কীভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হবেন?
- আপডেট সময় : ১২:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
কীভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হবেন?
গত কয়েক দশক ধরে ডিজিটাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা কনটেন্ট’ শব্দটি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৪.২ বিলিয়ন, গড়ে একজন মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৭ ঘণ্টা অনলাইনে ব্যয় করে। এই সুযোগটাই সব ধরনের ডিজিটাল ক্রিয়েটরদের ডিজিটাল বিশ্বে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটররা বিভিন্ন উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন, এর মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পণ্যদ্রব্য বিক্রয়, অনলাইন কোর্স, সাবসক্রিপশন ইত্যাদি।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর কী : যেকোনো মাধ্যম বা চ্যানেলের মাধ্যমে বিনোদনমূলক, শিক্ষামূলক, তথ্যমূলক, বিশ্লেষণ বা ব্যাখ্যামূলকসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত জানায় বা দেখায় তিনিই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। যেহেতু এটি অনলাইনের সঙ্গে সম্পর্কিত সেহেতু অনেক কিছুই জানার, শেখার, সংরক্ষণের প্রয়োজন হয়। তবে এ সময়ে এটি জনপ্রিয় ও বেশ আলোচিত উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
কনটেন্ট প্রদর্শিত প্ল্যাটফরম : কনটেন্ট প্রদর্শিত হয় এমন জনপ্রিয় কয়েকটি প্ল্যাটফরমের মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম (ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ইত্যাদি), ইন্টারনেট (ব্লগ, পডকাস্ট, ওয়েবসাইট, ই-বুক ইত্যাদি), লাইভ ইভেন্ট (কনফারেন্স, পারফরমেন্স, কনভেনশন ইত্যাদি), মুদ্রিত উপকরণ (বই, ম্যাগাজিন, প্যাকেজিং, পুস্তিকা ইত্যাদি), রেডিও, সিনেমা এবং টেলিভিশন।
কোথায় কাজ করে : ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফ্রিল্যান্স, ইন-হাউস, এজেন্সি মাধ্যমের একটিতে কাজ করে।
ফ্রিল্যান্স : ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বেশ কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেমন আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার, গুরু, পিপল পার আওয়ার, নাইনটি নাইন ডিজাইনস, ফ্লেক্স জবস, প্রো ব্লগার, বিল্যান্সার, কাজ কী, কাজ খুঁটি, স্প্রিড ল্যান্সার, ট্রু ল্যান্সার, ক্লিয়ার ভয়েস, বিহান্স ইত্যাদি। এখানে নিজের প্রোফাইল তৈরি করে বায়ার খুঁজে কাজ করা কিংবা বিভিন্ন কোম্পানির কর্মী হিসেবেও কাজ করা যায়। এখানে কোম্পানির হয়ে কাজ করলে নির্দিষ্ট স্যালারিতে কাজ করতে হয়, অন্যদিকে বায়ার খুঁজে নিয়ে কাজ করলে ইনকামের পুরোটাই নিজের।
নিজস্বতা : কারও বা কোনো কোম্পানির কর্মী হিসেবে নয়, নিজেই এই কোম্পানির বস এবং কর্মী। অর্থাৎ নিজের চ্যানেলে নির্দিষ্ট বিষয়ে নিজেই কনটেন্ট তৈরি করে আয় করাই হচ্ছে ইন-হাউজ বা নিজস্বতা। এটাতে লাভ-লস বা ইনকাম পুরোটাই নিজের।
এজেন্সি : যেকোনো কোম্পানির কর্মচারী হয়ে সরাসরি বা রিমোট কাজ করাই এজেন্সির নিয়ম। এটাতে নির্দিষ্ট একটা স্যালারিতে কর্মী হিসেবে কাজ করতে হয়।
পাঁচ ধাপে কনটেন্ট ক্রিয়েটর যাত্রা : সময়টা এখন কনটেন্ট ক্রিয়েটের। যা পেশা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। আপনার সৃজনশীলতা, স্কিল, পড়াশোনা, পরিশ্রম, যুক্তির মাধ্যমে বেছে নিতে পারেন এই পেশা। পূর্ণ বা খন্ডকালীন কনটেন্ট ক্রিয়েটরে আগ্রহী হলে কয়েকটি পদক্ষেপ জেনে শুরু করতে পারেন নির্মাণ। যেমন
