এরদোয়ান, ইমরান খান, কেজরিওয়ালের যে মডেলে নতুন দল করতে চায় ছাত্ররা

- আপডেট সময় : ০১:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 24
স্বাধীনতার পর নতুন যেসব দল গঠিত হয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দল হয়ে উঠেছে বিএনপি। দলটি এককভাবে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায়ও গেছে।
এর বাইরে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেছে। তবে সেসব নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
তবে এটাও ঠিক, জাতীয় পার্টি নির্দিষ্ট কিছু আসনে তার ভোট ব্যাংক তৈরি করতে পেরেছে।
এর বাইরে আর যেসব নতুন দল গঠিত হয়েছে তার কোনোটিই সেভাবে ভোটের মাঠে সুবিধা করতে পারেনি, সারা দেশেও সাংগঠনিকবাবে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়নি।
ফলে মোটাদাগে দেশের রাজনীতি মূলত আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি–– এই দুই ধারায় বিভক্ত।
এর মধ্যেই ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ছাত্রদের নতুন দল গঠিত হতে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন সম্ভাব্য দলটির গঠনের সঙ্গে যুক্ত নেতারা।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন এই রাজনৈতিক দলের আদর্শ কী হবে? নেতৃত্বে কি শুধু তরুণরাই থাকবেন নাকি অভিজ্ঞদেরও জায়গা হবে? ধর্ম নিয়েই বা দলটির অবস্থান কেমন হবে?
‘সাম্য, ন্যায়বিচার, সুশাসনকে ঘিরে আমরা হবো মধ্যপন্থী দল’
ছাত্রদের নতুন দল গঠনের কাজটি তত্ত্বাবধান করছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
তারা চান বাংলাদেশে বামপন্থী কিংবা ডানপন্থী রাজনীতির যে ধারা, ছাত্রদের নতুন দল যেন সেটার কোনোটির মধ্যেই না থাকে। এই অবস্থানকে তারা বলছেন মধ্যপন্থী অবস্থান।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “আমরা একটা মধ্যমপন্থি রাজনীতির কথা বলছি। আমরা বাম-ডান এমন যে বিভাজন আছে সেগুলোতে ঢুকতে চাই না। আমরা বাংলাদেশ প্রশ্নে এক থাকতে চাই। ইসলাম ফোবিয়ার রাজনীতি অথবা উগ্র ইসলামপন্থি বা উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির মধ্যেও আমরা নেই।”
এক্ষেত্রে দলটি জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলার বা ধর্মভিত্তিক এ ধরনের কোনো আদর্শকেই সামনে রাখতে চায় না।