ঢাকা ০২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সুযোগ্য কন্যা মেহেনাজ মান্নান ইলিশ ধরায় খরচ ৮৩০ টাকা, ভোক্তার গুনতে হয় অন্তত ২ হাজার নির্বাচন কে সামনে রেখে উত্তাল ঢাকা-১ দোহার-নবাবগঞ্জ আসন আটপাড়ায় কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর কেন্দুয়ায় মানবপাচার মামলার আসামীরা রিমান্ডে মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ করেছে ‎ ‎কেন্দুয়ায় মানবপাচারের মামলায় চীনা নাগরিকসহ দুই আসামীকে কারাগারে প্রেরণ কেন্দুয়া থেকে তিন নারীকে চীনে পাচারের চেষ্টা; চীনা নাগরিকসহ আটক দুইজন কেন্দুয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫ ‎কেন্দুয়ায় প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তের সময় হাতাহাতি: ইউএনও আহত কেন্দুয়ায় প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস ওসমান হাদী দাবিতে ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রচার, সামনে এলো আসল সত্য ব্লাড মুন দেখা যাবে রোববার, চাঁদ লাল হওয়ার কারণ কী? তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বোতলজাত জুস কি ক্ষতিকর?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:১৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 143
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আপনি দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রয়েছেন। খাবারে অতিরিক্ত চিনি খান না। আবার মিষ্টিও বুঝেশুনে খান। এমন কোনো খাবারই খান না যেগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই দলে রয়েছে হরেক রকম রংবেরঙের নরম পানীয়। খুব বিপদে না পড়লে এ ধরনের পানীয় এড়িয়েই চলেন। তার সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চাও করেন। আর জলখাবারে প্রোটিন এবং ফাইবার জাতীয় খাবার থাকে। সেই সঙ্গে বাড়িতে তৈরি ফলের রস খেতেও ভোলেন না।

আবার দোকান থেকে কেনা বোতলবন্দি ফলের রসে কৃত্রিম চিনি মেশানো থাকে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এ ধরনের পানীয়ও খুবই বিপজ্জনক। কিন্তু টাটকা ফল দিয়ে বাড়িতে রস তৈরি করলে তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রেই রক্তে শর্করার মাত্রা হেরফের হতে দেখা যায়।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে বোতলবন্দি ফলের রস এবং বাড়িতে তৈরি করা ফলের রস একইভাবে ক্ষতিকর। তাই নিয়মিত খাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

তারা আরও বলেন, দোকান থেকে কেনা ফ্রুট জুসে প্রায় ১৫ চা চামচ চিনি থাকে। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এ পরিমাণ চিনি রক্তে মিশলে ডায়াবেটিস রোগীরা বিপদে পড়বেন। টাটকা ফল থেকে তৈরি রস তুলনায় নিরাপদ। পুষ্টিবিদ এডিনা রাজের মতে, নানা রকম খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে বাড়িতে তৈরি ফলের রসে। তবে জুস তৈরি ফলের রসে ফাইবারের অবশিষ্ট অংশটুকুও থাকে না। তাই ফলের প্রাকৃতিক শর্করাও দ্রুত রক্তে মিশে যায়। কম হলেও সমস্যা সেখান থেকেও হতে পারে।

সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীর এ ক্ষেত্রে যা করণীয়—

প্রথমত বোতলবন্দি ফলের রস একেবারে বাদ দিতে হবে। বাড়িতে ফলের রস তৈরি করে নিলেও প্রতিদিন খাওয়া যাবে না। কারণ রস না খেয়ে ফাইবারসহ গোটা ফল খাওয়াই ভালো। পুষ্টিও হবে, দীর্ঘক্ষণ পেটও ভর্তি থাকবে। আর যে কোনো ধরনের পানীয় কেনার আগে অবশ্যই বোতলের গায়ে লেখা উপাদান এবং পরিমাণ দেখে নেবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বোতলজাত জুস কি ক্ষতিকর?

আপডেট সময় : ১২:১৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপনি দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রয়েছেন। খাবারে অতিরিক্ত চিনি খান না। আবার মিষ্টিও বুঝেশুনে খান। এমন কোনো খাবারই খান না যেগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই দলে রয়েছে হরেক রকম রংবেরঙের নরম পানীয়। খুব বিপদে না পড়লে এ ধরনের পানীয় এড়িয়েই চলেন। তার সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চাও করেন। আর জলখাবারে প্রোটিন এবং ফাইবার জাতীয় খাবার থাকে। সেই সঙ্গে বাড়িতে তৈরি ফলের রস খেতেও ভোলেন না।

আবার দোকান থেকে কেনা বোতলবন্দি ফলের রসে কৃত্রিম চিনি মেশানো থাকে। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এ ধরনের পানীয়ও খুবই বিপজ্জনক। কিন্তু টাটকা ফল দিয়ে বাড়িতে রস তৈরি করলে তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রেই রক্তে শর্করার মাত্রা হেরফের হতে দেখা যায়।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে বোতলবন্দি ফলের রস এবং বাড়িতে তৈরি করা ফলের রস একইভাবে ক্ষতিকর। তাই নিয়মিত খাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

তারা আরও বলেন, দোকান থেকে কেনা ফ্রুট জুসে প্রায় ১৫ চা চামচ চিনি থাকে। অন্যান্য খাবারের সঙ্গে এ পরিমাণ চিনি রক্তে মিশলে ডায়াবেটিস রোগীরা বিপদে পড়বেন। টাটকা ফল থেকে তৈরি রস তুলনায় নিরাপদ। পুষ্টিবিদ এডিনা রাজের মতে, নানা রকম খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে বাড়িতে তৈরি ফলের রসে। তবে জুস তৈরি ফলের রসে ফাইবারের অবশিষ্ট অংশটুকুও থাকে না। তাই ফলের প্রাকৃতিক শর্করাও দ্রুত রক্তে মিশে যায়। কম হলেও সমস্যা সেখান থেকেও হতে পারে।

সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীর এ ক্ষেত্রে যা করণীয়—

প্রথমত বোতলবন্দি ফলের রস একেবারে বাদ দিতে হবে। বাড়িতে ফলের রস তৈরি করে নিলেও প্রতিদিন খাওয়া যাবে না। কারণ রস না খেয়ে ফাইবারসহ গোটা ফল খাওয়াই ভালো। পুষ্টিও হবে, দীর্ঘক্ষণ পেটও ভর্তি থাকবে। আর যে কোনো ধরনের পানীয় কেনার আগে অবশ্যই বোতলের গায়ে লেখা উপাদান এবং পরিমাণ দেখে নেবেন।