অন্যান্য ক্রিয়েটরদের ভিডিও দেখুন : পেশাদার লেখক হওয়ার উপায় একজনকে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেছিলেন, প্রথমত ও সর্বশেষ পরামর্শ হলো ‘প্রচুর পড়ুন’। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের মতো ভিজ্যুয়াল ক্রিয়েটরদেরও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘প্রচুর ভিডিও দেখুন’। কনটেন্ট ক্রিয়েটর একটি সর্বজনীন পেশা, আমরা গুপ্তচর হওয়া শিখছি এমন নয়। আপনি যে বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন, সে বিষয়ের ওপর দেশ-বিদেশে নির্মিত কনটেন্টগুলো দেখুন। এতে সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, সাফল্যের জন্য কী করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে কয়টি এবং কখন পোস্ট করে, থাম্বনেইলের জন্য কী ব্যবহার করে, স্ক্রিপ্টে তথ্য-উপাত্ত কীভাবে ও কী পরিমাণ রাখে সবকিছু নিখুঁতভাবে যাচাই করুন। এভাবে তাদের কৌশল অনুমান করার চেষ্টা করুন। কীভাবে ভিউয়ারদের ধরে রাখছে বা সংজ্ঞায়িত করছে সেসবও রপ্ত করুন। অভিজ্ঞতা অর্জন ও জানাশোনার পর আপনি আপনার মতো শুরু করুন। সবসময় মনে রাখবেন, যত বেশি শিখবেন, তত বেশি সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবেন।
পাবলিক ক্রিয়েটর গ্রুপে যুক্ত হোন : ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পাবলিক ক্রিয়েটর গ্রুপ রয়েছে, সেগুলোতে যুক্ত হোন। গ্রুপগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্রিয়েটরের সঙ্গে যেমন নেটওয়ার্কিং তৈরি হবে, তেমনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ক্রিয়েটিং বিষয়ক নানান সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন। গ্রুপগুলো খুঁজে পাওয়ার জন্য সার্চ করুন, প্রয়োজনে গুগলের সাহায্য দিন। এমনকি আপনি যে বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করবেন, সে ক্যাটাগরির গ্রুপও খুঁজে নিতে পারেন। গ্রুপে যুক্ত হওয়ার আগেই গ্রুপের নিয়মগুলো জেনে নিন, এরপর জানার-শেখার জন্য প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। অন্য কেউ প্রশ্ন করলে সেটার উত্তর জানা থাকলে বা আপনার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করতে ভুল করবেন না।
দক্ষতা বাড়ান : কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এখানেই হতাশ হয়ে পড়ে। অনেকে স্কিল না শিখে, কনটেন্ট তৈরির মসলা না জেনেই শুরু করে, এতে সাফল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ঝরে পড়ে। এখন ইউটিউবসহ কয়েকটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বিভিন্ন ধরনের স্কিল শেখা যায়, ক্রিয়েটর হতে হলে সেগুলো খুঁজে এখনই শেখা শুরু করুন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এবং সার্চ ইঞ্জিনগুলোর মাধ্যমেও শেখা যায়। দক্ষতা বৃদ্ধি করুন, স্কিল ডেভেলপ করুন, তবেই সহজে ক্রিয়েটর হিসেবে সফলতা পাবেন। ‘শেখার কোনো বিকল্প নাই’ কথাটা সর্বদা মাথায় গেঁথে রাখুন।
নিজস্ব স্টাইল তৈরি করুন : বিশ্বের সৃজনশীল ব্যক্তিরা অন্য ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত হলেও একটা সময়ের পর নিজস্বতা খুঁজে নিয়েছে। সৃজনশীল ব্যক্তি হিসেবে ক্রিয়েটিংয়ের প্রথম দিককার দিনগুলো অন্যান্য ক্রিয়েটরের সঙ্গে আপনারও অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, তাতে সমস্যা নেই। তবে আপনারও একটা নিজস্ব স্টাইল খুঁজে বের করতে হবে। তবেই অন্যান্য ক্রিয়েটরের থেকে ভিন্নতা খুঁজে পাবে ভিউয়াররা।
পোর্টফোলিও তৈরি করুন : যখনই আপনার প্রথম কনটেন্টটি প্রকাশ হবে, ভিডিওটি বা ফটোগ্রাফ প্রকাশ হবে সেটি লিংকসহ কোথাও সংরক্ষণ করুন। শুরুর দিকে বিনামূল্যে সংরক্ষণের জন্য গুগল ডক্স বা অন্য কোনো মাধ্যম বেছে নিতে পারেন। রেফারেন্স ও লিংকসহ কনটেন্টগুলো একটি স্প্রেডশিটে রাখুন। এভাবে বেশ কিছুদিন পর একটি পাবলিক ওয়েবসাইটে আপনার পোর্টফোলিও প্রকাশ করুন। এ ছাড়া পোর্টফোলিও বিনামূল্যে ও বিনাঝামেলায় দেখার জন্য অনলাইনে, গুগল ড্রাইভে বা অন্য কোনো মাধ্যমে রাখুন, যেন সহজেই যে কেউ আপনার পোর্টফোলিও দেখতে পারে। এমনও হতে পারে, পোর্টফোলিওর মাধ্যমে কোনো বড় এজেন্সিতে চাকরি পেয়ে যেতে পারেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে হলে কী কী বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে এবং কী কী উপকরণ প্রয়োজন হবে?
