ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

কীভাবে জন্ম নিল কোকাকোলা, অবাক করবে যে ইতিহাস

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 132
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
History of Coca-Cola: নেশায় বুঁদ জন হুইস্কিতে সোডা মেশানোর পরিবর্তে কোকা আর কোলা বাদামের মিশ্রণে সোডা মিশিয়ে গ্লাসে চুমুক দেন। ব্যাস প্রথম চুমুকেই একপ্রকার ক্লিন বোল্ড হয়ে যান জন পেম্বারটন।

বিশ্ব বাজারে কোকা কোলা কোম্পানি ১৩৫ বছর সম্পন্ন করেছে গত বছর। সুদীর্ঘ এই সময়ে নানা উপায়ে নিজেদের ছাপ রেখেছে এই সংস্থা। কোকা কোলা কোম্পানির লোগো, বিজ্ঞাপন, ট্যাগলাইন এবং সর্বোপরি প্রোডাক্ট সবই ব্যবসায়িকভাবে অত্যন্ত সাফল্যের মুখ দেখেছে। কিন্তু অনেকেরই অজানা, এই পানীয়টির প্রস্তুতকারক জাতীয় ওষুধ হিসেবে বাজারে নিয়ে এসেছিলেন মিশ্রণটিকে। এমনকী সংস্থার এত সাফল্য তিনি চাক্ষুষ করতেও পারেননি। কীভাবে শুরু হল কোকা কোলা কোম্পানির ব্যবসা?

কোকা কোলা তৈরির নেপথ্য নায়ক

১৮৩১ সালের ৮ জুলাই আমেরিকার জর্জিয়াতে জন্ম হয় জন পেম্বারটনের। পড়াশোনায় ছোটবেলা থেকেই ভালো ছিলের তিনি। রিফর্ম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ফার্মাসি নিয়ে পড়াশোনার জন্য। ১৮৫০ সালে ডিগ্রি এবং লাইসেন্স দুই’ই অর্জন করেন জন। পেম্বারটনের স্বপ্ন ছিল মানুষের রোগ মুক্তির জন্য নানা ওষুধ তৈরি করবেন তিনি। কিন্তু সেই সময় দাসপ্রথা নিয়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় আমেরিকায়। গৃহযুদ্ধে পেম্বারটন লড়াই করেছিলেন জর্জিয়ার স্টেট গার্ডের হয়ে। ব্যাটেল অফ কলম্বাসের লড়াইয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি। যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মরফিন ইনজেকশন নেওয়া শুরু করেন জন। দিনে দু’ তিনবার মরফিন গ্রহণ করতে থাকায় একসময় চূড়ান্তভাবে আসক্ত হয়ে পড়েন জন পেম্বারটন।

তখনকার সময় মরফিন ছিল বেশ দামি নেশা। তাই পয়সায় কুলোতে না পেরে সহজলভ্য কোকা পাতা চিবোতে শুরু করেন পেম্বারটন। কোকা গাছ থেকেই তৈরি হয় আরেক ভয়ঙ্কর ড্রাগ কোকেন। কোকা পাতা চিবোলে নেশা হয় ঠিকই কিন্তু স্বাদে এতই তেতো যে মুখে বেশিক্ষণ রাখাই যায় না। তাই এই পাতাকে সামান্য উপাদেয় করতেই নিজের ল্যাবেরটরিতে কোকা পাতার নির্যাসের সঙ্গে নানা উপাদান মিশোতে শুরু করেন তিনি। শুধুমাত্র নিজের নেশার দ্রব্য জোগান রাখতেই পেম্বারটন গবেষণা শুরু করেন।

একদিন এভাবেই কোকা পাতার নির্যাসের সঙ্গে কোলা বাদামের গুঁড়ো মিশিয়েছিলেন জন। স্বাদে বেশ ভালোই ছিল সেই পানীয়। কিন্তু পরের দিন সন্ধ্যাবেলায় নেশায় বুঁদ জন হুইস্কিতে সোডা মেশানোর পরিবর্তে কোকা আর কোলা বাদামের মিশ্রণে সোডা মিশিয়ে গ্লাসে চুমুক দেন। ব্যাস প্রথম চুমুকেই একপ্রকার ক্লিন বোল্ড হয়ে যান জন পেম্বারটন।

পরের দিন বন্ধু উইলিস ভেনাবলের সঙ্গে দেখা করেন পেম্বারটন। উইলিস ওষুধের দোকানের মালিক। বন্ধুকেও সেই কোকা পাতা, কোলা বাদামের গুঁড়ো এবং সোডা ওয়াটারের মিশ্রণটি চেখে দেখতে অনুরোধ করেন জন পেম্বারটন। উইলিস এক চুমুক দিয়েই আনন্দে চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে ওঠেন। সেদিনই দুই বন্ধু মিলে ঠিক করেন এই মিশ্রণকে ব্যবসায়িকভাবে বাজারে আনবেন তিনি।

