ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

আগামীর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থাকবে না – পিনাকী ভট্টাচার্য

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 51
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আজকের দিনে বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সমাজের চিন্তা-ধারা কতটা বদলাচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য এক টকশোতে তার বক্তব্যে বলেন, “আগামীর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থাকবে না”। টকশোতে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, “আমরা বিভেদ দেখতে পাচ্ছি, আর এই বিভেদ শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতেই নয়, অনলাইনে যারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন, তাদের মধ্যেও একটি বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, কেন এই বিভেদটা হলো?”

এই প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, যারা একসাথে লড়াই করেছেন, যারা একসাথে হাসিনা বিরোধী লড়াইয়ে সহযোদ্ধা ছিলেন, তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সম্পর্ক সবসময়ই থাকবে এবং তিনি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা অনুভব করেন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে, যারা একসাথে কাজ করেছেন।’ তবে, তিনি মনে করেন, সমাজ স্থির নয়, এটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের নানা চিন্তা ছিল, সেখানে ডানপন্থী, বামপন্থী, ইসলামপন্থী এমনকি নাস্তিকেরা ছিল, সব ধরনের লোক এসেছিল। সেখানে দুটি পক্ষ ছিল – হাসিনা এবং হাসিনা বিরোধী। আমরা সবাই হাসিনা বিরোধী পক্ষে ছিলাম, যারা অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট মুভমেন্ট করেছে।”

পিনাকী আরো বলেন, “কমিউনিস্টদের ফিলোসফি থাকে, সমাজটিকে নদীর মতো দেখা হয়। নদীর মতো এখানে নানা ধরনের শ্রোতাকে স্রোত থাকতে হয়, ছোট বড় প্রধান স্রোত থাকে, তবে নানা ধরনের ঘুর্ণি থাকে। সমাজের নানা চিন্তা, অসংখ্য চিঁড় থাকলেও, মানুষের চিন্তা একে অপরের পাশে জড়ো হয়ে যায় এবং এটি প্রধান চিন্তা হয়ে দাঁড়ায়।”

“আমাদের প্রধান দ্বন্দ্ব ছিল হাসিনা যখন রেজিমে ছিল, ফ্যাসিবাদ থাকবে নাকি থাকবে না। আমরা সবাই এক হয়েছি ফ্যাসিবাদ থাকবে না এই পক্ষে। এখন, যদি আমি চলে যাই, তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, সমাজের দ্বন্দ্ব কী হবে?”
তিনি আরো বলেন, “আমরা প্রত্যেকেই আমাদের নিজস্ব ন্যারেটিভ নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভাবছি। রাষ্ট্রের প্রবলেম, সমাজের সমস্যা কীভাবে সমাধান হবে, এ বিষয়ে প্রত্যেকের আলাদা আলাদা ইমাজিনেশন রয়েছে।”
“যেমন, আমি স্বপ্ন দেখি, আগামী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থাকবে না, আওয়ামী লীগ দলই থাকবে না। আগামী বাংলাদেশে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থাকবে না, ওইটা মাটির সাথে মিশে যাবে। আগামী বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসণের কোনও চিহ্ন থাকবে না। কিছু করতে পারবে না। আগামী বাংলাদেশ হবে সাম্যের সমাজ, ইনসাফের সমাজ। এটি আমার স্বপ্ন।”

এই স্বপ্নের সাথে কেউ একমত হবে, কেউ একমত হবে না। ন্যাচারালি, আমি তাদের সাথে চলতে পারব না যারা আমার এই চিন্তার বিপরীতে আছে।এজন্যই, প্রত্যেকের চিন্তা আলাদা, এবং সবার চিন্তার মধ্যে আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে বিভেদ থাকবে। তবে, যেটা স্পষ্ট, যে যত ভালো ইমাজিনেশন জনগণের সামনে দাঁড় করাতে পারবে, জনগণ তার সাথে দাঁড়াবে।এভাবে, পিনাকী ভট্টাচার্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে, আগামী বাংলাদেশের রূপ এবং রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিবর্তনের আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আগামীর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থাকবে না – পিনাকী ভট্টাচার্য

আপডেট সময় : ০১:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

আজকের দিনে বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সমাজের চিন্তা-ধারা কতটা বদলাচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য এক টকশোতে তার বক্তব্যে বলেন, “আগামীর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থাকবে না”। টকশোতে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, “আমরা বিভেদ দেখতে পাচ্ছি, আর এই বিভেদ শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতেই নয়, অনলাইনে যারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন, তাদের মধ্যেও একটি বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, কেন এই বিভেদটা হলো?”

