ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ত্রাণের টাকা কেন ব্যাংকে রেখেছেন সমন্বয়করা? পুলিশ ও বিশেষজ্ঞদের ঢাকার যানজট নিরসনের উপায় খুঁজতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা শাহরিয়ার কবির গ্রেফতার তিতাস গ্যাস পরিচালনা পর্ষদ থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর নাম প্রত্যাহার ভারতের কাছে প্রায় ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন: ১০০ কোটির স্থলে খরচ হবে ১ কোটিরও কম! ‘শেখ হাসিনা আরেকটি দেশের মুখ্যমন্ত্রীও হতে চেয়েছিলেন’ ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার স্বার্থ হাসিলে ভোলায় গ্যাস পাওয়ার কথা চেপে যান বিপু অভিজ্ঞতা নেই তবু বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার তিতাস গ্যাসের পরিচালক হলেন মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী যেভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় দখলে নিলো ‘চৌধুরী পরিবার’ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়াদের তালিকা হচ্ছে: ফারুক-ই-আজম অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ‘ট্রমা’ কাটবে কী করে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনেক কিছুরই অদৃশ্য নীতিনির্ধারক ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয় বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের ড. ইউনূসের কূটনীতিতে বিস্মিত ভারত কেমন ছিল বাফুফেতে কাজী সালাহউদ্দিনের ১৬ বছর? অর্থ লোপাটে বাপ-বেটার মহারেকর্ড

ক্যান্সার চিকিৎসার হাল চিত্র

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২
  • / ৫০০৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত পটুয়াখালীর বাসিন্দা রোজিনা আক্তার (৩০)। কেমোথেরাপির কারণে মাথায় চুল নেই। বিষণ্ণ চেহারা। রোজিনার সাতটি কেমো দেয়া শেষ হয়েছে। আরও কয়েকটি কেমোথেরাপি দেওয়ার পর তার সার্জারি করা হবে। তারপর দেয়া হবে রেডিওথেরাপি।

রোজিনা থাকছেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এনআইসিআরএইচ) পাশে একটি খালি জায়গায় ময়লার স্তূপে। এখানে পাটি বিছিয়ে ও মশারি টানিয়ে বসবাস করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোজিনার মতো আরও দরিদ্র ক্যান্সার রোগীরা।

বসবাসের অযোগ্য এই জায়গাটিকে একটু বসবাসযোগ্য করার জন্য একটি পাটি ও মশারি টানিয়ে বসবাস করেন রোজিনা। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে রোজিনা বলেন, ‘একেকটা কেমোথেরাপিতে ১২-১৪ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়। মানুষের কাছে হাত পেতে সেই সাহায্য এনে চিকিৎসা চলছে। রিকশাচালক ভাই মাঝে মাঝে চিকিৎসার খরচ দেয়। বাড়ি যাওয়া-আসায় খরচ হয় ২ হাজার টাকা। সে টাকা নাই, তাই এখানেই থাকি।’

এভাবেই বছরের পর বছর ধরে লড়ছেন ঢাকার জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দরিদ্র রোগীরা। তবু এই মানুষগুলোর কোনো দুঃখ নেই, অভিযোগ নেই; বরং হাসপাতালের কাছাকাছি থাকার একটা জায়গা পেয়ে তারা বেশ খুশিই।

দিনের বেলায় তারা চিকিৎসার অর্থ জোগাড়ের জন্য ভিক্ষা করতে বের হন, আর রাতে এসে ঘুমান মশারি টানিয়ে, পাটি বিছিয়ে।

৭ বা ২১ দিনের বিরতিতে তাদের কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। কিন্তু ৭ বা ২১ দিন পরপরই গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার দুই-তিন হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া তাদের নেই। আবার ঢাকা শহরে বাড়ি ভাড়া করে থাকার সামর্থ্যও তাদের নেই।

৬ মাস ধরে ওই খোলা জায়গায় বসবাস করছেন রোজিনা। বাড়ি যাওয়া-আসার খরচ জোগাড় করতে পারেন না বলে এখানেই থাকেন। তাতে অন্তত হঠাৎ শরীর খারাপ হলে ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসা নিতে পারেন বলে জানালেন।

