অবশেষে নবাব সলিমুল্লাহকে স্মরণ করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- আপডেট সময় : ০৫:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
নবাব স্যার সলিমুল্লাহর কবর জিয়ারত ও পুস্পস্তবক অর্পণ করেছেন হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: দেশ রূপান্তর
নবাব স্যার সলিমুল্লাহর কবর জিয়ারত ও পুস্পস্তবক অর্পণ করেছেন হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: দেশ রূপান্তর
নবাব স্যার সলিমুল্লাহর জমির ওপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত কিনা-সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার অবদানকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম হলেও কোনো অজানা কারণে নবাব সলিমুল্লাহর জন্ম কিংবা মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ এতদিন চোখে পড়েনি। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে কখনো স্মরণ করা হতো না।
যে তিনটি হল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করেছিল সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (প্রতিষ্ঠাকালীন নাম মুসলিম হল) এর মধ্যে অন্যতম। খোদ নবাব সলিমুল্লাহর নামের হলটিতেও হল প্রশাসনের উদ্যোগে তাকে স্মরণ করে বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। তবে দীর্ঘদিন পর হলেও এবার নবাবকে স্মরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ক্ষমতামুখী হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধেও নামার ঘোষণা হাসনাতেরক্ষমতামুখী হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধেও নামার ঘোষণা হাসনাতের
আজ বুধবার দুপুরে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল প্রশাসনের আয়োজনে পুরান ঢাকার বেগম বাজারে অবস্থিত নবাবদের সমাধিক্ষেত্রে কবর জিয়ারত ও পুস্পস্তবক অর্পণ করেছেন হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাড়াও বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর আগে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে নবাব সলিমুল্লাহকে স্মরণ করা হয়নি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন উপাচার্য এবং প্রভোস্ট নিয়োগ হওয়ার পর বিষয়টি জানালে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন এই উদ্যোগ নেন।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থী রায়হান উদ্দিন বলেন, আমরা সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত খুশি যে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় যার অবদান অনস্বীকার্য তার কবর জিয়ারত করতে পেরেছি। শুনেছি গত ৩০ বছরেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মানুষ ভুলে যেতে বসেছিল যে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ এবং তার অবদানকে। এমনকি মাত্র এক কিলোমিটার দূরে পুরান ঢাকার বেগম বাজারে তার কবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তো দূরের কথা সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরাও অনেকেই এই জিনিসটা জানত না। তার কবর জিয়ারত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা চাই এই ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।
হলের আরেক শিক্ষার্থী মাঈনুল ইসলাম বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ইতোপূর্বে আমি এসএম হলে কখনো এমন দেখিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে এই মানুষটির নাম। অথচ বিগত বছরগুলোতে আমরা কখনো ওনাকে স্মরণ করে কোনো উদ্দোগ নিইনি৷
ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪৫ পরিবারকে অর্থ সহায়তাফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৪৫ পরিবারকে অর্থ সহায়তা
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা আমাকে এই বিষয়ে জানায়। কোনোভাবে ঢাবি ও সলিমুল্লাহ হল প্রতিষ্ঠাতা নবাব সলিমুল্লাহকে স্মরণকরা যায় কিনা। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমি এই উদ্যোগ নিই। উনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হলেও ইতিপূর্বে আমিও কখনো দেখিনি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা হল থেকে নবাব সলিমুল্লাহ স্মরণ করতে। আমাদের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরাও কখনো এভাবে নবাব সলিমুল্লাহকে স্মরণ করতে আসেননি। দীর্ঘদিন পর এটিই প্রথম। আশা করি সামনে থেকে এই প্র্যাকটিস জারি থাকবে।