কয়েক মাসের মধ্যেই পেম্বারটনের তৈরি করা মিশ্রণটি দুই বন্ধু মিলে ব্রেন টনিক জাতীয় ওষুধ হিসেবে বাজারে এনেছিলেন। মিশ্রণটি খেলে বেশ ফুরফুরে লাগে এবং মানসিক অবসাদ কাটে। সেই সময় মিশ্রণটির এক গ্লাসের দাম ছিল পাঁচ সেন্ট। তবে প্রখর ব্যবসায়িক বুদ্ধি সম্পন্ন পেম্বারটন নিজের বন্ধুকেও ওই মিশ্রণ তৈরির ফর্মুলা জানাননি। নিজের ল্যাবরটরিতেই তৈরি করতেন মিশ্রণটি। বাজারে আসার কয়েক দিনের মধ্যেই ব্রেন টনিকের পরিবর্তে সোডা ফাউন্টেন ড্রিংক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পেম্বারটনের মিশ্রণটি। একসময় কোম্পানির নাম দেওয়ার তাগিদেই বিজ্ঞাপন কোম্পানির মালিক ফ্র্যাঙ্ক ম্যাসন রবিনসন এই মিশ্রণটির নাম রাখলেন Coca Cola। তৈরি হল সবার পছন্দের কোকা-কোলা ব্র্যান্ড।

তবে মরফিনের নেশা ছাড়তে পারেননি জন। একসময় নেশায় প্রায় দেউলিয়া হয়ে যেতে বসেছিলেন তিনি। সংসার চালাবার তাগিদে তাই বেচতে হয়েছিল কোকা কোলা তৈরির ফর্মুলা। যদিও সিংহভাগ শেয়ার রেখেছিলেন নিজের তত্ত্বাবধানেই। ভেবেছিলেন তাঁর ছেলে চার্লি এই ব্যবসার হাল ধরবে ভবিষ্যতে। তবে অনেকেই বলেন, কোকাকোলার ফর্মুলা বেচলেও কোনওদিনও নাকি পুরোটা কাউকেই জানাননি তিনি। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন একদিন এই পানীয় আমেরিকার জাতীয় পানীয় হয়ে উঠবে। তবে জনের পর তাঁর ছেলে চার্লিও প্রথমদিকে ব্যবসা জমাতে পারেননি। তবে কোকাকোলা নামের পেটেন্ট ছিল চার্লির কাছেই। বাবার মতো মরফিনের নেশা ছিল চার্লির। এমনকী সঙ্গে মদ ও আফিমের নেশাও করতেন তিনি। তাই টাকা রোজগারের আশায় ১৮৮৮ সালে ধনকুবের এসা ক্যান্ডলারকে কোকা কোলা কোম্পানি বেচে দেন চার্লি। সে বছরই পাকস্থলীর ক্যান্সারে ভুগে মারা যান জন পেম্বারটন। জনের মৃত্যুর ছয় বছরের মধ্যেই মৃত্যু হয় চার্লির। মৃত্যুর সময় কার্যত দেউলিয়া হয়ে গেলেও নেশা ছাড়তে পারেননি বাবা ও ছেলে। তবে এসার বুদ্ধিতেই কয়েক বছরের মধ্যেই ফুলে ফেঁপে ওঠে সংস্থার ব্যবসা।

জোরকদমে বিজ্ঞাপন

জনসাধারণের কাছে পৌঁছে যেতে নানা কৌশল অবলম্বন করে কোম্পানি। বিভিন্ন প্রিন্ট মাধ্যম যেমন ন্যাপকিন, দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ে এই কোম্পানি। কোকা কোলা কোম্পানি বিজ্ঞাপনের উপর কতখানি জোর দিত তার প্রমাণ তাদের বিজ্ঞাপনী বাজেট। ১৯১১ সালেই এই কোম্পানি আনুমানিক এক মিলিয়ন ডলার খরচ করে বিজ্ঞাপনে। এক দশক পরেই ফোর্বসের প্রথম ১০ কোম্পানির তালিকায় জায়গা করে নেয় কোকা কোলা। নব্বইয়ের দশকের প্রথমার্ধেই বিখ্যাত আমেরিকান মডেল হিলডা ক্লার্ক এই কোম্পানির মুখ হয়ে ওঠে, যা সময়ের নিরিখে একেবারে ভিন্ন পদক্ষেপ। ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশিয় ম্যাগাজিন, রেডিও চ্যানেল এবং অনুষ্ঠানে বিজ্ঞাপন চালু করল কোম্পানি। ১৯৬১ সালে কোম্পানি বাজারে নিয়ে এল নতুন পানীয় স্প্রাইট (Sprite)। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন চালু হল তখন কোম্পানির আয় বিদেশের বাজারে প্রায় ৩৩% বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে পেপসির জনপ্রিয়তায় খানিক ভাটা পড়ে ব্যবসায় কিন্তু ব্যবসায়িক কৌশল বদলে বাজারে টিকে থাকে কোকা কোলা।

