ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড: মুহাম্মদ ইউনুস ইন্ডিয়ার জায়গামত আঘাত করেছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলের ঐক্য ভারত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরে বাধ্য: ড. ইউনূস মুন্নী সাহা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে জমা হয় ১৩৪ কোটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে আ. লীগের দৃষ্টিতে দেখা বন্ধ করতে হবে : ভারতকে নাহিদ ইসলাম “ছাত্রদের ভূমিকা ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা” অশান্তির জন্য মহম্মদ ইউনূসকেই দায়ী করলেন শেখ হাসিনা৷ ফেরত চাওয়া হবে শেখ হাসিনাকে, মানতে বাধ্য ভারত: ড. ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার: শ্বেতপত্রে উন্মোচিত সাংবাদিক মুন্নী সাহা গ্রেপ্তার অচিরেই কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা: উপদেষ্টা আসিফ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত কেন তথ্যযুদ্ধে নেমেছে? ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল কোটি টাকার বাস ৯০ লাখে বানাবে বিআরটিসি ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ: সংখ্যালঘুরা ‘আগের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে’ বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের খবর ভুয়া ধানমন্ডি লেকে হবে ‘বিদ্রোহী চত্বর’ সারজি এবং হাসনাতের গাড়ি চাপা দেয়া ট্রাক ও ট্রাকের ড্রাইভার আটক রাষ্ট্রের যেসব বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে সংস্কার কমিশনগুলো

আলোচনায় অভ্যুত্থানকারীদের রাজনৈতিক দল গঠন, ভিন্ন কিছুর আভাস

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অভ্যুত্থানকারী তরুণদের রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি আবারও আলোচনায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যালট বিপ্লবের ডাক দেয় জাতীয় নাগরিক কমিটি। তাত্ত্বিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক আবুল কাসেম ফজলুল হক মনে করেন, অন্য সময়ে দল গঠনের উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পরলেও এবার ভিন্ন কিছু ঘটতে পারে।

‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’–জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের এ ঘোষণা কি কেবল রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন নাকি নতুন দল উত্থানের আকাঙ্ক্ষা–তা নিয়ে কৌতূহল আছে জনমনে, রাজনৈতিক পরিসরে।

এটি আরও জোরালো হয় যখন, সারা দেশে থানা পর্যন্ত কমিটি গঠন শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তরুণদের জাতীয় নাগরিক কমিটি। সবশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যালট বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হওয়ার কথা বলেছেন তারা। তরুণদের নতুন দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে চাই–এমন হ্যাশট্যাশে স্ট্যাটাস দিতেও দেখা যাচ্ছে অভ্যুত্থানকারীদের প্ল্যাটফর্ম থেকে।

কেন এই ঘোষণা? এর ব্যাখ্যা দিলেন তরুণ নেতাদের মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘নাগরিক কমিটির জায়গা থেকে আমরা মনে করি যে তরুণদের অসংখ্য দল থাকুক। আমরা চাই, তরুণদের একটা দলই ক্ষমতায় যাক। আমাদের নাগরিক প্ল্যাটফর্মের জায়গা থেকে যেভাবে সহযোগিতা করতে পারি, সেখানে আমরা পুরোপুরি ওপেন আছি।’

কিন্তু বহুধারার অসংখ্য রাজনৈতিক দল থাকার পরও কেন আলাদা শক্তি হিসেবে আবির্ভূত চান তরুণরা? এ বিষয়ে সামান্তা বলেন,
আমাদের সব রাজনৈতিক দল বলে, জনগণ জনগণ। তাহলে ওই জনগণ কি শুধু ওই দলের অডিয়েন্স? ওই রাজনৈতিক দলগুলো কি আমাদের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ধরতে পেরেছে? ছাত্র এবং তরুণদের যে অংশটা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিলো, সেই অংশটাকে নিয়ে কারও কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

‘আমরা মনে করি, সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক যে দৃশ্যপট আছে, সেখানে নতুন রাজনৈতিক দল মানুষ আকাঙ্খা করছে। আর সেটা হওয়াও উচিত। আমাদের জায়গা থেকে এ নিয়ে পূর্ণ সমর্থন জানাই। আমরা মনে করি, সেটা দ্রুতই হওয়া উচিত’, যোগ করেন তরুণ নেতাদের মুখপাত্র।

যদিও বাস্তবতা বলছে, বহুবারই হোঁচট খেয়েছে নতুন দল গঠনের উদ্যোগ। এবারও তেমন কিছু হয় কিনা, উড়িয়ে দেয়া যায় না সে সংশয়ও। এ বিষয়ে রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ভিন্ন কিছু দেখছেন এবার।

