আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ৮ স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের নির্দেশ
- আপডেট সময় : ০৭:৩২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ৮টি স্থানে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও লাইব্রেরি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া, উত্তরা, মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ইসিবি চত্বর, বাড্ডা-রামপুরা, চানখাঁরপুল, মোহাম্মদপুর এবং রংপুরে আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার স্থানে এসব স্মৃতিস্তম্ভসহ লাইব্রেরি নির্মাণের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।
বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা ৩৬ দিনে নিহতদের স্মরণে আটটি স্থানে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও লাইব্রেরি নির্মাণের এই আদেশ দেন। এ ছাড়া ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের তালিকা প্রস্তুত করতে এবং আহতদের প্রয়োজন অনুযায়ী দেশে-বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে প্রতি চার মাস অন্তর এই আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের দায়ের করা এক রিট পিটিশনের ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন উচ্চ আদালত। জনস্বার্থে ‘জুলাই ৩৬’ অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের তালিকা, চিকিৎসা ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য রিটটি করেন ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।
ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন।
একই সঙ্গে জুলাই-৩৬ ও শহীদদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ জারি করেন এবং আহতদের দেশে এবং বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
রিট রেসপনডেন্ট (বিবাদী) করা হয়েছে- স্বাস্থ্যসচিব, মন্ত্রিপরিষদসচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব-১, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১১ জন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।