জন পেম্বারটন নামে একজন ফার্মাসিস্ট 1886 সালের 8 মে আটলান্টায় কোকা-কোলা তৈরি করেছিলেন। পেম্বারটন একজন সৈনিক ছিলেন। তবে সেনাবাহিনীতে যোগদানের আগে তিনি একটি ফার্মেসিতে কাজ করতেন। সেনা-বাহিনীতে থাকা অবস্থায় তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। নেশা ছড়ানোর বিকল্পের খোঁজে তিনি ফার্মেসিতে গবেষণা চালিয়ে যান। তবে বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করলেও সাফল্য অধরাই ছিল। ঘটনাচক্রে সে সময় তিনি একজন সঙ্গী খুঁজে পান – ফ্রাঙ্ক রবিনসন। অতঃপর দুজনে মিলে একটি কেমিক্যাল কোম্পানি শুরু করেন। পেমবার্টন এখানেও একই পানীয় নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যান। অবশেষে, মে 1886 সালে, পেম্বারটন একটি পানীয় তৈরি করেন। তিনি এটিতে সোডা যোগ করে লোকদের উপর পরীক্ষা করেছিলেন। প্রত্যেকেই পানীয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। পানীয় জগতে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল।

মে থেকেই কলকাতায় নতুন সুবিধা, পাইপলাইনেই রান্নাঘরে পাবেন গ্যাস!

পানীয়টি কোক পাতা এবং কোরা বাদামের ক্যাফেইনযুক্ত সিরাপ তৈরির রেসিপির সাথে মিশ্রিত করা হয়েছিল। পেম্বারটনের পার্টনার ফ্রাঙ্ক এই পানীয়টির নাম দিয়েছেন কোকা-কোলা। এই কোকা কোলার প্রাথমিক মূল্য রাখা হয়েছিল প্রতি গ্লাসে 5 সেন্ট। কিছু রিপোর্ট এমনও বলছে যে কোকা-কোলা মাথাব্যথা উপশমের ওষুধ হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল।

কোকা-কোলা তৈরির সূত্রটি পেম্বারটন বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। এই সূত্রটি 1887 সালে আটলান্টার একজন ফার্মাসিস্ট ব্যবসায়ী গ্রিগস ক্যান্ডলার 2300 ডলারে কিনে নিয়েছিলেন। ক্যাডলার কোকা-কোলার ব্যবসাকে সফল করার জন্য একটি কৌশল নেন। মানুষকে পানীয়টির প্রতি আসক্ত করতে প্রথমদিকে তিনি বিনামূল্যে এই পানীয়ের কুপন বিতরণ করেন। ক্রমশ কোকা-কোলার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এর খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

‘কোহিনুর’ কিনল Adani-র কোম্পানি!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাজার হাজার আমেরিকান সৈন্যকে অন্য দেশে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়েছিল। সেই সময়ে, কোকা-কোলার প্রেসিডেন্ট রবার্ট উডরাফ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে প্রত্যেক ব্যক্তি পাঁচ সেন্টের বিনিময়ে কোকা-কোলার একটি বোতল পাবেন। সেই অর্থ সৈন্যদের জন্য ব্যয় করা হবে। দেশপ্রেমের ইতিহাসের সঙ্গেও কোকা-কোলা যুক্ত হয়ে যায়।

কোকা-কোলা কোম্পানি সারা বিশ্বের 200 টিরও বেশি দেশে উপস্থিত রয়েছে এবং এই দেশগুলিতে 900 টিরও বেশি প্লান্ট রয়েছে। বলা হয় যে কোকা-কোলা কোম্পানি 3900 ধরনের পানীয় তৈরি করে, যেগুলি যদি একজন মানুষ প্রতিদিনও পান করে, তাহলেও তাঁর 9 বছর সময় লাগবে।

কোকা-কোলা (ইংরেজি: Coca-Cola) হচ্ছে এক প্রকার কার্বোনেটেড কোমল পানীয়। দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির দাবি অনুসারে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে কোকা-কোলা বিক্রি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া কোকা-কোলা সংক্ষেপে কোক (Coke) নামে পরিচিত। । এছাড়া এটি ইউরোপ-আমেরিকায় কোলা ও পপ নামেও পরিচিত

কানাডা, 1941 মন্ট্রিল জানুয়ারি 8 COCA-COLA কানাডা লিমিটেড কারখানা BOTTLING.

কোকা-কোলার আদি রেসিপি তৈরি হয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের কলম্বাসে অবস্থিত ইগল ড্রাগ এন্ড ক্যামিক্যাল কোম্পানিতে। এটি তৈরি করেছিলেনজন পেম্বারটন নামক একজন ড্রাগিস্ট। এর প্রকৃত নাম ছিলো কোকা ওয়াইন, যাকে বলা হতো ফ্রেঞ্চ ওয়াইন কোকা । ধারনা করা হয়, তিনি সম্ভবত ইউরোপীয়ভিন মারিয়ানি নামক কোকা ওয়াইনের ব্যবসায়িক সাফল্য দেখে এরকম একটি পানীয় প্রস্তুত করতে অনুপ্রাণিত হন।

জন পেম্বারটন, কোকা-কোলার আবিষ্ষকর্তা

১৮৮৬, যখন আটলান্টা ও ফুলটন কাউন্টি অ্যালকোহলিক পানীয়ের বিরুদ্ধে আইন পাস করে । তখন পেম্বারটন ” ফ্রেঞ্চ ওয়াইন” এর অ্যালকোহলমুক্ত একটি সংস্করণ বের করেন , যা বর্তমানে কোকা-কোলা নামে পরিচিত । যুক্তরাষ্ট্রে এটি ১৯৪৪ সালের ২৭ মার্চ থেকে দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্ক
ব্যবসায়ী “আসা গ্রিগস ক্যান্ডেলা” এর বাজারজাতকরণ কৌশলেই বিশ শতক থেকে কোকা-কোলা বিশ্বের কোমল পানীয়র বাজারে একটি প্রভাবশালী ও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দী হিসেবে চিহ্নিত হয়।

কোকাকোলার প্রথম বিক্রিটি হয় ৮ মে, ১৮৮৬ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা শহরে।
এটি প্রথমে বিক্রি হয়েছিলো একটি পেটেন্টভুক্ত ওষুধ হিসেবে। প্রতি গ্লাস ৫ সেন্ট দামে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো – এরকম বিশ্বাসের কারণে পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই এটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বাজারজাতকরণের প্রথম বছরে কোকা-কোলা বিক্রয় হয়েছিল নয় গ্লাস। বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীতে কোমল পানীয় হিসেবে প্রতিদিন কোকা-কোলা বিক্রয় হয় প্রায় ১৬০ কোটি গ্লাস।


১৮৯০-এর দশকে কোকা-কোলার বিজ্ঞাপনে ঊনিশ শতকের পোষাকে তৎকালীন মার্কিন মডেল হিল্ডা ক্লার্ক।
বিজ্ঞাপনের শিরোনাম ৫ সেন্টে কোকা-কোলা পান করুন (Drink Coca-Cola 5¢)।
আরো কিছু বিজ্ঞাপনের ছবি
  

লাস বেগাস-এ কোকা- কোলা মিউজিয়াম আবস্থিত

উপাদানসমূহ ::
* কার্বোনেটেড ওয়াটার
* চিনি ([[সুকরোজ]] বা [[হাই-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ]] দেশ বা এলাকার ওপর ভিত্তি করে)
* [[ক্যাফেইন]]
* [[ফসফরিক এসিড]] বা ক্যারামেল (ই১৫০ডি)
* প্রাকৃতিক ফ্লেভার বা স্বাদ
এক ক্যান কোক (১২ ফ্লুইড আউন্স/৩৫৫ মিলিলিটার)-এ ৩৯ গ্রাম শর্করা (সম্পূর্ণটাই চিনি থেকে) থাকে। এছাড়া থাকে ৫০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ০ গ্রাম চর্বি, ০ গ্রাম পটাশিয়াম, এবং ১৪০ ক্যালরি

পেম্বারটন দাবি করেছিলেন যে, কোকা-কোলা অনেক রোগের প্রতিকার করে। যেমন: মরফিনআসক্তি, বদহজম বা অজীর্ণ, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, মাথাব্যথা, ধ্বজভঙ্গ প্রভৃতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কীভাবে জন্ম নিল কোকাকোলা, অবাক করবে যে ইতিহাস

আপডেট সময় : ০৬:০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
History of Coca-Cola: নেশায় বুঁদ জন হুইস্কিতে সোডা মেশানোর পরিবর্তে কোকা আর কোলা বাদামের মিশ্রণে সোডা মিশিয়ে গ্লাসে চুমুক দেন। ব্যাস প্রথম চুমুকেই একপ্রকার ক্লিন বোল্ড হয়ে যান জন পেম্বারটন।

বিশ্ব বাজারে কোকা কোলা কোম্পানি ১৩৫ বছর সম্পন্ন করেছে গত বছর। সুদীর্ঘ এই সময়ে নানা উপায়ে নিজেদের ছাপ রেখেছে এই সংস্থা। কোকা কোলা কোম্পানির লোগো, বিজ্ঞাপন, ট্যাগলাইন এবং সর্বোপরি প্রোডাক্ট সবই ব্যবসায়িকভাবে অত্যন্ত সাফল্যের মুখ দেখেছে। কিন্তু অনেকেরই অজানা, এই পানীয়টির প্রস্তুতকারক জাতীয় ওষুধ হিসেবে বাজারে নিয়ে এসেছিলেন মিশ্রণটিকে। এমনকী সংস্থার এত সাফল্য তিনি চাক্ষুষ করতেও পারেননি। কীভাবে শুরু হল কোকা কোলা কোম্পানির ব্যবসা?

কোকা কোলা তৈরির নেপথ্য নায়ক

১৮৩১ সালের ৮ জুলাই আমেরিকার জর্জিয়াতে জন্ম হয় জন পেম্বারটনের। পড়াশোনায় ছোটবেলা থেকেই ভালো ছিলের তিনি। রিফর্ম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ফার্মাসি নিয়ে পড়াশোনার জন্য। ১৮৫০ সালে ডিগ্রি এবং লাইসেন্স দুই’ই অর্জন করেন জন। পেম্বারটনের স্বপ্ন ছিল মানুষের রোগ মুক্তির জন্য নানা ওষুধ তৈরি করবেন তিনি। কিন্তু সেই সময় দাসপ্রথা নিয়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় আমেরিকায়। গৃহযুদ্ধে পেম্বারটন লড়াই করেছিলেন জর্জিয়ার স্টেট গার্ডের হয়ে। ব্যাটেল অফ কলম্বাসের লড়াইয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি। যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মরফিন ইনজেকশন নেওয়া শুরু করেন জন। দিনে দু’ তিনবার মরফিন গ্রহণ করতে থাকায় একসময় চূড়ান্তভাবে আসক্ত হয়ে পড়েন জন পেম্বারটন।

তখনকার সময় মরফিন ছিল বেশ দামি নেশা। তাই পয়সায় কুলোতে না পেরে সহজলভ্য কোকা পাতা চিবোতে শুরু করেন পেম্বারটন। কোকা গাছ থেকেই তৈরি হয় আরেক ভয়ঙ্কর ড্রাগ কোকেন। কোকা পাতা চিবোলে নেশা হয় ঠিকই কিন্তু স্বাদে এতই তেতো যে মুখে বেশিক্ষণ রাখাই যায় না। তাই এই পাতাকে সামান্য উপাদেয় করতেই নিজের ল্যাবেরটরিতে কোকা পাতার নির্যাসের সঙ্গে নানা উপাদান মিশোতে শুরু করেন তিনি। শুধুমাত্র নিজের নেশার দ্রব্য জোগান রাখতেই পেম্বারটন গবেষণা শুরু করেন।

একদিন এভাবেই কোকা পাতার নির্যাসের সঙ্গে কোলা বাদামের গুঁড়ো মিশিয়েছিলেন জন। স্বাদে বেশ ভালোই ছিল সেই পানীয়। কিন্তু পরের দিন সন্ধ্যাবেলায় নেশায় বুঁদ জন হুইস্কিতে সোডা মেশানোর পরিবর্তে কোকা আর কোলা বাদামের মিশ্রণে সোডা মিশিয়ে গ্লাসে চুমুক দেন। ব্যাস প্রথম চুমুকেই একপ্রকার ক্লিন বোল্ড হয়ে যান জন পেম্বারটন।

পরের দিন বন্ধু উইলিস ভেনাবলের সঙ্গে দেখা করেন পেম্বারটন। উইলিস ওষুধের দোকানের মালিক। বন্ধুকেও সেই কোকা পাতা, কোলা বাদামের গুঁড়ো এবং সোডা ওয়াটারের মিশ্রণটি চেখে দেখতে অনুরোধ করেন জন পেম্বারটন। উইলিস এক চুমুক দিয়েই আনন্দে চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে ওঠেন। সেদিনই দুই বন্ধু মিলে ঠিক করেন এই মিশ্রণকে ব্যবসায়িকভাবে বাজারে আনবেন তিনি।