এই প্রশ্নের জবাবে পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, যারা একসাথে লড়াই করেছেন, যারা একসাথে হাসিনা বিরোধী লড়াইয়ে সহযোদ্ধা ছিলেন, তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সম্পর্ক সবসময়ই থাকবে এবং তিনি তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা অনুভব করেন। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে, যারা একসাথে কাজ করেছেন।’ তবে, তিনি মনে করেন, সমাজ স্থির নয়, এটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের নানা চিন্তা ছিল, সেখানে ডানপন্থী, বামপন্থী, ইসলামপন্থী এমনকি নাস্তিকেরা ছিল, সব ধরনের লোক এসেছিল। সেখানে দুটি পক্ষ ছিল – হাসিনা এবং হাসিনা বিরোধী। আমরা সবাই হাসিনা বিরোধী পক্ষে ছিলাম, যারা অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট মুভমেন্ট করেছে।”

পিনাকী আরো বলেন, “কমিউনিস্টদের ফিলোসফি থাকে, সমাজটিকে নদীর মতো দেখা হয়। নদীর মতো এখানে নানা ধরনের শ্রোতাকে স্রোত থাকতে হয়, ছোট বড় প্রধান স্রোত থাকে, তবে নানা ধরনের ঘুর্ণি থাকে। সমাজের নানা চিন্তা, অসংখ্য চিঁড় থাকলেও, মানুষের চিন্তা একে অপরের পাশে জড়ো হয়ে যায় এবং এটি প্রধান চিন্তা হয়ে দাঁড়ায়।”

“আমাদের প্রধান দ্বন্দ্ব ছিল হাসিনা যখন রেজিমে ছিল, ফ্যাসিবাদ থাকবে নাকি থাকবে না। আমরা সবাই এক হয়েছি ফ্যাসিবাদ থাকবে না এই পক্ষে। এখন, যদি আমি চলে যাই, তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, সমাজের দ্বন্দ্ব কী হবে?”
তিনি আরো বলেন, “আমরা প্রত্যেকেই আমাদের নিজস্ব ন্যারেটিভ নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভাবছি। রাষ্ট্রের প্রবলেম, সমাজের সমস্যা কীভাবে সমাধান হবে, এ বিষয়ে প্রত্যেকের আলাদা আলাদা ইমাজিনেশন রয়েছে।”
“যেমন, আমি স্বপ্ন দেখি, আগামী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থাকবে না, আওয়ামী লীগ দলই থাকবে না। আগামী বাংলাদেশে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থাকবে না, ওইটা মাটির সাথে মিশে যাবে। আগামী বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসণের কোনও চিহ্ন থাকবে না। কিছু করতে পারবে না। আগামী বাংলাদেশ হবে সাম্যের সমাজ, ইনসাফের সমাজ। এটি আমার স্বপ্ন।”

এই স্বপ্নের সাথে কেউ একমত হবে, কেউ একমত হবে না। ন্যাচারালি, আমি তাদের সাথে চলতে পারব না যারা আমার এই চিন্তার বিপরীতে আছে।এজন্যই, প্রত্যেকের চিন্তা আলাদা, এবং সবার চিন্তার মধ্যে আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে বিভেদ থাকবে। তবে, যেটা স্পষ্ট, যে যত ভালো ইমাজিনেশন জনগণের সামনে দাঁড় করাতে পারবে, জনগণ তার সাথে দাঁড়াবে।এভাবে, পিনাকী ভট্টাচার্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে, আগামী বাংলাদেশের রূপ এবং রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিবর্তনের আহ্বান জানান।