ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড: মুহাম্মদ ইউনুস ইন্ডিয়ার জায়গামত আঘাত করেছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলের ঐক্য ভারত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরে বাধ্য: ড. ইউনূস মুন্নী সাহা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে জমা হয় ১৩৪ কোটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে আ. লীগের দৃষ্টিতে দেখা বন্ধ করতে হবে : ভারতকে নাহিদ ইসলাম “ছাত্রদের ভূমিকা ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা” অশান্তির জন্য মহম্মদ ইউনূসকেই দায়ী করলেন শেখ হাসিনা৷ ফেরত চাওয়া হবে শেখ হাসিনাকে, মানতে বাধ্য ভারত: ড. ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার: শ্বেতপত্রে উন্মোচিত সাংবাদিক মুন্নী সাহা গ্রেপ্তার অচিরেই কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা: উপদেষ্টা আসিফ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত কেন তথ্যযুদ্ধে নেমেছে? ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল কোটি টাকার বাস ৯০ লাখে বানাবে বিআরটিসি ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ: সংখ্যালঘুরা ‘আগের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে’ বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের খবর ভুয়া ধানমন্ডি লেকে হবে ‘বিদ্রোহী চত্বর’ সারজি এবং হাসনাতের গাড়ি চাপা দেয়া ট্রাক ও ট্রাকের ড্রাইভার আটক রাষ্ট্রের যেসব বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশনগুলো

অন্তর্বর্তী সরকারের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আইনি ভিত্তি দিতে এবং এই সরকারের কার্যক্রমে আইনগত চ্যালেঞ্জ রোধে শিগগিরই জারি হতে চলেছে একটি নতুন অধ্যাদেশ। এই অধ্যাদেশ কার্যকর হলে বর্তমান সরকারের বৈধতা প্রসঙ্গে আদালতে কোনো মামলা বা প্রশ্ন তোলা যাবে না। এ সম্পর্কিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।

এই অধ্যাদেশের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে, যার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেবেন। সংবিধান এবং বিদ্যমান আইনের আওতায় নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করাই হবে এ সরকারের মূল দায়িত্ব। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের মর্যাদা নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে উপদেষ্টাদের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। সরকারের মেয়াদ এবং কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে এটিই হবে চূড়ান্ত নির্দেশিকা।

অধ্যাদেশের বিবরণ এবং কার্যকারিতা
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অস্থায়ী প্রশাসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং সরকারি কর্মচারীদের সহায়তায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবে। নির্বাচনী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে অন্তর্বর্তী সরকার কমিশনের যাবতীয় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার আদলে এই সরকারের পদমর্যাদা, সুবিধা, ও সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এ অধ্যাদেশ প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ খসড়া পরীক্ষা করেছে এবং সরকার নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে।

এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, খসড়াটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে পাঠানো হবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে এটি কার্যকর হবে।

আইনগত চ্যালেঞ্জের সুযোগ বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা
অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রণীত অধ্যাদেশ ও কার্যক্রমের বৈধতা’ ধারায় বলা হয়েছে, “সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কালে তাদের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ, অধ্যাদেশ প্রণয়ন, বিধিমালা জারি, আদেশ প্রদান ও পদক্ষেপ গ্রহণ বৈধ বলে গণ্য হবে।”

এ ধারায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের অন্য কোনো আদালতে এসব কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। অর্থাৎ, অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ আদালতে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে।

উপদেষ্টাদের যোগ্যতা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২৫ বছর এবং তারা সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য হতে হবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে অথবা বিদেশি নাগরিকত্ব থাকলে কেউ উপদেষ্টা বা প্রধান উপদেষ্টার পদে নিযুক্ত হতে পারবেন না। বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন এই উপদেষ্টারা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন এবং সরকারি কর্মচারীদের সহায়তা নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে কাজ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের মন্ত্রীর পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

অধ্যাদেশ নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত
অন্তর্বর্তী সরকারকে বৈধতা দিতে এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন নিয়ে আইনজীবীরা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, “এটি যেন নিজের চরিত্র নিয়ে নিজেই সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো অবস্থা। আমি কতদিন ক্ষমতায় থাকব, সেটি নিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হলে প্রশ্ন তো উঠতেই পারে। এটি সামরিক শাসনের মতো পরিস্থিতি তৈরি করছে।”

এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার কী করতে চায়, আমরা বুঝি না। সংবিধানের বাইরের কোনো উদ্যোগ নিলে সেটি হবে অবৈধ।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইনি ভিত্তি নিয়ে বিতর্ক
সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর গত ৫ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। এরপর ৮ই আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তবে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থার কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। তাই ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার কীভাবে টিকবে এবং কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়। ফলে, এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার চায় কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করতে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শে রাষ্ট্রপতি যেকোনো পদক্ষেপ নেবেন এবং এমনকি জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্যও প্রধান উপদেষ্টার মতামত নেবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অন্তর্বর্তী সরকারের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না

আপডেট সময় : ০৫:০১:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আইনি ভিত্তি দিতে এবং এই সরকারের কার্যক্রমে আইনগত চ্যালেঞ্জ রোধে শিগগিরই জারি হতে চলেছে একটি নতুন অধ্যাদেশ। এই অধ্যাদেশ কার্যকর হলে বর্তমান সরকারের বৈধতা প্রসঙ্গে আদালতে কোনো মামলা বা প্রশ্ন তোলা যাবে না। এ সম্পর্কিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।

এই অধ্যাদেশের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে, যার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেবেন। সংবিধান এবং বিদ্যমান আইনের আওতায় নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করাই হবে এ সরকারের মূল দায়িত্ব। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের মর্যাদা নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে উপদেষ্টাদের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। সরকারের মেয়াদ এবং কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে এটিই হবে চূড়ান্ত নির্দেশিকা।

অধ্যাদেশের বিবরণ এবং কার্যকারিতা
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অস্থায়ী প্রশাসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং সরকারি কর্মচারীদের সহায়তায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবে। নির্বাচনী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে অন্তর্বর্তী সরকার কমিশনের যাবতীয় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার আদলে এই সরকারের পদমর্যাদা, সুবিধা, ও সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এ অধ্যাদেশ প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ খসড়া পরীক্ষা করেছে এবং সরকার নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে।

এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, খসড়াটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগে পাঠানো হবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে এটি কার্যকর হবে।

আইনগত চ্যালেঞ্জের সুযোগ বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা
অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রণীত অধ্যাদেশ ও কার্যক্রমের বৈধতা’ ধারায় বলা হয়েছে, “সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়কালে তাদের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ, অধ্যাদেশ প্রণয়ন, বিধিমালা জারি, আদেশ প্রদান ও পদক্ষেপ গ্রহণ বৈধ বলে গণ্য হবে।”

এ ধারায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের অন্য কোনো আদালতে এসব কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। অর্থাৎ, অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ আদালতে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে।

উপদেষ্টাদের যোগ্যতা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২৫ বছর এবং তারা সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য হতে হবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে অথবা বিদেশি নাগরিকত্ব থাকলে কেউ উপদেষ্টা বা প্রধান উপদেষ্টার পদে নিযুক্ত হতে পারবেন না। বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন এই উপদেষ্টারা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন এবং সরকারি কর্মচারীদের সহায়তা নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে কাজ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের মন্ত্রীর পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

অধ্যাদেশ নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত
অন্তর্বর্তী সরকারকে বৈধতা দিতে এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন নিয়ে আইনজীবীরা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছেন। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, “এটি যেন নিজের চরিত্র নিয়ে নিজেই সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো অবস্থা। আমি কতদিন ক্ষমতায় থাকব, সেটি নিয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হলে প্রশ্ন তো উঠতেই পারে। এটি সামরিক শাসনের মতো পরিস্থিতি তৈরি করছে।”

এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার কী করতে চায়, আমরা বুঝি না। সংবিধানের বাইরের কোনো উদ্যোগ নিলে সেটি হবে অবৈধ।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইনি ভিত্তি নিয়ে বিতর্ক
সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর গত ৫ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। এরপর ৮ই আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তবে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থার কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। তাই ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার কীভাবে টিকবে এবং কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়। ফলে, এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার চায় কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করতে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শে রাষ্ট্রপতি যেকোনো পদক্ষেপ নেবেন এবং এমনকি জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্যও প্রধান উপদেষ্টার মতামত নেবেন।