কয়েক মাসের মধ্যেই পেম্বারটনের তৈরি করা মিশ্রণটি দুই বন্ধু মিলে ব্রেন টনিক জাতীয় ওষুধ হিসেবে বাজারে এনেছিলেন। মিশ্রণটি খেলে বেশ ফুরফুরে লাগে এবং মানসিক অবসাদ কাটে। সেই সময় মিশ্রণটির এক গ্লাসের দাম ছিল পাঁচ সেন্ট। তবে প্রখর ব্যবসায়িক বুদ্ধি সম্পন্ন পেম্বারটন নিজের বন্ধুকেও ওই মিশ্রণ তৈরির ফর্মুলা জানাননি। নিজের ল্যাবরটরিতেই তৈরি করতেন মিশ্রণটি। বাজারে আসার কয়েক দিনের মধ্যেই ব্রেন টনিকের পরিবর্তে সোডা ফাউন্টেন ড্রিংক হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পেম্বারটনের মিশ্রণটি। একসময় কোম্পানির নাম দেওয়ার তাগিদেই বিজ্ঞাপন কোম্পানির মালিক ফ্র্যাঙ্ক ম্যাসন রবিনসন এই মিশ্রণটির নাম রাখলেন Coca Cola। তৈরি হল সবার পছন্দের কোকা-কোলা ব্র্যান্ড।

তবে মরফিনের নেশা ছাড়তে পারেননি জন। একসময় নেশায় প্রায় দেউলিয়া হয়ে যেতে বসেছিলেন তিনি। সংসার চালাবার তাগিদে তাই বেচতে হয়েছিল কোকা কোলা তৈরির ফর্মুলা। যদিও সিংহভাগ শেয়ার রেখেছিলেন নিজের তত্ত্বাবধানেই। ভেবেছিলেন তাঁর ছেলে চার্লি এই ব্যবসার হাল ধরবে ভবিষ্যতে। তবে অনেকেই বলেন, কোকাকোলার ফর্মুলা বেচলেও কোনওদিনও নাকি পুরোটা কাউকেই জানাননি তিনি। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন একদিন এই পানীয় আমেরিকার জাতীয় পানীয় হয়ে উঠবে। তবে জনের পর তাঁর ছেলে চার্লিও প্রথমদিকে ব্যবসা জমাতে পারেননি। তবে কোকাকোলা নামের পেটেন্ট ছিল চার্লির কাছেই। বাবার মতো মরফিনের নেশা ছিল চার্লির। এমনকী সঙ্গে মদ ও আফিমের নেশাও করতেন তিনি। তাই টাকা রোজগারের আশায় ১৮৮৮ সালে ধনকুবের এসা ক্যান্ডলারকে কোকা কোলা কোম্পানি বেচে দেন চার্লি। সে বছরই পাকস্থলীর ক্যান্সারে ভুগে মারা যান জন পেম্বারটন। জনের মৃত্যুর ছয় বছরের মধ্যেই মৃত্যু হয় চার্লির। মৃত্যুর সময় কার্যত দেউলিয়া হয়ে গেলেও নেশা ছাড়তে পারেননি বাবা ও ছেলে। তবে এসার বুদ্ধিতেই কয়েক বছরের মধ্যেই ফুলে ফেঁপে ওঠে সংস্থার ব্যবসা।

জোরকদমে বিজ্ঞাপন

জনসাধারণের কাছে পৌঁছে যেতে নানা কৌশল অবলম্বন করে কোম্পানি। বিভিন্ন প্রিন্ট মাধ্যম যেমন ন্যাপকিন, দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ে এই কোম্পানি। কোকা কোলা কোম্পানি বিজ্ঞাপনের উপর কতখানি জোর দিত তার প্রমাণ তাদের বিজ্ঞাপনী বাজেট। ১৯১১ সালেই এই কোম্পানি আনুমানিক এক মিলিয়ন ডলার খরচ করে বিজ্ঞাপনে। এক দশক পরেই ফোর্বসের প্রথম ১০ কোম্পানির তালিকায় জায়গা করে নেয় কোকা কোলা। নব্বইয়ের দশকের প্রথমার্ধেই বিখ্যাত আমেরিকান মডেল হিলডা ক্লার্ক এই কোম্পানির মুখ হয়ে ওঠে, যা সময়ের নিরিখে একেবারে ভিন্ন পদক্ষেপ। ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশিয় ম্যাগাজিন, রেডিও চ্যানেল এবং অনুষ্ঠানে বিজ্ঞাপন চালু করল কোম্পানি। ১৯৬১ সালে কোম্পানি বাজারে নিয়ে এল নতুন পানীয় স্প্রাইট (Sprite)। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন চালু হল তখন কোম্পানির আয় বিদেশের বাজারে প্রায় ৩৩% বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে পেপসির জনপ্রিয়তায় খানিক ভাটা পড়ে ব্যবসায় কিন্তু ব্যবসায়িক কৌশল বদলে বাজারে টিকে থাকে কোকা কোলা।

জন পেম্বারটন নামে একজন ফার্মাসিস্ট 1886 সালের 8 মে আটলান্টায় কোকা-কোলা তৈরি করেছিলেন। পেম্বারটন একজন সৈনিক ছিলেন। তবে সেনাবাহিনীতে যোগদানের আগে তিনি একটি ফার্মেসিতে কাজ করতেন। সেনা-বাহিনীতে থাকা অবস্থায় তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। নেশা ছড়ানোর বিকল্পের খোঁজে তিনি ফার্মেসিতে গবেষণা চালিয়ে যান। তবে বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করলেও সাফল্য অধরাই ছিল। ঘটনাচক্রে সে সময় তিনি একজন সঙ্গী খুঁজে পান – ফ্রাঙ্ক রবিনসন। অতঃপর দুজনে মিলে একটি কেমিক্যাল কোম্পানি শুরু করেন। পেমবার্টন এখানেও একই পানীয় নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যান। অবশেষে, মে 1886 সালে, পেম্বারটন একটি পানীয় তৈরি করেন। তিনি এটিতে সোডা যোগ করে লোকদের উপর পরীক্ষা করেছিলেন। প্রত্যেকেই পানীয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। পানীয় জগতে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল।

মে থেকেই কলকাতায় নতুন সুবিধা, পাইপলাইনেই রান্নাঘরে পাবেন গ্যাস!

পানীয়টি কোক পাতা এবং কোরা বাদামের ক্যাফেইনযুক্ত সিরাপ তৈরির রেসিপির সাথে মিশ্রিত করা হয়েছিল। পেম্বারটনের পার্টনার ফ্রাঙ্ক এই পানীয়টির নাম দিয়েছেন কোকা-কোলা। এই কোকা কোলার প্রাথমিক মূল্য রাখা হয়েছিল প্রতি গ্লাসে 5 সেন্ট। কিছু রিপোর্ট এমনও বলছে যে কোকা-কোলা মাথাব্যথা উপশমের ওষুধ হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল।

কোকা-কোলা তৈরির সূত্রটি পেম্বারটন বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। এই সূত্রটি 1887 সালে আটলান্টার একজন ফার্মাসিস্ট ব্যবসায়ী গ্রিগস ক্যান্ডলার 2300 ডলারে কিনে নিয়েছিলেন। ক্যাডলার কোকা-কোলার ব্যবসাকে সফল করার জন্য একটি কৌশল নেন। মানুষকে পানীয়টির প্রতি আসক্ত করতে প্রথমদিকে তিনি বিনামূল্যে এই পানীয়ের কুপন বিতরণ করেন। ক্রমশ কোকা-কোলার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এর খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

‘কোহিনুর’ কিনল Adani-র কোম্পানি!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাজার হাজার আমেরিকান সৈন্যকে অন্য দেশে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়েছিল। সেই সময়ে, কোকা-কোলার প্রেসিডেন্ট রবার্ট উডরাফ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে প্রত্যেক ব্যক্তি পাঁচ সেন্টের বিনিময়ে কোকা-কোলার একটি বোতল পাবেন। সেই অর্থ সৈন্যদের জন্য ব্যয় করা হবে। দেশপ্রেমের ইতিহাসের সঙ্গেও কোকা-কোলা যুক্ত হয়ে যায়।

কোকা-কোলা কোম্পানি সারা বিশ্বের 200 টিরও বেশি দেশে উপস্থিত রয়েছে এবং এই দেশগুলিতে 900 টিরও বেশি প্লান্ট রয়েছে। বলা হয় যে কোকা-কোলা কোম্পানি 3900 ধরনের পানীয় তৈরি করে, যেগুলি যদি একজন মানুষ প্রতিদিনও পান করে, তাহলেও তাঁর 9 বছর সময় লাগবে।

কোকা-কোলা (ইংরেজি: Coca-Cola) হচ্ছে এক প্রকার কার্বোনেটেড কোমল পানীয়। দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির দাবি অনুসারে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশে কোকা-কোলা বিক্রি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া কোকা-কোলা সংক্ষেপে কোক (Coke) নামে পরিচিত। । এছাড়া এটি ইউরোপ-আমেরিকায় কোলা ও পপ নামেও পরিচিত

কানাডা, 1941 মন্ট্রিল জানুয়ারি 8 COCA-COLA কানাডা লিমিটেড কারখানা BOTTLING.

