ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জের প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সুযোগ্য কন্যা মেহেনাজ মান্নান ইলিশ ধরায় খরচ ৮৩০ টাকা, ভোক্তার গুনতে হয় অন্তত ২ হাজার নির্বাচন কে সামনে রেখে উত্তাল ঢাকা-১ দোহার-নবাবগঞ্জ আসন আটপাড়ায় কালী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর কেন্দুয়ায় মানবপাচার মামলার আসামীরা রিমান্ডে মাস্টারমাইন্ডের নাম প্রকাশ করেছে ‎ ‎কেন্দুয়ায় মানবপাচারের মামলায় চীনা নাগরিকসহ দুই আসামীকে কারাগারে প্রেরণ কেন্দুয়া থেকে তিন নারীকে চীনে পাচারের চেষ্টা; চীনা নাগরিকসহ আটক দুইজন কেন্দুয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫ ‎কেন্দুয়ায় প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তের সময় হাতাহাতি: ইউএনও আহত কেন্দুয়ায় প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ জাল ধ্বংস ওসমান হাদী দাবিতে ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রচার, সামনে এলো আসল সত্য ব্লাড মুন দেখা যাবে রোববার, চাঁদ লাল হওয়ার কারণ কী? তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড়

প্রেমিকাকে পেতে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলেন কেকে

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:১৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২
  • / 159
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অসংখ্য গান উপহার দিয়ে সুরে সুরে শ্রোদের  বুঁদ করে রেখেছেন ভারতীয় উপমহাদেশ জনপ্রিয় গায়ক কেকে (কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ)। এই কেকেই নাকি নিজের প্রেমিকা জ্যোতি কৃষ্ণাকে বিয়ে করতে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলেন। গল্পটা অবশ্য আজকের কেকে হয়ে উঠার আগে। 

১৯৯১ সালের ঘটনা এটি। আজকের কেকে তখন কেবলই কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। সাধারণ একজন তরুণ। কাজ নেই বেকার যুবক এক। বেকারত্বের কারণে প্রেমিকাকে হারাতে বসছিলেন। প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য প্রেমিকার বাবা-মা শর্ত জুড়ে দেন, ছেলেকে চাকরি করতে হবে। ব্যাস কেকে চাকরি নেন সেলসম্যান হিসেবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, কপিল শর্মা শোতে হাজির হয়ে এই গল্প শুনিয়েছিলেন কেকে। জানিয়েছিলেন, ‘প্রিয় মানুষকে বিয়ে করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রয়োজন ছিল। বেকার ছেলের সঙ্গে কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না। সে কারণে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলাম। ছয় মাস বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল।’

এই চাকরি প্রসঙ্গে মুভি টকিজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেকে জানিয়েছিলেন, ‘আমার জন্য একটি চাকরি নেওয়া প্রয়োজন ছিল, না হলে তারা আমাকে জিজ্ঞেস করত আমি কী করি এবং আমি যদি বলতাম গান করি, তাহলে আমাকে উপেক্ষা করত…।’

 

কেকে ১৯৯১ সালে প্রেমিকা জ্যোতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়েন। বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর তারকাখ্যাতি পান তিনি। হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালাম, মারাঠি ভাষায় প্লেব্যাক করে তুমুল খ্যাতি পাওয়া সংগীতশিল্পী হিসেবে আগমনের পূর্বে প্রায় তিন হাজার ৫০০ বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছেন।

গতকাল ৩১ মে কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি কনসার্টে পারফর্ম করার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কেকে। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মহদেহ মুম্বাইয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে। আজ সকালে স্ত্রী জ্যোতি দুই সন্তানকে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রেমিকাকে পেতে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলেন কেকে

আপডেট সময় : ০৮:১৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুন ২০২২

অসংখ্য গান উপহার দিয়ে সুরে সুরে শ্রোদের  বুঁদ করে রেখেছেন ভারতীয় উপমহাদেশ জনপ্রিয় গায়ক কেকে (কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ)। এই কেকেই নাকি নিজের প্রেমিকা জ্যোতি কৃষ্ণাকে বিয়ে করতে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলেন। গল্পটা অবশ্য আজকের কেকে হয়ে উঠার আগে। 

১৯৯১ সালের ঘটনা এটি। আজকের কেকে তখন কেবলই কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। সাধারণ একজন তরুণ। কাজ নেই বেকার যুবক এক। বেকারত্বের কারণে প্রেমিকাকে হারাতে বসছিলেন। প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য প্রেমিকার বাবা-মা শর্ত জুড়ে দেন, ছেলেকে চাকরি করতে হবে। ব্যাস কেকে চাকরি নেন সেলসম্যান হিসেবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, কপিল শর্মা শোতে হাজির হয়ে এই গল্প শুনিয়েছিলেন কেকে। জানিয়েছিলেন, ‘প্রিয় মানুষকে বিয়ে করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রয়োজন ছিল। বেকার ছেলের সঙ্গে কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না। সে কারণে সেলসম্যানের চাকরি নিয়েছিলাম। ছয় মাস বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল।’

এই চাকরি প্রসঙ্গে মুভি টকিজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেকে জানিয়েছিলেন, ‘আমার জন্য একটি চাকরি নেওয়া প্রয়োজন ছিল, না হলে তারা আমাকে জিজ্ঞেস করত আমি কী করি এবং আমি যদি বলতাম গান করি, তাহলে আমাকে উপেক্ষা করত…।’

 

কেকে ১৯৯১ সালে প্রেমিকা জ্যোতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বাঁধা পড়েন। বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর তারকাখ্যাতি পান তিনি। হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালাম, মারাঠি ভাষায় প্লেব্যাক করে তুমুল খ্যাতি পাওয়া সংগীতশিল্পী হিসেবে আগমনের পূর্বে প্রায় তিন হাজার ৫০০ বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছেন।

গতকাল ৩১ মে কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি কনসার্টে পারফর্ম করার পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কেকে। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মহদেহ মুম্বাইয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে। আজ সকালে স্ত্রী জ্যোতি দুই সন্তানকে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছেন।