ঢাকা ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

এ এফ হাসান আরিফ: আইনজীবী থেকে উপদেষ্টা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 60
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ মারা গেছেন। শুক্রবার, রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিনয়ী স্বভাবের এ এফ হাসান আরিফের মৃ্ত্যুতে দেশ একজন তুখোড় আইনজীবীকে হারালো। অনেকেই তাকে আইনের ‘এনসাইক্লোপিডিয়া’ হিসাবে উল্লেখ করতেন। দেশের খ্যাতনামা অনেক প্রতিষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করার বিশাল অভিজ্ঞতার ছিলো এ এফ হাসান আরিফের।

৮৩ বছরের এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে তিনি বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন। হাসান আরিফ সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সাল থেকে আইন পেশার সঙ্গে জড়িত আছেন।

এ এফ হাসান আরিফ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিস, বাণিজ্যিক সালিস, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ বিষয়, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন বিষয়, সাংবিধানিক আইন বিষয়, পাবলিক আস্বাদন, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন।

হাসান আরিফ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এর আগে। এর মধ্যে আছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন লিমিটেড এবং গ্রামীণফোন বাংলাদেশ। তিনি বর্তমানে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা।

 

এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। একই দিনে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ওই দিন তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। গত ১০ নভেম্বর উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করে সরকার। ভূমি মন্ত্রণালয় তার অধীনে রাখা হলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে তাকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, হাসান আরিফ একজন উজ্জ্বল আইনজীবী হিসেবে এবং ভিন্নমতাবলম্বী, ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর ও আমাদের সমাজের প্রান্তিক মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় তাঁর সক্রিয় ভূমিকার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এক শোকবার্তায় বলেছেন, উপদেষ্টা এ এফ হাসান মৃত্যুতে জাতি একজন দক্ষ এবং নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্বকে হারাল। আইন অঙ্গন, দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে তার অবদান সব সময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এছাড়াও শোকবার্তায় পরিবেশ উপদেষ্টা শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন।

হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর পাওয়ার সাথে সাথে হাসপাতালের বাইরে ভিড় করেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও তার শুভানুধ্যায়ীরা। হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, হাসান আরিফ সবচেয়ে অ্যাকটিভ, সবচেয়ে উদ্যোগী উপদেষ্টাদের একজন ছিলেন। তিনি উচ্ছ্বল প্রাণবন্ত মানুষ ছিলেন। আমরা একজন ভালো মানুষকে হারিয়েছি।

অন্যদিকে পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, আইন অঙ্গনে এমন সৎজন, ভদ্র, বিদ্বান, ভদ্র, প্রাজ্ঞ আইনজীবী খুঁজে পাওয়া আসলেই দুষ্কর। হাসান আরিফের মৃত্যু মানে আইনজীবী হিসেবে একজন প্রতিষ্ঠানের চলে যাওয়া।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, হাসান আরিফ মন্ত্রিসভার প্রতিটি বৈঠকে অংশ নিয়ে তার সুচিন্তিত মতামত দিতেন। আমি আশা করি তিনি যেসব কাজ রেখে গিয়েছেন আমরা যেন সবাই মিলে সেগুলো সম্পন্ন করতে পারি।

হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এ এফ হাসান আরিফ: আইনজীবী থেকে উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৮:৪১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ মারা গেছেন। শুক্রবার, রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিনয়ী স্বভাবের এ এফ হাসান আরিফের মৃ্ত্যুতে দেশ একজন তুখোড় আইনজীবীকে হারালো। অনেকেই তাকে আইনের ‘এনসাইক্লোপিডিয়া’ হিসাবে উল্লেখ করতেন। দেশের খ্যাতনামা অনেক প্রতিষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করার বিশাল অভিজ্ঞতার ছিলো এ এফ হাসান আরিফের।

৮৩ বছরের এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে তিনি বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন। হাসান আরিফ সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সাল থেকে আইন পেশার সঙ্গে জড়িত আছেন।

এ এফ হাসান আরিফ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিস, বাণিজ্যিক সালিস, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ বিষয়, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন বিষয়, সাংবিধানিক আইন বিষয়, পাবলিক আস্বাদন, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন।

হাসান আরিফ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এর আগে। এর মধ্যে আছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন লিমিটেড এবং গ্রামীণফোন বাংলাদেশ। তিনি বর্তমানে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা।

 

এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। একই দিনে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ওই দিন তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। গত ১০ নভেম্বর উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করে সরকার। ভূমি মন্ত্রণালয় তার অধীনে রাখা হলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে তাকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, হাসান আরিফ একজন উজ্জ্বল আইনজীবী হিসেবে এবং ভিন্নমতাবলম্বী, ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর ও আমাদের সমাজের প্রান্তিক মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় তাঁর সক্রিয় ভূমিকার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এক শোকবার্তায় বলেছেন, উপদেষ্টা এ এফ হাসান মৃত্যুতে জাতি একজন দক্ষ এবং নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্বকে হারাল। আইন অঙ্গন, দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণে তার অবদান সব সময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এছাড়াও শোকবার্তায় পরিবেশ উপদেষ্টা শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন।

হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর পাওয়ার সাথে সাথে হাসপাতালের বাইরে ভিড় করেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও তার শুভানুধ্যায়ীরা। হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, হাসান আরিফ সবচেয়ে অ্যাকটিভ, সবচেয়ে উদ্যোগী উপদেষ্টাদের একজন ছিলেন। তিনি উচ্ছ্বল প্রাণবন্ত মানুষ ছিলেন। আমরা একজন ভালো মানুষকে হারিয়েছি।

অন্যদিকে পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, আইন অঙ্গনে এমন সৎজন, ভদ্র, বিদ্বান, ভদ্র, প্রাজ্ঞ আইনজীবী খুঁজে পাওয়া আসলেই দুষ্কর। হাসান আরিফের মৃত্যু মানে আইনজীবী হিসেবে একজন প্রতিষ্ঠানের চলে যাওয়া।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, হাসান আরিফ মন্ত্রিসভার প্রতিটি বৈঠকে অংশ নিয়ে তার সুচিন্তিত মতামত দিতেন। আমি আশা করি তিনি যেসব কাজ রেখে গিয়েছেন আমরা যেন সবাই মিলে সেগুলো সম্পন্ন করতে পারি।

হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।