ক্যান্সারের কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেয়ার সময় রোজিনা আক্তারের মতো ক্যান্সার রোগীরা ক্যান্সার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। তারপর তাদের জায়গা হয় এই ময়লার স্তূপের পাশে। এই রোগীদের তাই ক্যান্সারের পাশাপাশি রোদ, বৃষ্টি, মশার সঙ্গেও লড়তে হচ্ছে।

‘নোংরা জায়গা হোক, তা-ও আমরা ভালো আছি। চিকিৎসা তো করতে পারছি। যেহেতু আমাদের পয়সা নেই, উপায় নাই। আমরা গরিব মানুষ; টাকা নাই, পয়সা নাই, বাসা ভাড়া করত

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ক্যান্সার চিকিৎসার হাল চিত্র

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জুলাই ২০২২

ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত পটুয়াখালীর বাসিন্দা রোজিনা আক্তার (৩০)। কেমোথেরাপির কারণে মাথায় চুল নেই। বিষণ্ণ চেহারা। রোজিনার সাতটি কেমো দেয়া শেষ হয়েছে। আরও কয়েকটি কেমোথেরাপি দেওয়ার পর তার সার্জারি করা হবে। তারপর দেয়া হবে রেডিওথেরাপি।

রোজিনা থাকছেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এনআইসিআরএইচ) পাশে একটি খালি জায়গায় ময়লার স্তূপে। এখানে পাটি বিছিয়ে ও মশারি টানিয়ে বসবাস করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোজিনার মতো আরও দরিদ্র ক্যান্সার রোগীরা।

বসবাসের অযোগ্য এই জায়গাটিকে একটু বসবাসযোগ্য করার জন্য একটি পাটি ও মশারি টানিয়ে বসবাস করেন রোজিনা। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে রোজিনা বলেন, ‘একেকটা কেমোথেরাপিতে ১২-১৪ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়। মানুষের কাছে হাত পেতে সেই সাহায্য এনে চিকিৎসা চলছে। রিকশাচালক ভাই মাঝে মাঝে চিকিৎসার খরচ দেয়। বাড়ি যাওয়া-আসায় খরচ হয় ২ হাজার টাকা। সে টাকা নাই, তাই এখানেই থাকি।’

এভাবেই বছরের পর বছর ধরে লড়ছেন ঢাকার জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দরিদ্র রোগীরা। তবু এই মানুষগুলোর কোনো দুঃখ নেই, অভিযোগ নেই; বরং হাসপাতালের কাছাকাছি থাকার একটা জায়গা পেয়ে তারা বেশ খুশিই।

দিনের বেলায় তারা চিকিৎসার অর্থ জোগাড়ের জন্য ভিক্ষা করতে বের হন, আর রাতে এসে ঘুমান মশারি টানিয়ে, পাটি বিছিয়ে।

৭ বা ২১ দিনের বিরতিতে তাদের কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। কিন্তু ৭ বা ২১ দিন পরপরই গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার দুই-তিন হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া তাদের নেই। আবার ঢাকা শহরে বাড়ি ভাড়া করে থাকার সামর্থ্যও তাদের নেই।

৬ মাস ধরে ওই খোলা জায়গায় বসবাস করছেন রোজিনা। বাড়ি যাওয়া-আসার খরচ জোগাড় করতে পারেন না বলে এখানেই থাকেন। তাতে অন্তত হঠাৎ শরীর খারাপ হলে ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসা নিতে পারেন বলে জানালেন।

ক্যান্সারের কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেয়ার সময় রোজিনা আক্তারের মতো ক্যান্সার রোগীরা ক্যান্সার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। তারপর তাদের জায়গা হয় এই ময়লার স্তূপের পাশে। এই রোগীদের তাই ক্যান্সারের পাশাপাশি রোদ, বৃষ্টি, মশার সঙ্গেও লড়তে হচ্ছে।

‘নোংরা জায়গা হোক, তা-ও আমরা ভালো আছি। চিকিৎসা তো করতে পারছি। যেহেতু আমাদের পয়সা নেই, উপায় নাই। আমরা গরিব মানুষ; টাকা নাই, পয়সা নাই, বাসা ভাড়া করত