ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ক্রিকেটার বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগে বিভক্তি, চ্যালেঞ্জের মুখে হাসিনা হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই কে ফোন করে ইউনূসের কাছে! শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে যা বললেন ড. ইউনূস বাংলাদেশের যে সিদ্ধান্তের কারণে মাথায় হাত ভারতের ১০ হাজার আওয়ামী কর্মী মাঠে নামলেই তো সরকার পরে যাবে সরকার উৎখাতে চক্রান্ত! কারাগারে বসেই চলছে নানা তৎপরতা আওয়ামী লীগে বিভক্তি, চ্যালেঞ্জের মুখে হাসিনা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা কানাডার নাগরিক হয়েও বাংলাদেশে সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত পুতুল দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা চেয়ারম্যান-মেয়র হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি, হবে না সরাসরি ভোট চাল-মুরগির দাম চড়া, অন্য সব আগের মতো দেশের স্বার্থে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে যা বললেন নাহিদ ইসলাম কিভাবে বাড়ছে বাংলাদেশের আয়তন? পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছেন পুতুল? চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত হবে নতুন বাংলাদেশ! সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক : প্রেসসচিব

ঔষধের পাতায় মাঝে মাঝে ফাঁকা থাকে কেন?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • / 102
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ঔষধের এরকম পাতাগুলো দেওয়া হয় ডাক্তারদের স্যাম্পল হিসেবে।এগুলো বিক্রয়ের জন্য নয়। এবং এগুলোর মান ভালো, মান উন্নত। কারণ এগুলো ডাক্তারদের পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়।
ঔষধের মূল প্যাকেট এমনি হবে।কিন্তু মাঝখানে ঔষধের খাজঁ থাকলেও ঔষধ থাকে না। আমরা অনেকই না জেনে ফার্মেসিতে এরকম দেখি এবং কিনেও থাকি। কোম্পানি বাজারজাত করণের উদ্দেশ্য একই রকম বানায়। যেহেতু স্যাম্পল ঔষধ তাই অর্ধেক পরিমাণ ঔষধ দেয়। যখন বাজারজাত করবে তখন ৬ পিস ঔষধ ই দিবে। এখন বলতে পারেন ফাকা রাখার দরকার কি? ৩ পিসের পাতা বানালে হয়না? উত্তর হলো – না। আলাদা প্যাকেট বানালে কোম্পানির খরচ বেশি হবে। এভাবে বানালেই কোম্পানির খরচ কম হয়।
প্রশ্ন অন্যখানে। কোম্পানি ডাক্তারদের ঔষধ দিবে কেনো? ডাক্তার নিজে খেয়ে তো আর ঔষধ পরীক্ষা করেনা। তাহলে?
উত্তরটা হলো, ডাক্তার এগুলো ফ্রি স্যাম্পল পায় আর এগুলো রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। বিজনেস অন্যখানে। ধরেন ডাক্তার অসচ্ছল রোগীকে এই ঔষধ ফ্রিতে দিলো। ঔষধের ডোজ রোগ ভেদে ৩/৫/৭ দিন খেতে হয়। এখানে সর্বোচ্চ ১-১.৫ দিনের ঔষধ আছে। বাকি ঔষধ ডিসপেনসারি থেকে রোগীকে কিনে খেতে হবে। এই প্যাকেটটাই তাদের ঔষধের বড় মার্কেটিং করে।
অসাধু ডাক্তারেরা ফ্রি সেম্পলটাই রোগীদের ফ্রি না দিয়ে কমদামে বেচে দেয় আর ফার্মাসী ওয়ালারা এই ফ্রি সেম্পলগুলো কমদামে কিনে আসল ঔষধের সমান দামে বেচে। এতে করে প্রফিট কয়েকগুন বেশি হয়।
এ ধরণের ঔষধ ফার্মাসীর দোকানে দেখলেই ভোক্তা অধিকারে জানিয়ে জরিমানা করা উচিত। দীর্ঘদিন ধরেই এমন বাজে একটা সিস্টেম চালু আছে। এতে করে গরীব রোগীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় আবার অসাধু চক্রও বেশি লাভ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঔষধের পাতায় মাঝে মাঝে ফাঁকা থাকে কেন?

আপডেট সময় : ০১:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
ঔষধের এরকম পাতাগুলো দেওয়া হয় ডাক্তারদের স্যাম্পল হিসেবে।এগুলো বিক্রয়ের জন্য নয়। এবং এগুলোর মান ভালো, মান উন্নত। কারণ এগুলো ডাক্তারদের পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়।
ঔষধের মূল প্যাকেট এমনি হবে।কিন্তু মাঝখানে ঔষধের খাজঁ থাকলেও ঔষধ থাকে না। আমরা অনেকই না জেনে ফার্মেসিতে এরকম দেখি এবং কিনেও থাকি। কোম্পানি বাজারজাত করণের উদ্দেশ্য একই রকম বানায়। যেহেতু স্যাম্পল ঔষধ তাই অর্ধেক পরিমাণ ঔষধ দেয়। যখন বাজারজাত করবে তখন ৬ পিস ঔষধ ই দিবে। এখন বলতে পারেন ফাকা রাখার দরকার কি? ৩ পিসের পাতা বানালে হয়না? উত্তর হলো – না। আলাদা প্যাকেট বানালে কোম্পানির খরচ বেশি হবে। এভাবে বানালেই কোম্পানির খরচ কম হয়।
প্রশ্ন অন্যখানে। কোম্পানি ডাক্তারদের ঔষধ দিবে কেনো? ডাক্তার নিজে খেয়ে তো আর ঔষধ পরীক্ষা করেনা। তাহলে?
উত্তরটা হলো, ডাক্তার এগুলো ফ্রি স্যাম্পল পায় আর এগুলো রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। বিজনেস অন্যখানে। ধরেন ডাক্তার অসচ্ছল রোগীকে এই ঔষধ ফ্রিতে দিলো। ঔষধের ডোজ রোগ ভেদে ৩/৫/৭ দিন খেতে হয়। এখানে সর্বোচ্চ ১-১.৫ দিনের ঔষধ আছে। বাকি ঔষধ ডিসপেনসারি থেকে রোগীকে কিনে খেতে হবে। এই প্যাকেটটাই তাদের ঔষধের বড় মার্কেটিং করে।
অসাধু ডাক্তারেরা ফ্রি সেম্পলটাই রোগীদের ফ্রি না দিয়ে কমদামে বেচে দেয় আর ফার্মাসী ওয়ালারা এই ফ্রি সেম্পলগুলো কমদামে কিনে আসল ঔষধের সমান দামে বেচে। এতে করে প্রফিট কয়েকগুন বেশি হয়।
এ ধরণের ঔষধ ফার্মাসীর দোকানে দেখলেই ভোক্তা অধিকারে জানিয়ে জরিমানা করা উচিত। দীর্ঘদিন ধরেই এমন বাজে একটা সিস্টেম চালু আছে। এতে করে গরীব রোগীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় আবার অসাধু চক্রও বেশি লাভ করে।