ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডি ৩২: প্রতিশোধের ক্রোধে উন্মাদ প্রায় শেখ হাসিনা বেনজীরকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারিতে নির্দেশনা শেখ হাসিনার সরকার হটাতে মার্কিন নীলনকশার গোপন নথি ফাঁস শেখ হাসিনার সঙ্গে কী পরিকল্পনা করছিলেন শাওন ? এবার আটক অভিনেত্রী সোহানা সাবা অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক শেখ হাসিনার ফাঁদে পড়ে আরও ক্ষয়ে যাচ্ছে আ. লীগ হাসিনা-রেহানাকে শেয়ারবাজারের ৩ লাখ কোটি টাকা দেন শিবলী রুবাইয়াত হাসিনার ভাষণের মুখোমুখি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন! শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কী বলছে আওয়ামী লীগ? হাসিনা-রেহানাদের ৪ বাগানবাড়ি, আছে ডুপ্লেক্স ভবন, শানবাঁধানো ঘাট, পুকুর বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ তিতুমীর আন্দোলনের পেছনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ শেখ হাসিনাকে রেখেই ফিরছে আওয়ামী লীগ? শেখ হাসিনাকন্যা পুতুলের আড়াই মিনিটের নাচের ভিডিও ভাইরাল হাসিনার সাথে ভারতে গোপন বৈঠক করলেন ওবায়দুল কাদের লাল গালিচায় খালে নেমে খননের উদ্বোধন তিন উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা হতে রাজি হওয়ার আগে–পরে কী ঘটেছিল, জানালেন ইউনূস

‘গণভবনে কে বসবে, সেই সিদ্ধান্ত আর দিল্লি থেকে আসবে না’

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৪:০২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 47
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

গণভবনে কে বসবে, সেই সিদ্ধান্ত আর দিল্লি থেকে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রশ্নে আমরা আপসহীন। এদেশে ভারতের দাদাগিরি আর চলবে না। গণভবনে কে বসবে সেই সিদ্ধান্ত আর দিল্লি থেকে আসবে না। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সব ধরনের ম্যাকানিজম চলছে। মনে রাখতে হবে গর্দান এবং তলোয়ার দুটি এক সঙ্গে থাকতে পারে না। এ বাংলাদেশে খুনি আওয়ামী লীগ ও আমরা বিপ্লবী কখনো এক জায়গায় থাকতে পারবো না। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে হয় আওয়ামী লীগ থাকবে, না হয় বিপ্লবীরা থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগের হাতে ২ হাজারের অধিক মানুষের রক্ত লেগে আছে, তাদের নিয়ে যারা নির্বাচনে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তারা ভুল ভাবছেন। আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়নি, শহীদ হওয়ার যাত্রা অব্যাহত থাকবে। সাঈদ মুগ্ধসহ আমাদের অনেক ভাই শীহদ হয়েছে। পরবর্তী শহীদদের খাতায় হয়ত আমার কিংবা আপনার নামও থাকতে পারে।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চেয়ে ছিলাম চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে প্রত্যেক খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি চাঁদাবাজের পরির্তন হয়েছে। দখলবাজের পরিবর্তন হয়েছে। তেল-চালের দাম আকাশ ছোঁয়া। নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী, তাহলে আমরা এ বিপ্লব থেকে কি পেলাম। আমাদের দেশে যারা প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবীদ রয়েছেন, তারা এখন ক্ষমতা দখলের মহড়া ও প্রতিযোগিতা করছে।’

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, সহ-মুখপাত্র আরেফিন মুহাম্মাদ হিজবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী ও নারায়ণগঞ্জ এবং সিদ্ধিরগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘গণভবনে কে বসবে, সেই সিদ্ধান্ত আর দিল্লি থেকে আসবে না’

আপডেট সময় : ০৪:০২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

 

গণভবনে কে বসবে, সেই সিদ্ধান্ত আর দিল্লি থেকে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রশ্নে আমরা আপসহীন। এদেশে ভারতের দাদাগিরি আর চলবে না। গণভবনে কে বসবে সেই সিদ্ধান্ত আর দিল্লি থেকে আসবে না। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সব ধরনের ম্যাকানিজম চলছে। মনে রাখতে হবে গর্দান এবং তলোয়ার দুটি এক সঙ্গে থাকতে পারে না। এ বাংলাদেশে খুনি আওয়ামী লীগ ও আমরা বিপ্লবী কখনো এক জায়গায় থাকতে পারবো না। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে হয় আওয়ামী লীগ থাকবে, না হয় বিপ্লবীরা থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগের হাতে ২ হাজারের অধিক মানুষের রক্ত লেগে আছে, তাদের নিয়ে যারা নির্বাচনে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তারা ভুল ভাবছেন। আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়নি, শহীদ হওয়ার যাত্রা অব্যাহত থাকবে। সাঈদ মুগ্ধসহ আমাদের অনেক ভাই শীহদ হয়েছে। পরবর্তী শহীদদের খাতায় হয়ত আমার কিংবা আপনার নামও থাকতে পারে।’

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চেয়ে ছিলাম চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে প্রত্যেক খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি চাঁদাবাজের পরির্তন হয়েছে। দখলবাজের পরিবর্তন হয়েছে। তেল-চালের দাম আকাশ ছোঁয়া। নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী, তাহলে আমরা এ বিপ্লব থেকে কি পেলাম। আমাদের দেশে যারা প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবীদ রয়েছেন, তারা এখন ক্ষমতা দখলের মহড়া ও প্রতিযোগিতা করছে।’

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, সহ-মুখপাত্র আরেফিন মুহাম্মাদ হিজবুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী ও নারায়ণগঞ্জ এবং সিদ্ধিরগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।