তিনি বলেন,
যেসব লক্ষণ দেখেছি, তাতে আমরা মনে হয় যে আগামী নির্বাচন আসার আগে আগে একটা ভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তারা সামনে আসবে। এই শূন্যতার মধ্যে নতুন দল হলে একেবারে খারাপ হবে না। সম্পূর্ণ বিজয়ী হতে না পারলেও অনেকটাই বিজয়ী হতে পারে। এ ছাড়া অন্য কোনো কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী কোয়ালিশন করে তারা সরকারও গঠন করতে পারে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বাইরের কোন কোন শক্তি কীভাবে কাজ করছে, সেটাও বুঝতে হবে।

ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের নতুন প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটি। আর ২২ অক্টেোবর আত্মপ্রকাশ ঘটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটির।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আলোচনায় অভ্যুত্থানকারীদের রাজনৈতিক দল গঠন, ভিন্ন কিছুর আভাস

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

অভ্যুত্থানকারী তরুণদের রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি আবারও আলোচনায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যালট বিপ্লবের ডাক দেয় জাতীয় নাগরিক কমিটি। তাত্ত্বিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক আবুল কাসেম ফজলুল হক মনে করেন, অন্য সময়ে দল গঠনের উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পরলেও এবার ভিন্ন কিছু ঘটতে পারে।

‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’–জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের এ ঘোষণা কি কেবল রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন নাকি নতুন দল উত্থানের আকাঙ্ক্ষা–তা নিয়ে কৌতূহল আছে জনমনে, রাজনৈতিক পরিসরে।

এটি আরও জোরালো হয় যখন, সারা দেশে থানা পর্যন্ত কমিটি গঠন শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তরুণদের জাতীয় নাগরিক কমিটি। সবশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যালট বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হওয়ার কথা বলেছেন তারা। তরুণদের নতুন দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে চাই–এমন হ্যাশট্যাশে স্ট্যাটাস দিতেও দেখা যাচ্ছে অভ্যুত্থানকারীদের প্ল্যাটফর্ম থেকে।

কেন এই ঘোষণা? এর ব্যাখ্যা দিলেন তরুণ নেতাদের মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ‘নাগরিক কমিটির জায়গা থেকে আমরা মনে করি যে তরুণদের অসংখ্য দল থাকুক। আমরা চাই, তরুণদের একটা দলই ক্ষমতায় যাক। আমাদের নাগরিক প্ল্যাটফর্মের জায়গা থেকে যেভাবে সহযোগিতা করতে পারি, সেখানে আমরা পুরোপুরি ওপেন আছি।’

কিন্তু বহুধারার অসংখ্য রাজনৈতিক দল থাকার পরও কেন আলাদা শক্তি হিসেবে আবির্ভূত চান তরুণরা? এ বিষয়ে সামান্তা বলেন,
আমাদের সব রাজনৈতিক দল বলে, জনগণ জনগণ। তাহলে ওই জনগণ কি শুধু ওই দলের অডিয়েন্স? ওই রাজনৈতিক দলগুলো কি আমাদের তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ধরতে পেরেছে? ছাত্র এবং তরুণদের যে অংশটা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিলো, সেই অংশটাকে নিয়ে কারও কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

‘আমরা মনে করি, সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক যে দৃশ্যপট আছে, সেখানে নতুন রাজনৈতিক দল মানুষ আকাঙ্খা করছে। আর সেটা হওয়াও উচিত। আমাদের জায়গা থেকে এ নিয়ে পূর্ণ সমর্থন জানাই। আমরা মনে করি, সেটা দ্রুতই হওয়া উচিত’, যোগ করেন তরুণ নেতাদের মুখপাত্র।

যদিও বাস্তবতা বলছে, বহুবারই হোঁচট খেয়েছে নতুন দল গঠনের উদ্যোগ। এবারও তেমন কিছু হয় কিনা, উড়িয়ে দেয়া যায় না সে সংশয়ও। এ বিষয়ে রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ভিন্ন কিছু দেখছেন এবার।

তিনি বলেন,
যেসব লক্ষণ দেখেছি, তাতে আমরা মনে হয় যে আগামী নির্বাচন আসার আগে আগে একটা ভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তারা সামনে আসবে। এই শূন্যতার মধ্যে নতুন দল হলে একেবারে খারাপ হবে না। সম্পূর্ণ বিজয়ী হতে না পারলেও অনেকটাই বিজয়ী হতে পারে। এ ছাড়া অন্য কোনো কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী কোয়ালিশন করে তারা সরকারও গঠন করতে পারে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বাইরের কোন কোন শক্তি কীভাবে কাজ করছে, সেটাও বুঝতে হবে।

ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের নতুন প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটি। আর ২২ অক্টেোবর আত্মপ্রকাশ ঘটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটির।