ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 119
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি আবেদন। ২০১৩ সালে পূর্বাচলে একটি প্লটের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। গত ১০ বছরে বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকবার ভাইরাল হয় সেই চিঠি।

বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা ও তানভীর নামে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এক আওয়ামী লীগ কর্মীর ফোনালাপ ফাঁসের পর জয়ের চিঠিটি আবারও ভাইরাল হয়েছে। তবে সেই চিঠি প্রসঙ্গে সরল স্বীকারোক্তিসহ জয় জানিয়েছেন, এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে।

প্লটের জন্য আবেদনে শেখ হাসিনাকে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা সম্বোধন করে তিনি লিখেছেন, ‘আপনার সুযোগ্য পুত্রের নামের আরেক পুত্র শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সালাম রইল আপনার প্রতি। আমি জয়, বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নায়ক (টিভি ও চলচ্চিত্র)। আপনার দোয়ায় গত ১৭ বছর ধরে আমি বাংলাদেশের জনগণের বিনোদনের অন্যতম উৎস হয়ে আছি টিভি পর্দায় এবং সুস্থ চলচ্চিত্রে।’

এ উপস্থাপক আরও লিখেছেন, আপনি অত্যন্ত দরদি এবং বাংলার মানুষের বিপদের বন্ধু। শুধু তাই নয়, গত নির্বাচনকালীন সময়ে আপনি যে বলিষ্ঠ সাহসী এবং জ্ঞানদীপ্ত আদর্শের উপর বলীয়ান ছিলেন তা আমাদের মতো মানুষকে আজীবন আপনার নেতৃত্বকে স্যালুট জানানোর অঙ্গীকার করিয়েছে। মা, আপনার নিকট একজন শিল্পীর আবেদন, আমার সমসাময়িক সকল শিল্পীই পূর্বাচলে ১০ কাঠা ৫ কাঠা প্লট পেয়েছে। আমি দেশের বাইরে শুটিংয়ে থাকার জন্য অ্যাপ্লাই করতেই পারিনি। পরবর্তীতে ঝিলমিলে অ্যাপ্লাই করলে লটারিতে তা পাইনি।’

মূলত প্রতি অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রীকে ‘মা’ সম্বোধন করায় জয়কে ‘তেলবাজ’ আখ্যায়িত করেছেন নেটিজেনরা। পুরাতন চিঠি নতুন করে ভাইরাল করায় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অভিনেতা জয়। তিনি লিখেছেন, ‘অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে। এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য। কিন্তু দেখেন, শাস্তিটা বেশি দিয়ে ফেলবেন না। আল্লাহ তবে আপনাদেরও ক্ষমা করবে না। আল্লাহ যে আছেন এবং যথাসময়ে পাপের শাস্তি হয়, তা আমরা তো সবাই বুঝে গেছি, তাই না? ঘৃণা না ছড়িয়ে শান্ত হন। সবাই মিলে ভালো থাকি, চলুন সবাই যার যার ভুল সংশোধন করি।’

ওই পোস্টে জয় জানিয়েছেন, সে রকম বড় কোনো অপরাধ তিনি করেননি। তাছাড়া ওই প্লটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘আলো আসবে গ্রুপে পান নাই। ইউটিউবারদের ষড়যন্ত্রে পান নাই। তাই বলে আমাকে ছেড়ে দেবেন কেন? ২০১৪ সালের একটি চিঠি এই নিয়ে চৌদ্দবার ভাইরাল করলেন। সাবেক সরকারের কাছ থেকে অনেকেই জমি নিয়েছেন। সেই প্লটগুলো ১৩-এ ধারা। এই সরকার ইতিমধ্যে সব প্লট বাতিল ঘোষণা করেছে। তারপরও ফেসবুকে এই চিঠি নিজস্ব লোকেরা পোস্ট করছেন, আমার নম্বর ভাইরাল করছেন এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেনস্থা করছেন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে গত ২৮ আগস্ট একটি ভিডিও পোস্ট করেন জয়। সেখানে শিল্পীদের উদ্দেশে তিনি জানান, তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে নতুন বাংলাদেশে একটি বিবৃতি দেওয়া উচিত। দল যে কেউ করতে পারেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে যারা ছাত্রদের বিপক্ষে ফ্রন্ট লাইনার ছিলেন, তাদের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি, আমি ছাত্রছাত্রীদের বিপক্ষে কখনই ছিলাম না। আমি চুপচাপ ছিলাম। বুদ্ধিদীপ্ত স্ট্যাটাস দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যে স্ট্যাটাসে সরকারকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল, দাবি মেনে নেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তেসরা আগস্ট শাহবাগে যখন ছাত্রছাত্রীরা একত্র হয়েছিল, দেখেছি একটি গান ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা” গাইছেন সবাই। আমি ওই গানটি শেয়ার দিয়েছি। এরচেয়ে বেশিকিছু আমি করতে পারিনি। এজন্য আমি দুঃখিত, লজ্জিত, অনুতপ্ত। নতুন বাংলাদেশে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী, আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।’

২০০৭ সালে ‘গোধুলী লগ্নে’ নাটক দিয়ে টেলিভিশনে অভিষেক হয় জয়ের। এটিএন বাংলার সেলিব্রিটি টক-শো ‘সেন্স অফ হিউমার’, এশিয়ান টিভির ‘কমনসেন্স’ এবং একুশে টেলিভিশনের ‘উইথ নাজিম জয়’ অনুষ্ঠানগুলি উপস্থাপনা করেছেন তিনি। বর্তমানে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ‘৩০০ সেকেন্ড’ নামের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে

আপডেট সময় : ১২:২৯:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 

নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি আবেদন। ২০১৩ সালে পূর্বাচলে একটি প্লটের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। গত ১০ বছরে বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকবার ভাইরাল হয় সেই চিঠি।

বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা ও তানভীর নামে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী এক আওয়ামী লীগ কর্মীর ফোনালাপ ফাঁসের পর জয়ের চিঠিটি আবারও ভাইরাল হয়েছে। তবে সেই চিঠি প্রসঙ্গে সরল স্বীকারোক্তিসহ জয় জানিয়েছেন, এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে।

প্লটের জন্য আবেদনে শেখ হাসিনাকে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা সম্বোধন করে তিনি লিখেছেন, ‘আপনার সুযোগ্য পুত্রের নামের আরেক পুত্র শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সালাম রইল আপনার প্রতি। আমি জয়, বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নায়ক (টিভি ও চলচ্চিত্র)। আপনার দোয়ায় গত ১৭ বছর ধরে আমি বাংলাদেশের জনগণের বিনোদনের অন্যতম উৎস হয়ে আছি টিভি পর্দায় এবং সুস্থ চলচ্চিত্রে।’

এ উপস্থাপক আরও লিখেছেন, আপনি অত্যন্ত দরদি এবং বাংলার মানুষের বিপদের বন্ধু। শুধু তাই নয়, গত নির্বাচনকালীন সময়ে আপনি যে বলিষ্ঠ সাহসী এবং জ্ঞানদীপ্ত আদর্শের উপর বলীয়ান ছিলেন তা আমাদের মতো মানুষকে আজীবন আপনার নেতৃত্বকে স্যালুট জানানোর অঙ্গীকার করিয়েছে। মা, আপনার নিকট একজন শিল্পীর আবেদন, আমার সমসাময়িক সকল শিল্পীই পূর্বাচলে ১০ কাঠা ৫ কাঠা প্লট পেয়েছে। আমি দেশের বাইরে শুটিংয়ে থাকার জন্য অ্যাপ্লাই করতেই পারিনি। পরবর্তীতে ঝিলমিলে অ্যাপ্লাই করলে লটারিতে তা পাইনি।’

মূলত প্রতি অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রীকে ‘মা’ সম্বোধন করায় জয়কে ‘তেলবাজ’ আখ্যায়িত করেছেন নেটিজেনরা। পুরাতন চিঠি নতুন করে ভাইরাল করায় শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অভিনেতা জয়। তিনি লিখেছেন, ‘অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে। এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য। কিন্তু দেখেন, শাস্তিটা বেশি দিয়ে ফেলবেন না। আল্লাহ তবে আপনাদেরও ক্ষমা করবে না। আল্লাহ যে আছেন এবং যথাসময়ে পাপের শাস্তি হয়, তা আমরা তো সবাই বুঝে গেছি, তাই না? ঘৃণা না ছড়িয়ে শান্ত হন। সবাই মিলে ভালো থাকি, চলুন সবাই যার যার ভুল সংশোধন করি।’

ওই পোস্টে জয় জানিয়েছেন, সে রকম বড় কোনো অপরাধ তিনি করেননি। তাছাড়া ওই প্লটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘আলো আসবে গ্রুপে পান নাই। ইউটিউবারদের ষড়যন্ত্রে পান নাই। তাই বলে আমাকে ছেড়ে দেবেন কেন? ২০১৪ সালের একটি চিঠি এই নিয়ে চৌদ্দবার ভাইরাল করলেন। সাবেক সরকারের কাছ থেকে অনেকেই জমি নিয়েছেন। সেই প্লটগুলো ১৩-এ ধারা। এই সরকার ইতিমধ্যে সব প্লট বাতিল ঘোষণা করেছে। তারপরও ফেসবুকে এই চিঠি নিজস্ব লোকেরা পোস্ট করছেন, আমার নম্বর ভাইরাল করছেন এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেনস্থা করছেন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে গত ২৮ আগস্ট একটি ভিডিও পোস্ট করেন জয়। সেখানে শিল্পীদের উদ্দেশে তিনি জানান, তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে নতুন বাংলাদেশে একটি বিবৃতি দেওয়া উচিত। দল যে কেউ করতে পারেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে যারা ছাত্রদের বিপক্ষে ফ্রন্ট লাইনার ছিলেন, তাদের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।

তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি, আমি ছাত্রছাত্রীদের বিপক্ষে কখনই ছিলাম না। আমি চুপচাপ ছিলাম। বুদ্ধিদীপ্ত স্ট্যাটাস দেওয়ার চেষ্টা করেছি, যে স্ট্যাটাসে সরকারকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল, দাবি মেনে নেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তেসরা আগস্ট শাহবাগে যখন ছাত্রছাত্রীরা একত্র হয়েছিল, দেখেছি একটি গান ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা” গাইছেন সবাই। আমি ওই গানটি শেয়ার দিয়েছি। এরচেয়ে বেশিকিছু আমি করতে পারিনি। এজন্য আমি দুঃখিত, লজ্জিত, অনুতপ্ত। নতুন বাংলাদেশে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী, আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।’

২০০৭ সালে ‘গোধুলী লগ্নে’ নাটক দিয়ে টেলিভিশনে অভিষেক হয় জয়ের। এটিএন বাংলার সেলিব্রিটি টক-শো ‘সেন্স অফ হিউমার’, এশিয়ান টিভির ‘কমনসেন্স’ এবং একুশে টেলিভিশনের ‘উইথ নাজিম জয়’ অনুষ্ঠানগুলি উপস্থাপনা করেছেন তিনি। বর্তমানে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ‘৩০০ সেকেন্ড’ নামের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তিনি।