ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইলে একাত্তরপূর্ব ভূমিকার জন্য সম্মান পাবেন শেখ মুজিব: মাহফুজ

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / 138
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

অন্তর্বর্তী সরকারের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, শেখ মুজিব ‘৭১ পূর্ববর্তী ভূমিকার জন্য সম্মান পাবেন, যদি শেখের একাত্তর পরবর্তী গণহত্যা, গুম, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ এবং অবশ্যই ‘৭২-এর সংবিধান, যা বাকশালের পথ প্রশস্ত করেছিল— এসবের জন্য তার দল ও পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চান। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বিষয়ে এ কথা লেখেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগ ও পরিবারের) শেখ কন্যার (তিনি তার পিতাকে বিদ্রুপ ও হাসির পাত্র বানিয়েছেন) স্বৈরাচারী শাসনের দায় স্বীকার করা, ক্ষমা চাওয়া ও বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়া উচিৎ। মুজিববাদী রাজনীতি ও শেখ পরিবারের বন্দনাও পরিহার করা উচিৎ।

মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টের শুরুটা ছিল এমন, শেখ মুজিব ও তার কন্যা [আরেক শেখ] তাদের স্বৈরাচারী শাসনের জন্য জনগণের ক্রোধ ও ঘৃণার শিকার হয়েছেন। একমাত্র পার্থক্য হলো— শেখ হাসিনার মতো নয়, শেখ মুজিব একসময় পূর্ব বাংলার জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে জনগণ তাকে অনুসরণ করেছিলেন। কিন্তু ‘৭১-এর পর তিনি নিজেই একজন অত্যাচারী শাসকে পরিণত হন।

উপদেষ্টা বলেন, মুজিববাদকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্যই ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, শেখ মুজিবের স্বৈরাচারী ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭৫ সালে তার মৃত্যুতে শোক পর্যন্ত প্রকাশ করেনি।

সম্প্রতি বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলা হয়েছে। সেটিকে ইঙ্গিত করেই মাহফুজ আলম বলেন, তার কন্যার (শেখ হাসিনা) স্বৈরাচারী শাসনের কারণে শেখের ছবিও সরিয়ে নেয়া হয়েছে (যদিও কর্মকর্তারা সরিয়েছে)। ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ফ্যাসিবাদী বাবার নামে ও একাত্তর পরবর্তী চেতনার কথা বলে শাসন কার্য চালিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনকারীদের একাংশ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হাসিনার পিতাকে দেবতুল্য করা হয়েছিল। কিন্তু বিপ্লবের পর জনগণ তাদের উভয়ের ছবি, মূর্তি ও ভাস্কর্য একসঙ্গে অপসারণ করে। যদি কেউ সরকারি অফিস থেকে শেখদের ছবি সরানোর জন্য আক্ষেপ করেন, তাহলে তিনি মূলত এই গণঅভ্যুত্থান ও জনগণের চেতনাকেই নিন্দা জানালেন।

উপদেষ্টা বলেন, সবার মনে রাখতে হবে যে ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। আমরা ইতিহাসের অসংগতি ও অপব্যাখ্যাগুলো সংশোধন করতে এখানে এসেছি। মনে রাখবেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের গণমানুষের। তবে কোনো মুক্তিযোদ্ধা যদি একাত্তরের পর অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তার বিচার ও সাজা হওয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকার জন্য তাদেরকে ছাড় দেয়া উচিত নয়। সবশেষে তিনি বলেন, ‘৪৭ এবং ‘৭১-এর পাশাপাশি জুলাইয়ের চেতনা সবার স্মৃতিতে অম্লান থাকুক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইলে একাত্তরপূর্ব ভূমিকার জন্য সম্মান পাবেন শেখ মুজিব: মাহফুজ

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

 

 

অন্তর্বর্তী সরকারের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, শেখ মুজিব ‘৭১ পূর্ববর্তী ভূমিকার জন্য সম্মান পাবেন, যদি শেখের একাত্তর পরবর্তী গণহত্যা, গুম, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ এবং অবশ্যই ‘৭২-এর সংবিধান, যা বাকশালের পথ প্রশস্ত করেছিল— এসবের জন্য তার দল ও পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চান। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বিষয়ে এ কথা লেখেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগ ও পরিবারের) শেখ কন্যার (তিনি তার পিতাকে বিদ্রুপ ও হাসির পাত্র বানিয়েছেন) স্বৈরাচারী শাসনের দায় স্বীকার করা, ক্ষমা চাওয়া ও বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়া উচিৎ। মুজিববাদী রাজনীতি ও শেখ পরিবারের বন্দনাও পরিহার করা উচিৎ।

মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টের শুরুটা ছিল এমন, শেখ মুজিব ও তার কন্যা [আরেক শেখ] তাদের স্বৈরাচারী শাসনের জন্য জনগণের ক্রোধ ও ঘৃণার শিকার হয়েছেন। একমাত্র পার্থক্য হলো— শেখ হাসিনার মতো নয়, শেখ মুজিব একসময় পূর্ব বাংলার জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে জনগণ তাকে অনুসরণ করেছিলেন। কিন্তু ‘৭১-এর পর তিনি নিজেই একজন অত্যাচারী শাসকে পরিণত হন।

উপদেষ্টা বলেন, মুজিববাদকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্যই ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, শেখ মুজিবের স্বৈরাচারী ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭৫ সালে তার মৃত্যুতে শোক পর্যন্ত প্রকাশ করেনি।

সম্প্রতি বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলা হয়েছে। সেটিকে ইঙ্গিত করেই মাহফুজ আলম বলেন, তার কন্যার (শেখ হাসিনা) স্বৈরাচারী শাসনের কারণে শেখের ছবিও সরিয়ে নেয়া হয়েছে (যদিও কর্মকর্তারা সরিয়েছে)। ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ফ্যাসিবাদী বাবার নামে ও একাত্তর পরবর্তী চেতনার কথা বলে শাসন কার্য চালিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনকারীদের একাংশ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হাসিনার পিতাকে দেবতুল্য করা হয়েছিল। কিন্তু বিপ্লবের পর জনগণ তাদের উভয়ের ছবি, মূর্তি ও ভাস্কর্য একসঙ্গে অপসারণ করে। যদি কেউ সরকারি অফিস থেকে শেখদের ছবি সরানোর জন্য আক্ষেপ করেন, তাহলে তিনি মূলত এই গণঅভ্যুত্থান ও জনগণের চেতনাকেই নিন্দা জানালেন।

উপদেষ্টা বলেন, সবার মনে রাখতে হবে যে ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। আমরা ইতিহাসের অসংগতি ও অপব্যাখ্যাগুলো সংশোধন করতে এখানে এসেছি। মনে রাখবেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের গণমানুষের। তবে কোনো মুক্তিযোদ্ধা যদি একাত্তরের পর অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তার বিচার ও সাজা হওয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকার জন্য তাদেরকে ছাড় দেয়া উচিত নয়। সবশেষে তিনি বলেন, ‘৪৭ এবং ‘৭১-এর পাশাপাশি জুলাইয়ের চেতনা সবার স্মৃতিতে অম্লান থাকুক।