প্রতি আমার আলাদা আকর্ষণ ছিল। আম্মুকে দেখতাম কীভাবে সুতো আর কাপড় জুড়ে আমার জন্য বানিয়ে দিতেন রঙিন পোশাক। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের মনের ডিজাইনকে রূপ দিতে শিখলাম। কিশোরী বয়সেই নিজের জামা নিজেই সেলাই করা শুরু করি। শখের বসে কাজিনদের জন্যও বানাতাম নানা স্টাইলের পোশাক। এভাবেই একসময় শখ পেশায় রূপ নেওয়ার পথ তৈরি হলো।

অনলাইন জগতে পা রাখা: ফেমিস ফেসতা গ্রুপের অনুপ্রেরণা
২০১৪ সালে ফেসবুকের জনপ্রিয় নারী উদ্যোক্তাদের গ্রুপ “ফেমিস ফেসতা”-এ যুক্ত হই। ৭৬,০০০ সদস্যের সেই গ্রুপে নারীদের সৃজনশীল কাজ দেখে আমি মুগ্ধ! কীভাবে অনলাইনে নারী উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা গুছিয়ে তুলছেন, সেটা দেখে নিজের মধ্যেও জাগলো সাহস। তখনই তৈরি করলাম “Armina’s Closet” নামে একটি ফেসবুক পেজ।

*Armin’s Closet: স্বপ্নের ডিজাইনের স্থান*
এই পেজে আমি তুলে ধরেছি মেয়েদের জন্য দেশীয় ও ভারতীয় স্টাইলের মিশেলে আমার নিজের ডিজাইন করা পোশাক। গ্রুপের সদস্য এবং ক্রেতাদের কাছ থেকে পেয়েছি অসম্ভব ভালো সাড়া। প্রতিটি ডিজাইনে আমি যত্ন করে ফুটিয়ে তুলি আমার অভিজ্ঞতা আর সৃজনশীলতা। গ্রাহকদের সন্তুষ্টিই আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা।

*ভবিষ্যতের পথচলা: সকলের পাশে পেলে এগিয়ে যাবো*
আজ আমার এই ছোট্ট প্রচেষ্টা শুধুই শুরু। আমি বিশ্বাস করি পরিবারের ভালোবাসা আর আপনাদের সমর্থন পেলে একদিন Armina’s Closet হয়ে উঠবে অনেক বড় একটি ব্র্যান্ড। প্রতিটি পোশাকে যেন লেগে থাকে বাংলাদেশের ঐতিহ্য আর আধুনিকতার ছোঁয়া—সেই স্বপ্ন নিয়ে আমি প্রতিদিন কাজ করছি।