ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠন আমি স্যামসাং ব্যবহার করি, স্ক্রিনশট গেছে আইফোনের : জনপ্রশাসন সচিব উন্নয়নের ভ্রান্ত ধারণা: ঋণে ডুবে থাকা দেশ টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম আমার টাকা-পয়সার প্রতি লোভ নেই, ৫ কোটি হলেই চলবে এক দিনেই হাওয়া ৮ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন অবশেষে দেখা মিলল আসাদুজ্জামান কামালের ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ কারাগারে কেমন আছেন ‘ভিআইপি’ বন্দীরা একটি ফোনকল যেভাবে বদলে দিয়েছে ড. ইউনূসের জীবনের গতিপথ ড. ইউনুসের Three Zeros থিয়োরি বর্তমান উপদেষ্টাদের সঙ্গে নতুন চার-পাঁচজন মুখ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকটি জাতীয় দিবস বাতিল করতে পারে সরকার সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ গায়েব: উপদেষ্টা “প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস: বাংলার গর্ব, বৈশ্বিক সম্প্রীতির প্রতীক” খেলোয়াড় সাকিবের নিরাপত্তা আছে, ফ্যাসিস্ট সাকিবের ক্ষেত্রে অবান্তর: ক্রীড়া উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সম্মেলন থেকে কী অর্জন করলেন? জাতিসংঘে তিন-শুন্যের ধারণা দিলেন ড. ইউনুস যন্ত্রণার নাম ব্যাটারি রিকশা তরুণ সমাজের অফুরান শক্তি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে— ড. ইউনূস

এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২ ২৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান (সংক্ষেপে এটিএম শামসুজ্জামান হিসেবে অধিক পরিচিত; ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ – ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১) ছিলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক। এই গুণী শিল্পী অনেক দুঃখী ছিলেন কিন্তু অভিনয়ের মাধ্যমে আমাদের হাসাতেন । আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই , রেখে গিয়েছেন উনার সারা জীবনের কর্ম যা উনাকে মনে করিয়ে দেবে । আমরা উনার জন্য দোয়া করি মহান আল্লাহ্‌ পাক উনাকে ক্ষমা করে দেন এবং পরকালে বেহেশত নসিব করেন । আমিন ।

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।

 

তিনি ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। পগোজ স্কুলে তার বন্ধু ছিলেন আরেক অভিনেতা প্রবীর মিত্র। তিনি ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। তারপর জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন।

 

চলচ্চিত্র জীবন

এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালে। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র নয়া জিন্দগানী। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি। ১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার এতটুকু আশা চলচ্চিত্রে তাকে খবরের কাগজ বিক্রেতা চরিত্রে প্রথমবারের মত পর্দায় দেখা যায়। এরপর তিনি সুয়োরাণী দুয়োরাণী (১৯৬৮), মলুয়া (১৯৬৯), বড় বউ (১৯৭০) চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি মলুয়া চলচ্চিত্রের সংলাপও রচনা করেন। তিনি প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি (১৯৭১) চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা এবং এই ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে।

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ওরা ১১ জন (১৯৭২) চলচ্চিত্রে এবং জীবনীমূলক লালন ফকির (১৯৭২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। দ্বিতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি ১ম বাচসাস পুরস্কারে অভিনয়ের জন্য একটি বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে তিনি খল চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন। এছাড়াও খল চরিত্রে তার কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল – অশিক্ষিত, গোলাপী এখন ট্রেনে, পদ্মা মেঘনা যমুনা, স্বপ্নের নায়ক।

 

তিনি কৌতুক অভিনেতা হিসেবে যাদুর বাঁশি, রামের সুমতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৭ সালে তার নিজের লেখা কাহিনিতে আফতাব খান টুলুর দায়ী কে? চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন, এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার বিভাগে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে – অনন্ত প্রেম, দোলনা, অচেনা।

 

তিনি ম্যাডাম ফুলি (১৯৯৯) ও চুড়িওয়ালা (২০০১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৫ সালে তিনি জহির রায়হানের হাজার বছর ধরে উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত একই নামের চলচ্চিত্রে মকবুল চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। একই বছর তিনি তার নিজের লেখা কাহিনিতে সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় অভিষেক চলচ্চিত্র মোল্লা বাড়ীর বউ-এ গাজী এবাদত মোল্লা চরিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি তারকা জরিপে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা বিভাগে তার চতুর্থ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

 

২০০৯ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটির এবাদত ছবি দিয়ে তার চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে। তিনি সৈয়দ শামসুল হকের নিষিদ্ধ লোবান উপন্যাস অবলম্বনে নাসির উদ্দীন ইউসুফ নির্মিত গেরিলা (২০১১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৪তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে একটি বিশেষ পুরস্কার লাভ করেন। তিনি রেদওয়ান রনির পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র চোরাবালি-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

 

ব্যক্তিগত জীবন

এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনী জামান। এই দম্পতির ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। ২০১২ সালের ১৩ মার্চ এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ছেলে এটিএম খলিকুজ্জামান কুশল নিজ বড় ভাই এটিএম কামালুজ্জামান কবিরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর এটিএম শামসুজ্জামান নিজেই ছেলে কুশলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। হত্যার অভিযোগে এটিএম খলিকুজ্জামান কুশলকে ২০১৩ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

 

মৃত্যু

এটিএম শামসুজ্জামান ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সূত্রাপুরের দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন। তার মরদেহ জুরাইন কবরস্থানে তার বড় ছেলে কামরুজ্জামান কবীরের পাশে সমাহিত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক

আপডেট সময় : ০৮:০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২

আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান (সংক্ষেপে এটিএম শামসুজ্জামান হিসেবে অধিক পরিচিত; ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ – ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১) ছিলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক। এই গুণী শিল্পী অনেক দুঃখী ছিলেন কিন্তু অভিনয়ের মাধ্যমে আমাদের হাসাতেন । আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই , রেখে গিয়েছেন উনার সারা জীবনের কর্ম যা উনাকে মনে করিয়ে দেবে । আমরা উনার জন্য দোয়া করি মহান আল্লাহ্‌ পাক উনাকে ক্ষমা করে দেন এবং পরকালে বেহেশত নসিব করেন । আমিন ।

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে। তার পিতা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।

 

তিনি ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। পগোজ স্কুলে তার বন্ধু ছিলেন আরেক অভিনেতা প্রবীর মিত্র। তিনি ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। তারপর জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন।

 

চলচ্চিত্র জীবন

এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালে। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র নয়া জিন্দগানী। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি। ১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার এতটুকু আশা চলচ্চিত্রে তাকে খবরের কাগজ বিক্রেতা চরিত্রে প্রথমবারের মত পর্দায় দেখা যায়। এরপর তিনি সুয়োরাণী দুয়োরাণী (১৯৬৮), মলুয়া (১৯৬৯), বড় বউ (১৯৭০) চলচ্চিত্রে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি মলুয়া চলচ্চিত্রের সংলাপও রচনা করেন। তিনি প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি (১৯৭১) চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা এবং এই ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে।

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ওরা ১১ জন (১৯৭২) চলচ্চিত্রে এবং জীবনীমূলক লালন ফকির (১৯৭২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। দ্বিতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি ১ম বাচসাস পুরস্কারে অভিনয়ের জন্য একটি বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে তিনি খল চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন। এছাড়াও খল চরিত্রে তার কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল – অশিক্ষিত, গোলাপী এখন ট্রেনে, পদ্মা মেঘনা যমুনা, স্বপ্নের নায়ক।

 

তিনি কৌতুক অভিনেতা হিসেবে যাদুর বাঁশি, রামের সুমতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৭ সালে তার নিজের লেখা কাহিনিতে আফতাব খান টুলুর দায়ী কে? চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন, এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার বিভাগে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে – অনন্ত প্রেম, দোলনা, অচেনা।

 

তিনি ম্যাডাম ফুলি (১৯৯৯) ও চুড়িওয়ালা (২০০১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৫ সালে তিনি জহির রায়হানের হাজার বছর ধরে উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত একই নামের চলচ্চিত্রে মকবুল চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। একই বছর তিনি তার নিজের লেখা কাহিনিতে সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় অভিষেক চলচ্চিত্র মোল্লা বাড়ীর বউ-এ গাজী এবাদত মোল্লা চরিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি তারকা জরিপে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা বিভাগে তার চতুর্থ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

 

২০০৯ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটির এবাদত ছবি দিয়ে তার চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে। তিনি সৈয়দ শামসুল হকের নিষিদ্ধ লোবান উপন্যাস অবলম্বনে নাসির উদ্দীন ইউসুফ নির্মিত গেরিলা (২০১১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৪তম মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে একটি বিশেষ পুরস্কার লাভ করেন। তিনি রেদওয়ান রনির পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র চোরাবালি-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

 

ব্যক্তিগত জীবন

এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনী জামান। এই দম্পতির ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। ২০১২ সালের ১৩ মার্চ এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ছেলে এটিএম খলিকুজ্জামান কুশল নিজ বড় ভাই এটিএম কামালুজ্জামান কবিরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর এটিএম শামসুজ্জামান নিজেই ছেলে কুশলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। হত্যার অভিযোগে এটিএম খলিকুজ্জামান কুশলকে ২০১৩ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

 

মৃত্যু

এটিএম শামসুজ্জামান ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সূত্রাপুরের দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন। তার মরদেহ জুরাইন কবরস্থানে তার বড় ছেলে কামরুজ্জামান কবীরের পাশে সমাহিত করা হয়।