কোকা-কোলার আদি রেসিপি তৈরি হয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের কলম্বাসে অবস্থিত ইগল ড্রাগ এন্ড ক্যামিক্যাল কোম্পানিতে। এটি তৈরি করেছিলেনজন পেম্বারটন নামক একজন ড্রাগিস্ট। এর প্রকৃত নাম ছিলো কোকা ওয়াইন, যাকে বলা হতো ফ্রেঞ্চ ওয়াইন কোকা । ধারনা করা হয়, তিনি সম্ভবত ইউরোপীয়ভিন মারিয়ানি নামক কোকা ওয়াইনের ব্যবসায়িক সাফল্য দেখে এরকম একটি পানীয় প্রস্তুত করতে অনুপ্রাণিত হন।

জন পেম্বারটন, কোকা-কোলার আবিষ্ষকর্তা

১৮৮৬, যখন আটলান্টা ও ফুলটন কাউন্টি অ্যালকোহলিক পানীয়ের বিরুদ্ধে আইন পাস করে । তখন পেম্বারটন ” ফ্রেঞ্চ ওয়াইন” এর অ্যালকোহলমুক্ত একটি সংস্করণ বের করেন , যা বর্তমানে কোকা-কোলা নামে পরিচিত । যুক্তরাষ্ট্রে এটি ১৯৪৪ সালের ২৭ মার্চ থেকে দ্য কোকা-কোলা কোম্পানির রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্ক
ব্যবসায়ী “আসা গ্রিগস ক্যান্ডেলা” এর বাজারজাতকরণ কৌশলেই বিশ শতক থেকে কোকা-কোলা বিশ্বের কোমল পানীয়র বাজারে একটি প্রভাবশালী ও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দী হিসেবে চিহ্নিত হয়।

কোকাকোলার প্রথম বিক্রিটি হয় ৮ মে, ১৮৮৬ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা শহরে।
এটি প্রথমে বিক্রি হয়েছিলো একটি পেটেন্টভুক্ত ওষুধ হিসেবে। প্রতি গ্লাস ৫ সেন্ট দামে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো – এরকম বিশ্বাসের কারণে পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই এটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বাজারজাতকরণের প্রথম বছরে কোকা-কোলা বিক্রয় হয়েছিল নয় গ্লাস। বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীতে কোমল পানীয় হিসেবে প্রতিদিন কোকা-কোলা বিক্রয় হয় প্রায় ১৬০ কোটি গ্লাস।


১৮৯০-এর দশকে কোকা-কোলার বিজ্ঞাপনে ঊনিশ শতকের পোষাকে তৎকালীন মার্কিন মডেল হিল্ডা ক্লার্ক।
বিজ্ঞাপনের শিরোনাম ৫ সেন্টে কোকা-কোলা পান করুন (Drink Coca-Cola 5¢)।
আরো কিছু বিজ্ঞাপনের ছবি
  

লাস বেগাস-এ কোকা- কোলা মিউজিয়াম আবস্থিত

উপাদানসমূহ ::
* কার্বোনেটেড ওয়াটার
* চিনি ([[সুকরোজ]] বা [[হাই-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ]] দেশ বা এলাকার ওপর ভিত্তি করে)
* [[ক্যাফেইন]]
* [[ফসফরিক এসিড]] বা ক্যারামেল (ই১৫০ডি)
* প্রাকৃতিক ফ্লেভার বা স্বাদ
এক ক্যান কোক (১২ ফ্লুইড আউন্স/৩৫৫ মিলিলিটার)-এ ৩৯ গ্রাম শর্করা (সম্পূর্ণটাই চিনি থেকে) থাকে। এছাড়া থাকে ৫০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ০ গ্রাম চর্বি, ০ গ্রাম পটাশিয়াম, এবং ১৪০ ক্যালরি

পেম্বারটন দাবি করেছিলেন যে, কোকা-কোলা অনেক রোগের প্রতিকার করে। যেমন: মরফিনআসক্তি, বদহজম বা অজীর্ণ, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, মাথাব্যথা, ধ্বজভঙ্গ প্রভৃতি।