প্রথমত:- আপনি কারো লেখা/ ফটো কিছুই কপি করতে পারবেন না #দ্বিতীয়ত:- ভিডিও অন্য চ্যানেল থেকে নিয়ে নিজের চ্যানেলে আপলোড করতে পারবেন না।
#তৃতীয়ত:- সবসময় ইউনিক কন্টেন্ট তৈরি করার মানসিকতা থাকতে হবে। পাবলিক কোন জিনিস বেশি খায়, অর্থাৎ জনপ্রিয় / ট্রেন্ড আইটেম বুঝে এরকম বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার এবিষয়ে নিজের কতটুকু দক্ষতা আছে সেটা নিশ্চিত হয়েই সামনে আগাতে হবে।
#চতুর্থত:- আপনার #seo বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। ধরুন, আপনি seo কি জিনিস সেটা জানেন না। অথচ আপনি অনেক কষ্ট করে ভিডিও তৈরি করলেন আপনার চ্যানেলে পাবলিশ ও করলেন কিন্তু সেটা কোন কাজে আসবে না। ফলে আপনার কন্টেন্ট বা ভিডিওর মান খুব ভালো হলেও আপনি প্রচুর ভিউ পাবেন না, আর সাবস্ক্রাইবারও বাড়বে না। seo বিষয়ে আপনার কষ্ট কমানোর জন্য tube buddy বা vidiq এক্সটেনশন ব্যাবহার করতে পারেন।
#পঞ্চমত:- আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ইউজ করতে হবে।
#ষষ্ঠত:- কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হতে হলে অবশ্যই ভিডিও এডিটিং বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। এজন্য ভিডিও এডিটিং করার জন্য বেশ কাজের একটা সফটওয়্যার #camtesia ব্যাবহার করতে পারেন।
#প্রয়োজনীয়_উপকরণলেখাটা
#সপ্তমত:- আপনার প্রথমত একটা ভালো ল্যাপটপ লাগবে। এরপর একটা জিমেইল একাউন্ট লাগবে। সেই একাউন্ট দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন। তারপর খুব ভালো করে চ্যানেল কাস্টোমাইজেশন করতে হবে। যেহেতু এটা আপনার ব্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল। সেক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলের জন্য একটা লোগো প্রয়োজন হবে। অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। কারো কপিরাইট হলে চলবে না।
#অষ্টমত:- এরপর ভিডিও শেয়ার করার বিষয়েও ব্যাপার আছে। আপনি যদি ভিউ বেশি পাওয়ার আশায় নিজেই বিভিন্ন ডিভাইস থেকে নিজের ভিডিও দেখেন, তাহলে মারাত্মক ভুল করবেন। ভিডিও বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করবেন। কিন্তু স্প্যাম করা যাবে না।ইনশাআল্লাহ আশা করি এই টিপস গুলো ফলো করলে কাজে আসবে।
বিভিন্ন কাজ থেকে সময় বের করে কোরাতে উত্তর লিখি। যদি লেখাটা ভালো লাগে তাহলে দয়া করে আপভোট দিন। লেখাটা যদি কারো সামান্য কাজেও লাগে, তবুও আমি স্বার্থক
আকর্ষণীয় ও মূল্যবান কনটেন্ট কীভাবে তৈরি করতে হয়
লোকেরা এমন কনটেন্টের কদর করেন যা তাদের তথ্যপূর্ণ মনে হয়। একজনের কোনো কনটেন্ট তথ্যপূর্ণ বা আকর্ষণীয় মনে হতে পারে, আবার অন্য কারও অন্য কোনো কনটেন্ট তথ্যপূর্ণ বা আকর্ষণীয় লাগতে পারে। যেমন বর্তমান কোনো ইভেন্টের ব্যাপারে পোস্ট, কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির ব্যাপারে স্টোরি, কোনো স্থানীয় খবর অথবা কোনো রেসিপি। কার কাছে কোনটি তথ্যপূর্ণ মনে হয় তা আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য আমরা প্রতি নিয়ত কাজ করে চলেছি যাতে তাদের ফিডের উপরের দিকে সঠিক কনটেন্ট দেখানো যায়।
আপনার অডিয়েন্সের আকর্ষণীয় লাগতে পারে এমন তথ্যপূর্ণ ও অর্থপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি করার জন্য:
1. গল্প বলার বিভিন্ন টুল ব্যবহার করুন
অডিয়েন্সরা Facebook ফিডে আছেন, তাই Facebook-এ তাদের সেরা অভিজ্ঞতা প্রদান করার জন্য আমরা বিভিন্ন টুল তৈরি করি। Facebook Live, ভিডিও, স্টোরি, সুপারিশ, 360 ও ফটোর মতো আরও নানা ধরনের টুল আপনাকে Facebook-এ অডিয়েন্সের জন্য কনটেন্ট ডেলিভার করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। আমাদের সব টুল ব্যবহার করে দেখলে এবং আপনার অডিয়েন্সের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করলে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন ধরনের কনটেন্ট অডিয়েন্সের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে।
