ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

আমাদের কান্না কখনো থামবে না’

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 57
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের উদ্দেশে এক নীরবতা পালনের মধ্যে শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টায় শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত হাজারো ছাত্র-জনতা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এরপর মঞ্চে উঠে বক্তব্য দেন আন্দোলনে শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘প্রতি মুহূর্তে আমার সন্তানকে অনুভব করি। আমাদের কান্না কখনো থামবে না। খুনি হাসিনা যে দুই হাজার ছেলেমেয়েকে হত্যা করেছে, আমি এর জন্য তার ও তার মন্ত্রিসভার সদস্য, হেলমেট বাহিনীর বিচার চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেই আমাদের শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা আমাদের সন্তানদের হত্যার বিচার চাই।’

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও ছাত্রনেতার বক্তব্যের পর মঞ্চে আসেন চট্টগ্রামের ছাত্র সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। তিনি বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষণা করা হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আজ সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন হাজারো ছাত্র-জনতা। শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ছাত্র-জনতা বিভিন্ন গ্রুপে শহীদ মিনার এলাকায় এসে অবস্থান নিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ সমন্বয়করা মঞ্চে অবস্থান নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান দেন। উপস্থিত ছাত্র-জনতা তাদের স্লোগানে কণ্ঠ মেলান। স্লোগান স্লোগানে উত্তাল পুরো শহীদ মিনার এলাকা।

মঞ্চে আরও দেখা গেছে জাতীয় নাগরিক কমিটির আখতার হোসেন, নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারীসহ অন্যান্য নেতাদের।

মৌলভীবাজার থেকে আসা শফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী  জানান, তারা প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী শহীদ মিনারে এসেছেন। গতরাত ৩টার দিকে রওনা দিয়ে সকাল ৯টায় শহীদ মিনারে এসে পৌঁছান। চত্বরে আসার পর দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দেখা হয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশের অংশ হিসেবেই আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েতের আহ্বান জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

তবে, গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশের ঘোষণা দেওয়ায় নিজেদের পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে শহীদ মিনারে গণজমায়েত করলেও আজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তারা প্রকাশ করছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আমাদের কান্না কখনো থামবে না’

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

 

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের উদ্দেশে এক নীরবতা পালনের মধ্যে শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টায় শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত হাজারো ছাত্র-জনতা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এরপর মঞ্চে উঠে বক্তব্য দেন আন্দোলনে শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘প্রতি মুহূর্তে আমার সন্তানকে অনুভব করি। আমাদের কান্না কখনো থামবে না। খুনি হাসিনা যে দুই হাজার ছেলেমেয়েকে হত্যা করেছে, আমি এর জন্য তার ও তার মন্ত্রিসভার সদস্য, হেলমেট বাহিনীর বিচার চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেই আমাদের শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা আমাদের সন্তানদের হত্যার বিচার চাই।’

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও ছাত্রনেতার বক্তব্যের পর মঞ্চে আসেন চট্টগ্রামের ছাত্র সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। তিনি বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষণা করা হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আজ সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন হাজারো ছাত্র-জনতা। শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ছাত্র-জনতা বিভিন্ন গ্রুপে শহীদ মিনার এলাকায় এসে অবস্থান নিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ সমন্বয়করা মঞ্চে অবস্থান নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান দেন। উপস্থিত ছাত্র-জনতা তাদের স্লোগানে কণ্ঠ মেলান। স্লোগান স্লোগানে উত্তাল পুরো শহীদ মিনার এলাকা।

মঞ্চে আরও দেখা গেছে জাতীয় নাগরিক কমিটির আখতার হোসেন, নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারীসহ অন্যান্য নেতাদের।

মৌলভীবাজার থেকে আসা শফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী  জানান, তারা প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী শহীদ মিনারে এসেছেন। গতরাত ৩টার দিকে রওনা দিয়ে সকাল ৯টায় শহীদ মিনারে এসে পৌঁছান। চত্বরে আসার পর দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দেখা হয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশের অংশ হিসেবেই আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েতের আহ্বান জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

তবে, গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশের ঘোষণা দেওয়ায় নিজেদের পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে শহীদ মিনারে গণজমায়েত করলেও আজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তারা প্রকাশ করছে না।