ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড: মুহাম্মদ ইউনুস ইন্ডিয়ার জায়গামত আঘাত করেছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলের ঐক্য ভারত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরে বাধ্য: ড. ইউনূস মুন্নী সাহা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে জমা হয় ১৩৪ কোটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে আ. লীগের দৃষ্টিতে দেখা বন্ধ করতে হবে : ভারতকে নাহিদ ইসলাম “ছাত্রদের ভূমিকা ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা” অশান্তির জন্য মহম্মদ ইউনূসকেই দায়ী করলেন শেখ হাসিনা৷ ফেরত চাওয়া হবে শেখ হাসিনাকে, মানতে বাধ্য ভারত: ড. ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার: শ্বেতপত্রে উন্মোচিত সাংবাদিক মুন্নী সাহা গ্রেপ্তার অচিরেই কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা: উপদেষ্টা আসিফ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত কেন তথ্যযুদ্ধে নেমেছে? ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল কোটি টাকার বাস ৯০ লাখে বানাবে বিআরটিসি ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ: সংখ্যালঘুরা ‘আগের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে’ বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের খবর ভুয়া ধানমন্ডি লেকে হবে ‘বিদ্রোহী চত্বর’ সারজি এবং হাসনাতের গাড়ি চাপা দেয়া ট্রাক ও ট্রাকের ড্রাইভার আটক রাষ্ট্রের যেসব বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশনগুলো

আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইলে একাত্তরপূর্ব ভূমিকার জন্য সম্মান পাবেন শেখ মুজিব: মাহফুজ

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

অন্তর্বর্তী সরকারের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, শেখ মুজিব ‘৭১ পূর্ববর্তী ভূমিকার জন্য সম্মান পাবেন, যদি শেখের একাত্তর পরবর্তী গণহত্যা, গুম, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ এবং অবশ্যই ‘৭২-এর সংবিধান, যা বাকশালের পথ প্রশস্ত করেছিল— এসবের জন্য তার দল ও পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চান। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বিষয়ে এ কথা লেখেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগ ও পরিবারের) শেখ কন্যার (তিনি তার পিতাকে বিদ্রুপ ও হাসির পাত্র বানিয়েছেন) স্বৈরাচারী শাসনের দায় স্বীকার করা, ক্ষমা চাওয়া ও বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়া উচিৎ। মুজিববাদী রাজনীতি ও শেখ পরিবারের বন্দনাও পরিহার করা উচিৎ।

মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টের শুরুটা ছিল এমন, শেখ মুজিব ও তার কন্যা [আরেক শেখ] তাদের স্বৈরাচারী শাসনের জন্য জনগণের ক্রোধ ও ঘৃণার শিকার হয়েছেন। একমাত্র পার্থক্য হলো— শেখ হাসিনার মতো নয়, শেখ মুজিব একসময় পূর্ব বাংলার জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে জনগণ তাকে অনুসরণ করেছিলেন। কিন্তু ‘৭১-এর পর তিনি নিজেই একজন অত্যাচারী শাসকে পরিণত হন।

উপদেষ্টা বলেন, মুজিববাদকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্যই ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, শেখ মুজিবের স্বৈরাচারী ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭৫ সালে তার মৃত্যুতে শোক পর্যন্ত প্রকাশ করেনি।

সম্প্রতি বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলা হয়েছে। সেটিকে ইঙ্গিত করেই মাহফুজ আলম বলেন, তার কন্যার (শেখ হাসিনা) স্বৈরাচারী শাসনের কারণে শেখের ছবিও সরিয়ে নেয়া হয়েছে (যদিও কর্মকর্তারা সরিয়েছে)। ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ফ্যাসিবাদী বাবার নামে ও একাত্তর পরবর্তী চেতনার কথা বলে শাসন কার্য চালিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনকারীদের একাংশ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হাসিনার পিতাকে দেবতুল্য করা হয়েছিল। কিন্তু বিপ্লবের পর জনগণ তাদের উভয়ের ছবি, মূর্তি ও ভাস্কর্য একসঙ্গে অপসারণ করে। যদি কেউ সরকারি অফিস থেকে শেখদের ছবি সরানোর জন্য আক্ষেপ করেন, তাহলে তিনি মূলত এই গণঅভ্যুত্থান ও জনগণের চেতনাকেই নিন্দা জানালেন।