2. লাইভ হওয়ার আগে, চলাকালীন এবং পরে কী করবেন তার পরিকল্পনা করুন
লাইভ হওয়ার আগে:
“শিডিউল করা লাইভ” ব্যবহার করে আগে থেকেই ফ্যানদের জানিয়ে দিন যে আপনি কখন সম্প্রচার করবেন। লিখিত পোস্টের মাধ্যমে অডিয়েন্সকে আপনার লাইভ হওয়ার সময় জানিয়ে প্রতীক্ষা ও প্রত্যাশার পারদ বাড়িয়ে তুলুন। সম্প্রচারকারীরা এখন লাইভ API-এর মাধ্যমে আগে থেকেই তাদের লাইভ ভিডিও শিডিউল করতে পারেন যার ফলে সম্ভাব্য দর্শকরা লাইভ সম্প্রচার শুরু হলে নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য অপ্ট-ইন করার বিকল্প (‘রিমাইন্ডার পান’ বিকল্প) বেছে নেওয়ার সুযোগ পান। এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন যে যেসব অডিয়েন্স আপনার লাইভ ভিডিও দেখতে চান তারা যেন লাইভ সম্প্রচার মিস না করেন।
খুব ভালো ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে তবেই লাইভ হন। আপনার সিগন্যাল যথেষ্ট ভালো কিনা তা লাইভ হওয়ার আগে নিশ্চিত হন। এক্ষেত্রে WiFi সবচেয়ে ভালো কাজ করে, তবে আপনি কাছাকাছি ভালো নেটওয়ার্ক না পেলে, ডেটা বা LTE-র মতো অন্যান্য সংযোগ ব্যবহার করার কথা ভেবে দেখতে পারেন। আপনার সিগন্যাল দুর্বল হলে, লাইভ হন বোতামটি ধূসর হয়ে থাকবে।
লাইভ হওয়ার আগে একটি আকর্ষণীয় বিবরণ লিখুন। প্রাঞ্জল ভাষায় সুন্দর করে একটি বিবরণ লিখলে তা লোকেদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে এবং তারা আপনার সম্প্রচারের বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।
আপনার অডিয়েন্সের সঙ্গে ইন্টার্যাক্ট করুন। অডিয়েন্সকে কমেন্ট বিভাগে প্রশ্ন জমা দিতে বলুন যাতে সম্প্রচার চলাকালীন আপনার আলোচনা করার মতো পর পর বেশ কিছু প্রসঙ্গ থাকে। যদি অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করতে চান, তাহলে কথোপকথনের ধারা বজায় রাখতে সম্প্রচারের আগে নিজেই সেই বিষয়ক প্রশ্ন ভেবে রাখুন। এটি আপনার সাক্ষাৎকার শুরু হওয়ার আগে অডিয়েন্সের সঙ্গে এনগেজ হওয়ার আরেকটি দুর্দান্ত উপায়।
সম্প্রচার চলাকালীন:
লোকেদের যোগ দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় দিন। সম্প্রচার শুরু হওয়ার প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যে অনেক দর্শক দেখা শুরু করেন। অডিয়েন্সের সংখ্যা বাড়ার জন্য অপেক্ষা করার সময়, আমাদের পরামর্শ হলো, এই সময়টিতে সম্প্রচারে যারা আছেন তাদের সঙ্গে আলাপ করুন, প্রথমে যোগ দেওয়া দর্শকদের স্বাগত জানান এবং আপনি লাইভে কী করতে চলেছেন সেই ব্যাপারে বলুন।
কোনো ফ্রেন্ডকে আপনার সঙ্গে লাইভ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। আপনার Facebook Live সম্প্রচারে আপনি কোনো অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। এর ফলে আপনি স্ক্রিন শেয়ার করে নতুন পদ্ধতিতে অডিয়েন্সের সঙ্গে এনগেজ হতে পারবেন। আপনার কনটেন্টকে প্রসারিত করুন এবং নতুন লোকেদের আপনাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করুন। আপনার লাইভ ভিডিওতে কোনো অতিথিকে যোগ করলে, তাদেরও কিছু ফলোয়ার সেই ব্যাপারে নোটিফিকেশন পেতে পারেন।
সম্পর্কিত পেজগুলোকে ভিডিওটি শেয়ার করতে বলুন। আপনার ভিডিও যত বেশি শেয়ার করা হবে, তত বেশি অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাবে। লাইভ শুরু হলে ভিডিওটি অন্যান্য পেজকে (আপনার সংগঠনের অফিসিয়াল পেজ, সহকর্মী সাংবাদিকদের পেজ) শেয়ার করতে বলুন।
দর্শকদের সঙ্গে ইন্টার্যাক্ট করুন। রিয়েল-টাইমে ইন্টার্যাকশন হলো Facebook Live-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা। আপনি যদি দর্শকদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেন, তাহলে আপনার সম্প্রচারের সাফল্যের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। দর্শকদের মনে করিয়ে দিন যে তারা কমেন্টের মাধ্যমে প্রশ্ন জমা দিতে পারেন এবং আপনি কোনো দর্শকের কমেন্ট বা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় তার নাম উল্লেখ করার চেষ্টা করুন।
পিন করা কমেন্টের মাধ্যমে কথোপকথন পরিচালনা করুন। আপনি যেমনভাবে নিজের পেজে কোনো পোস্ট পিন করেন, সেভাবেই আপনার ভিডিওর ঠিক নিচে কোনো একটি কমেন্ট পিন করতে পারবেন। এর ফলে কমিউনিটির সঙ্গে ইন্টার্যাক্ট করার সময় সহজে এনগেজমেন্ট পরিচালনা করা যায়। যদিও সম্প্রচার চলাকালীন আপনি যতগুলো ইচ্ছে কমেন্ট পিন করতে পারবেন, তবে মনে রাখবেন যে এক বারে একটিই কমেন্ট পিন করা যাবে। আপনি নতুন কমেন্ট পিন করলে আগেকার পিন করা কমেন্টটি আপনা-আপনি সরে যায়।
বেশি লোকের কাছে পৌঁছানোর জন্য বেশিক্ষণ ধরে সম্প্রচার করুন। আপনি যত বেশিক্ষণ ধরে সম্প্রচার করবেন, তত বেশি লোকের আপনাকে খুঁজে পাওয়ার ও আপনার ভিডিও তাদের Facebook ফ্রেন্ডদের সঙ্গে শেয়ার করার সম্ভাবনা বাড়বে। আমরা অন্তত 10 মিনিটের জন্য লাইভ হওয়ার সুপারিশ করি, তবে আপনি চাইলে এক টানা সর্বাধিক চার ঘণ্টাও লাইভ থাকতে পারেন।
আপনার সম্প্রচার শেষ হওয়ার ইঙ্গিত দিন। লোকেদের বসিয়ে রেখে চলে যাবেন না অথবা আচমকা সম্প্রচার শেষ করে দেবেন না। তার বদলে, সম্প্রচার শেষ হওয়ার কথা লোকেদের জানানোর জন্য একটি লাইন ভেবে রাখুন। পরবর্তী Facebook Live-এ আপনার কী পরিকল্পনা রয়েছে তা উল্লেখ করে লোকেদের পরের সম্প্রচারটি দেখার জন্য উৎসাহিত করতে পারেন।
সম্প্রচার শেষ হওয়ার পর:
ভিডিওটি সেভ করুন। সম্প্রচার শেষ হওয়ার পর, আপনি ভিডিওটি মুছে দেওয়ার অথবা নিজের পেজ বা প্রোফাইলে পাবলিশ করার বিকল্প বেছে নিতে পারেন। আপনি ভিডিওটি পাবলিশ করলে সেটি যখন ইচ্ছে মুছতে পারবেন, তবে আমরা সেটি রাখার পরামর্শ দিই যাতে যারা সেটি লাইভ দেখতে পারেননি তারা পরে সেটি দেখতে পারেন। দর্শকরা আপনার সম্প্রচার শেয়ার করতে পারেন, যার ফলে সামগ্রিক দর্শকসংখ্যা বাড়তে পারে।
বিবরণ আপডেট করুন। আপনার সম্প্রচারের একটি বিশদ বিবরণ দিলে ভালো হয়। আপনি লাইভ হওয়ার পরেও বিবরণটি এডিট করতে পারবেন।
Facebook-এ ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করার জন্য আমাদের সুপরিচিত পদ্ধতি মেনে চলুন
আপনার ভিডিওর প্রথম কয়েক সেকেন্ডেই লোকেদের মনোযোগ আকর্ষণ করুন। যদিও আমাদের প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য লোক ভিডিও দেখেন, তবে মনে রাখবেন যে মনোযোগ আকর্ষণ করার প্রতিযোগিতায় বহু ভিডিও রয়েছে। তার মানে, আপনাকে নিজের ভিডিওর প্রথম কয়েক সেকেন্ড এতটাই আকর্ষণীয় করতে হবে যাতে লোকেরা একবার দেখতে শুরু করলে সেটিই দেখা চালিয়ে যান। ভিডিও পোস্ট করার আগে, বেশি লোকের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য ভিডিওর শুরুর অংশটি এডিট করতে হবে কি না ভেবে দেখুন।
লোক, জায়গা ও ইভেন্ট ট্যাগ করুন। আপনার পোস্ট, ভিডিও ও ফটো যদি লোকেদের, জায়গার বা ইভেন্টের নামের সঙ্গে ট্যাগ করেন, তাহলে আপনার কনটেন্ট আরও সহজে খুঁজে পাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠতে পারে।
ভিজ্যুয়ালকে আকর্ষণীয় করে তুলতে টেক্সট, গ্রাফিক্স ও বুদ্ধিদীপ্ত এডিটিং কৌশল ব্যবহার করুন। স্বতন্ত্র ভিজ্যুয়াল পরিচয় তৈরি করতে পারলে তা ভীষণ কার্যকর হয়। মূল ভিডিও ফুটেজ ছাড়াও, টেক্সট, গ্রাফিক্স ও এডিটিং কৌশলের বুদ্ধিদীপ্ত প্রয়োগ আপনাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে তুলতে পারে।
ক্লোজড-ক্যাপশন ব্যবহার করুন। অধিকাংশ লোক সাউন্ড চালিয়ে ভিডিও দেখেন, তবে যারা সাউন্ড বন্ধ করে দেখেন তাদের জন্য ক্লোজড-ক্যাপশন ব্যবহার করতে পারেন। আপনার নিজের ক্যাপশন ফাইল না থাকলে, Facebook-এ অন্যান্য ভাষা থেকে অনূদিত আপনা-আপনি তৈরি ক্যাপশনের বিকল্প রয়েছে যা আপনাকে বিশ্বব্যাপী দর্শক সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনার পেজের পাবলিশিং টুলে এইসব ক্যাপশন চালু করতে পারবেন।
360 ডিগ্রি ভিডিওব্যবহার করে কীভাবে অডিয়েন্সের সঙ্গে এনগেজ হবেন তা জানুন।
ইন্টার্যাক্টিভ ও এক্সপ্লোরেশন সংক্রান্ত ভিডিও অভিজ্ঞতার জন্য 360 ব্যবহার করার কথা ভাবতে পারেন। সবচেয়ে এনগেজিং 360 ভিডিওগুলোয় দর্শকদের কোনো সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত পরিবেশের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নানা ধরনের অ্যাঙ্গেল যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করে একটি সম্পূর্ণ গল্প বলা হয়। আপনার যদি মনে হয় যে আপনি ভিডিওতে যে গল্প বলছেন সেটি যথেষ্ট ভালো লাগছে না এবং 360-তে সেটি অনেক এনগেজিং হতে পারে, তাহলে সেই ভিডিওটির জন্য 360 ফরম্যাট উপযুক্ত হতে পারে কি না ভেবে দেখুন।
কনটেন্টকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিন। ভিডিও শুরু হওয়া মাত্র অডিয়েন্সকে সরাসরি মূল দৃশ্য দেখিয়ে প্রথমেই তাদের সঙ্গে এনগেজ হন।
ন্যারেশন বা অন-ক্যামেরা হোস্ট ব্যবহার করুন। সফল 360 ভিডিওগুলোয় বেশিরভাগ সময় যে দৃশ্য দেখানো হচ্ছে সেই সংক্রান্ত প্রসঙ্গ যোগ করার জন্য অডিও ন্যারেশন থাকে। আপনার ন্যারেশনটি ভিডিওতে দেখানো ব্যক্তি দিতে পারেন, ভয়েসওভারের মাধ্যমে দেওয়া হতে পারে অথবা স্থানিক বা স্প্যাশাল অডিও ব্যবহার করা হতে পারে। তবে যে পদ্ধতিই ব্যবহার করা হোক না কেন, এই ফর্মে অডিওর মাধ্যমে গল্প বললে আপনি দর্শকদের সঙ্গে এনগেজ হতে পারবেন, তাদেরকে ভিডিওতে দেখানো দৃশ্য বর্ণনা করতে পারবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো হাইলাইট করতে পারবেন।
360 অডিও ব্যবহার করুন। 360 ভিডিওতে 360 স্প্যাশাল অডিও যোগ করলে তা দৃশ্যের আবহ ও পরিবেশ তৈরি করতে পারে এবং তার পাশাপাশি দর্শকদেরকে প্রসঙ্গ ও আরও বেশি ইমারসিভ অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারে।
দর্শকদের চালনা করা এবং স্বাধীনতা দেওয়ার মাঝে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে “গাইড” ব্যবহার করুন। আমরা 360 পাবলিশিং টুলে গাইড চালু করেছি যার সাহায্যে আপনি দর্শকদেরকে ভিডিওর সেরা অংশে চালিত করার জন্য আপনার ভিডিওর মধ্যে আগ্রহের পয়েন্ট যোগ করতে পারবেন। গাইড নিশ্চিত করে যে অডিয়েন্স যেন কোনো আকর্ষণীয় মুহূর্ত মিস না করেন এবং তার পাশাপাশি তাদেরকে নিজের মতো করে বেরিয়ে গিয়ে পরিবেশ এক্সপ্লোর করারও সুযোগ দেয়।
কোনটি ট্র্যানজিশনের সঠিক সময় তা ভাবুন। আপনার অডিয়েন্স এক দৃশ্য থেকে অন্য দৃশ্যে যাওয়ার আগে প্রতিটি ফ্রেমকে যেন স্বাধীনভাবে এক্সপ্লোর করার এবং দৃশ্যের মধ্যে আত্মস্থ হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পান তা নিশ্চিত করুন। আমরা প্রতিটি দৃশ্যের জন্য কমপক্ষে 9-10 সেকেন্ড রাখতে পরামর্শ দিই।
আবিষ্কার ও বিস্ময়ের উপাদান যোগ করুন। আপনার ভিডিওতে এমন উপাদান রাখুন যাতে অডিয়েন্স ভিডিও এক্সপ্লোর করার সময় কোনো কিছু খুঁজে পেয়ে আনন্দিত হন অথবা তাদেরকে এমন দিকে চালিত করুন যেখানে তাদের জন্য কোনো বিস্ময় অপেক্ষা করে আছে। এনগেজিং 360 ভিডিও অডিয়েন্সকে সক্রিয়ভাবে ভিডিও এক্সপ্লোর করার সুযোগ দেয় যা তাদের কাছে পুরস্কার স্বরূপ।
টেক্সট ব্যবহার করে আপনার ভিডিওর মান বৃদ্ধি করুন। 360 ভিডিওতে সংক্ষিপ্ত ও তাৎপর্যপূর্ণ টেক্সট যোগ করুন। ভৌগোলিক লেবেল যোগ করে দর্শককে অভিমুখ ঠিক করতে সাহায্য করুন অথবা বর্ণনামূলক বাক্যাংশের সাহায্যে আপনাকে অনুসরণ করতে তাদের সাহায্য করুন। এই ধরনের টেক্সটের সাহায্যে ভিডিওর মান বৃদ্ধি করলে আপনার গল্পের মূল উপাদানগুলোতে অডিয়েন্সের মনোযোগ ধরে রাখতে সুবিধা হবে
হোম কন্টেন্ট রাইটিং কন্টেন্ট কি? কন্টেন্ট রাইটিং শিখে কিভাবে আয় করা যায়?
কন্টেন্ট কি?
কন্টেন্ট হচ্ছে কোন একটি বিষয় কে সহজ সরল ভাবে মার্জিত ভাষায় উপস্থাপন করা।যা পড়া মাত্রই মানুষ বিষয়টির সম্পর্কে জানতে পারে।কন্টেন্ট টি হতে পারে যে কোন বিষয়ের উপর।
অনলাইন সেক্টরে বর্তমান সময়ে অনেক বড় বড় পেশার মধ্যে কন্টেন্ট তৈরি অন্যতম।এ সময়ে অনেক কে ই পাওয়া যাবে যারা কন্টেন্ট তৈরি করে নিজের একটি সফল ক্যারিয়ার গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন।কন্টেন্ট তৈরি শিখে আপনি আপনার উজ্জ্বল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ার অনলাইন বা অফ-লাইনে গড়ে তুলতে পারেন।
কন্টেন্ট এর প্রকার
আমাদের এই 4G,5G অনলাইন মিডিয়ার যুগে কন্টেন্ট কথাটি শুনেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন।কন্টেন্ট এর প্রকার নিয়ে অনেক আলোচনা আমরা শুনে থাকি। আজ আমি আপনাদেরকে কন্টেন্ট এর বেশ কয়েকটি প্রকার জানাব যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রকারভেদ হল-
ছবি কন্টেন্ট
লিখিত কন্টেন্ট
ভিডিও কন্টেন্ট
অডিও কন্টেন্ট
ছবি কন্টেন্ট
কোন কিছু লিখার পাশাপাশি যদি আমরা ছবি দেখতে পাই তখন এটি কে বলা হয়ে থাকে ছবি কন্টেন্ট। ইমেজ বা ছবি কন্টেন্ট এ লিখা প্লাস ছবি দুটোই থাকে।
লিখিত কন্টেন্ট
এই যে আমি এখন যা লিখছি বা লিখার মাধ্যমে মনের ভাষা প্রকাশ করছি তাও একটি কন্টেন্ট। এই কন্টেন্ট টি হলো লিখিত কন্টেন্ট। এই কন্টেন্টটি আপনি অনলাইন, অফলাইন অথবা দুইটি প্লাটফর্মের জন্যেই লিখতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে পরবর্তী অংশে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
ভিডিও ও অডিও কন্টেন্ট
ভিডিও বা অডিও কন্টেন্ট নিয়ে যদি আমরা আলোচনা করি তা হলে বলা যায় যে আমরা ভিডিও তে যা দেখি এবং অডিওতে যা শুনে থাকি সেসবি ভিডিও বা অডিও কন্টেন্ট। এখানে স্বকীয়তা ও প্রতিভা প্রকাশের অনেক সুযোগ রয়েছে। এই কন্টেন্ট গুলোর জনপ্রিয়তা বর্তমানে দিন দিন বাড়ছে।
কন্টেন রাইটিং কাদের জন্য?
আমার মতো করে যদি বলি তা হলে বলব, সব কাজ সবার জন্য না ,তবে কন্টেন্ট রাইটিং এমন একটি পেশা যা হতে পারে সবার জন্যেই।সবার জন্য বলব এই কারণেই যাদের ইচ্ছা শক্তি আছে, এবং কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে আগ্রহ আছে, তাহলে আপনি যে টপিক নিয়েই লিখেন না কেন তার গুনাগুণ এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
লেখা লেখির বিষয়টা কে পেশা নয় বরং নিজের নেশাতে পরিনত করতে হবে। এবং নিজে কে একজন রাইটার হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।যারা মন খুলে উন্মুক্ত ভাবে লিখার চেষ্টায় থাকে তাদের জন্যই কন্টেন্ট রাইটিং এবং একটা সময় তারাই কন্টেন্ট রাইটিং এর সর্বোচ্চ আসনটি নিজের করে নিতে পারবেন।কন্টেন্ট রাইটিং পেশাটি যারা পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্য খুব ভালো একটি ক্যারিয়ার। কারণ তারা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে লিখতে পারেন।
যেভাবে শুরু করবেন কন্টেন্ট রাইটিং
কন্টেন্ট লিখার আগে আপনাকে মনস্থির করতে হবে,কিছু সময় আপনাকে ভাবতে হবে। আপনি যে বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখবেন সেই বিষয়টির উপর আপনার ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। গুগল বা ইউটিউবে বেশ কিছু সময় আপনাকে গবেষণা করতে হবে ।
আপনাকে সিলেক্ট করে নিতে হবে আপনি কোন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখবেন। সেটি হতে পারে ওয়েব কন্টেন্ট, ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট, সেলস কন্টেন্ট ইত্যাদি। উপরের বিষয় গুলো নিয়ে গবেষণার পর নিজের মত করে ফরম্যাট টি গুছিয়ে নিলে কন্টেন্ট লিখতে সহজ হবে। নিয়মিত প্র্যাক্টিস করলে দ্রুত সময়ে আপনি নিজেকে একজন ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে কী কী যোগ্যতা থাকতে হয়?
একজন পেশাদার কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই এইচ এস সি পাস হতে হবে। একজন পেশাদার কন্টেন্ট রাইটার যে কোন বয়সের হতে পারে এবং সে যে কোন পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারে। কন্টেন্ট রাইটারের বেলায় বয়সটা কোন বড় বিষয় নয়। বড় কথা হল লিখার মানটা কেমন।
তবে সাংবাদ মাধ্যমে কাজ করার জন্য স্নাতক পাস হলে ভালো হয়। আপনি যে কোন সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করেন না কেন, কোন সমস্যা নেই তবে আপনার লিখার হাত হতে হবে ভালো। সম্পুর্ন লেখা লেখি পেশায় নিয়োজিত হতে হলে আপনার বয়স ২২ বা ২৩ বছর হলে ভাল হয়। ব্লগ থেকে ইনকাম করার ব্যাপারেও একটা নির্দিষ্ট বয়সের ব্যাপার থাকে।
যেমন ধরেন গুগোলের অ্যাডসেন্স ১৮ বছরের কম বয়স হলে অনুমদন দেয় না ।
আপনি যে ভাষাতেই কন্টেন্ট লিখেন না কেন সেই ভাষার গ্রামার বা ব্যাকরণ আপনাকে খুব ভাল করে জানতে হবে। একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার হতে হলে আপনাকে প্রচুর প্রাথমিক রিসার্চ বা গবেষণা করতে হবে। ওই বিষয়ের উপর এনালাইসিস করতে হবে। অনলাইনে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার টাইপিং ভালো জানতে হবে।
একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
দৈনিক অফলাইন পত্রিকা বা অনলাইন পোর্টালে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। প্রথমে একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে জয়েন করার পরে কিছু দিন সফলাতার সাথে কাজ করে সিনিয়র কন্টেন্ট রাইটার হতে পারেন।
এখান থেকে আপনি আপনার কর্মের ধারা সর্বোচ্চ পদটিও আহরণ করতে পারেন, যেমন চীফ এডিটর পদে নিয়োগ পেতে পারেন। আপনি যদি কোন এজেন্সিতে ৪-৬ বছর কাজ করেন তা হলে ম্যানেজার হতে পারেন এমন কি আপনি সিনিয়র কপিরাটার হতে পারেন।
এখন যদি আমরা কন্টেন্ট রাইটিংয়ে ফ্রিল্যান্সিং কথা বলি তা হলে বলব যে, এখানে কোন পদ বা পদবির ব্যাপার নেই আপনার যদি ভালো পোর্টফোলিও থাকে তাহলে আপনি অনেক ভালো আয় করতে পারবেন। এমন কি আপনি অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরির অফার পাবেন।
একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আপনি কোথায় কাজ করবেন?
কন্টেন্ট রাইটাররা অনেক যায়গায় কাজ করে থাকেন। যেমন কিছু উল্লেখযোগ্য জায়গা হলো,অনলাইন,অফলাইন পত্রিকায় এবং কমার্শিয়াল ব্লগ গুলোতেও খুব ভালো কাজ করার সুবিধা থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা,মেগাজিন দৈনিক,সাপ্তাহিক,মাসিক এমন বিভিন্ন কাগজে কাজ করে ইনকাম করা সম্ভব।
নিজের একটি ওয়েব সাইট থাকলেও অনলাইনে ভালো ইনকাম করা সম্ভব।বিনা মূল্যে নিজের একটি ওয়েব তৈরী করে স্মার্ট ইনকামের সুবিধা রয়েছে অনলাইনে। একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটারের কাজের সুযোগের অভাব নেই সে সব প্লাটফর্মেই ভালো করতে পারে। তবে, আপনি যে ভাষাতেই লিখেন না কেন লিখার মান অব্যশই ভালো হতে হবে।
কত টাকা আয় করেন একজন কন্টেন্ট রাইটার
একজন কন্টেন্ট রাইটারের আয়টা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর।
আপনি কি ধরনের কন্টেন লিখবেন,যেমন বাংলাতে না কি ইংরেজিতে,
পাশাপাশি আপনি কোন ফরম্যাট অনুসরণ করবেন, বা
আপনি কি ধরনের কোম্পানির জন্য লিখছেন,
আপনার লিখার মান কেমন।
একজন কন্টেন্ট রাইটার যদি ভালো কোন পোর্টালে কাজ শুরু করেন তাইলে প্রতি মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আমরা যদি একজন ব্লগারের কথা বলি তাহলে ৩-৪ মাস পর থেকেই ইনকাম করতে পারেন। বাংলা ১০০০ বা ১৫০০ ওয়ার্ডের কন্টেন্ট এর জন্য ৫-৮ ডলার আয় করা যায়। আবার ইংরেজিতে ৩০-৫০ ডলার কিংবা তারও বেশি হতে পারে।
একজন ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটার কাজের শুরুটা করেন প্রতি হাজার ওয়ার্ড ৫ ডলারের মাধ্যমে। কিন্তু ৫-৬ টি কাজ কমপ্লিট করার পরেই কাজের ডিমান্ড বেড়ে যায়। যা প্রতি ঘন্টায় ২৫-৩০ ডলার ধরে ও কাজ করতে পারেন।
ডলারে বা টাকায় বিচার না করে আপনাকে ভাবতে হবে কাজের ধরন নিয়ে। কাজের মান বা কন্টেন্ট এর মান ভালো হলে এমনিতেই একটি ভালো পোর্টফোলিও তৈরি হবে। কাজ ভালো হলে নিজের কদর সব যায়গায় পাওয়া যায়। আমার মত করেই বলি, তাহলে বলব যে টাকার পিছু না ছুটে কাজের মানের দিকে লক্ষ্য রাখুন, টাকা আপনার পিছু এমনি ছুটবে।
পরিশেষে কন্টেন্ট রাইটিং
আমরা উপরের আলোচনা থেকে যা জানতে পারলাম তা হলো, কন্টেন্ট কি? কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং লিখতে হবে। কি ভাবে একজন কন্টেন্ট রাইটার হওয়া যায়।কন্টেন্ট রাইটারের ক্যারিয়ার সহ সকল বিষয় নিয়ে কিছু না কিছু আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনাদের কিছুটা হলেও কাজে লাগবে।
অন্যেদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য নিজেকে দক্ষ ভাবে তৈরী করুন। অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে নিজেকে আপডেট করে গড়ে তুলুন। আগে নিজে জানুন, শিখুন, তার পরে কাজের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিন।সফলতা আপনার হাতের মুঠোইয় চলে আসবে।