ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বিরুদ্ধে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৪:২৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
- / 58
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার প্রেস সচিব হিসেবে পরিচিত মাহফুজুল আলমের বিরুদ্ধে। সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী ক্রীড়া উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গত ৩০ ডিসেম্বর বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসিডেন্ট বক্সে বিপিএল আয়োজন নিয়ে নানা অসংগতি নিয়ে বিসিবি প্রধানকে কথা শুনিয়েছেন। যদিও মাহফুজুল আলম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি সান এই খবর প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, বিপিএলের শুরুর দিনের কিছু বিশৃঙ্খলা এবং অব্যবস্থাপনা নিয়ে সেদিন প্রেসিডেন্ট বক্সে ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মাহফুজ এবং তাঁর সঙ্গে থাকা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।
তাঁরা টিকিট নিয়ে বিশৃঙ্খলা, গ্যালারিতে আবু সাঈদ কর্নার ও দর্শকদের বিনা মূল্য পানি পানের জন্য মুগ্ধ কর্নারের প্রস্তুতিতে দেরি এবং জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে আহত ১০০ জনের সৌজন্য টিকিট পেতে দেরি হওয়া নিয়ে বোর্ড সভাপতির কাছে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আরেকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কথোপকথনের একপর্যায়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রেস সচিব মাহফুজ উত্তেজিত হয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, সাবেক প্রধান নির্বাচক ও বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। ফারুককে তিনি এমনও বলেন, ‘আপনি কীভাবে বিসিবি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তা আমাদের জানা আছে।’
‘ভালো কাজ করলে তো মানুষ বেশি পেছনে লাগে’‘ভালো কাজ করলে তো মানুষ বেশি পেছনে লাগে’
কথা–কাটাকাটি বেশি দূর গড়ানোর আগেই উপস্থিত অন্যরা তাঁদের শান্ত করেন। এ সময় সেখানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও ছিলেন বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ–বাংলা ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা, ছিলেন বিসিবির লোকজনও।
এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে মাহফুজ দাবি করেছেন, তিনি বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কোনো অশোভন আচরণ করেননি। ডেইলি সানের প্রতিবেদনে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন, ‘খুব সহজভাবে বলি, যেমন শোনা যাচ্ছে, এমন কিছু হয়নি। তেমন কিছুই হয়নি।’
বিসিবির অদক্ষতা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি, ‘তিনটি স্টেডিয়ামের পুনর্গঠনে ৩১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, অতীতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এত অর্থ কখনো দেওয়া হয়নি। এবার কেন তা হলো? কারণ আমরা চেয়েছি সবকিছু ভালোভাবে হোক, এবং ভালো ভাবমূর্তি গড়ে উঠুক।’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রেস সচিব ডেইলি সানকে আরও বলেছেন, ‘যেমন আশা করা হয়েছিল পুনর্গঠন সেভাবে আগায়নি। টিকেটিং ব্যবস্থা আরও ভাল হতে পারত। মানুষের মধ্যে কত আগ্রহ ছিল, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগেও মানুষ জানত না কীভাবে টিকেট কাটবে, এ কারণেই গেট ভাঙা হয়েছে।’
এ নিয়ে আলোচনা হলেও তিনি নাকি কোনো দুর্ব্যবহার করেননি, ‘জিনিসগুলো আরও ভালো হতে পারত। এ কারণেই মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যারা এসেছি তারা বিসিবিকে এসব বলেছি। বিসিবিও সবকিছু আরও ভালো করার নিশ্চয়তা দিয়েছে। এটুকুই। আমি জানি না, এই ব্যাপারটাকে এত বাড়াবাড়ি পর্যায়ে কে নিয়েছে।’