উপদেষ্টা বলেন, সবার মনে রাখতে হবে যে ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। আমরা ইতিহাসের অসংগতি ও অপব্যাখ্যাগুলো সংশোধন করতে এখানে এসেছি। মনে রাখবেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের গণমানুষের। তবে কোনো মুক্তিযোদ্ধা যদি একাত্তরের পর অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তার বিচার ও সাজা হওয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকার জন্য তাদেরকে ছাড় দেয়া উচিত নয়। সবশেষে তিনি বলেন, ‘৪৭ এবং ‘৭১-এর পাশাপাশি জুলাইয়ের চেতনা সবার স্মৃতিতে অম্লান থাকুক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইলে একাত্তরপূর্ব ভূমিকার জন্য সম্মান পাবেন শেখ মুজিব: মাহফুজ

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

 

 

অন্তর্বর্তী সরকারের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, শেখ মুজিব ‘৭১ পূর্ববর্তী ভূমিকার জন্য সম্মান পাবেন, যদি শেখের একাত্তর পরবর্তী গণহত্যা, গুম, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ এবং অবশ্যই ‘৭২-এর সংবিধান, যা বাকশালের পথ প্রশস্ত করেছিল— এসবের জন্য তার দল ও পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চান। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বিষয়ে এ কথা লেখেন তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগ ও পরিবারের) শেখ কন্যার (তিনি তার পিতাকে বিদ্রুপ ও হাসির পাত্র বানিয়েছেন) স্বৈরাচারী শাসনের দায় স্বীকার করা, ক্ষমা চাওয়া ও বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়া উচিৎ। মুজিববাদী রাজনীতি ও শেখ পরিবারের বন্দনাও পরিহার করা উচিৎ।

মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টের শুরুটা ছিল এমন, শেখ মুজিব ও তার কন্যা [আরেক শেখ] তাদের স্বৈরাচারী শাসনের জন্য জনগণের ক্রোধ ও ঘৃণার শিকার হয়েছেন। একমাত্র পার্থক্য হলো— শেখ হাসিনার মতো নয়, শেখ মুজিব একসময় পূর্ব বাংলার জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে জনগণ তাকে অনুসরণ করেছিলেন। কিন্তু ‘৭১-এর পর তিনি নিজেই একজন অত্যাচারী শাসকে পরিণত হন।

উপদেষ্টা বলেন, মুজিববাদকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্যই ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ দুর্বল ও বিভক্ত হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, শেখ মুজিবের স্বৈরাচারী ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭৫ সালে তার মৃত্যুতে শোক পর্যন্ত প্রকাশ করেনি।

সম্প্রতি বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলা হয়েছে। সেটিকে ইঙ্গিত করেই মাহফুজ আলম বলেন, তার কন্যার (শেখ হাসিনা) স্বৈরাচারী শাসনের কারণে শেখের ছবিও সরিয়ে নেয়া হয়েছে (যদিও কর্মকর্তারা সরিয়েছে)। ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ফ্যাসিবাদী বাবার নামে ও একাত্তর পরবর্তী চেতনার কথা বলে শাসন কার্য চালিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনকারীদের একাংশ শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হাসিনার পিতাকে দেবতুল্য করা হয়েছিল। কিন্তু বিপ্লবের পর জনগণ তাদের উভয়ের ছবি, মূর্তি ও ভাস্কর্য একসঙ্গে অপসারণ করে। যদি কেউ সরকারি অফিস থেকে শেখদের ছবি সরানোর জন্য আক্ষেপ করেন, তাহলে তিনি মূলত এই গণঅভ্যুত্থান ও জনগণের চেতনাকেই নিন্দা জানালেন।

উপদেষ্টা বলেন, সবার মনে রাখতে হবে যে ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। আমরা ইতিহাসের অসংগতি ও অপব্যাখ্যাগুলো সংশোধন করতে এখানে এসেছি। মনে রাখবেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের গণমানুষের। তবে কোনো মুক্তিযোদ্ধা যদি একাত্তরের পর অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তার বিচার ও সাজা হওয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকার জন্য তাদেরকে ছাড় দেয়া উচিত নয়। সবশেষে তিনি বলেন, ‘৪৭ এবং ‘৭১-এর পাশাপাশি জুলাইয়ের চেতনা সবার স্মৃতিতে অম্লান থাকুক।