কাজের পরিসংখ্যান তুলে ধরুন
চাকরির বাজারে জরিপ করার পর নিজের সম্পর্কে নিজেই একটা ধারণা পাবেন। বর্তমান কাজ অনুযায়ী আপনার বেতন কত হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। সারা বছরে কাজের মাধ্যমে আপনি কী কী অর্জন করেছেন, তার তালিকা করুন। আপনার নতুন প্রশিক্ষণ ও নতুন অর্জন করা দক্ষতাও তালিকায় তুলতে ভুলবেন না। কাজের তালিকা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতাগুলো বসকে দেখান। আগের বছরের চেয়ে ভালো হলে আপনাকে বেতন বাড়ানোর কথা বলতে হবে না। বস নিজে থেকেই বেতন বাড়িয়ে দিতে চাইবেন।
সামনাসামনি কথা বলুন
মুঠোফোনে বা ই-মেইলের মাধ্যমে বললে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই বসের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে কথা বলুন। ক্যারিয়ারবিষয়ক কোচ অক্টাভিয়া গোরেডেমা পরামর্শ দিয়েছেন, বসকে বেতন বাড়ানোর সময় কী কী বলবেন, সেগুলো বাসায় আয়নার সামনে কয়েকবার অনুশীলন করে নিতে। কারণ, আপনি বসের সঙ্গে কীভাবে কথা বলবেন তার ওপর বেতন বাড়ানো অনেকাংশে নির্ভর করে।
সময় নির্দিষ্ট করুন
বসের সঙ্গে কথা বলার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বের করুন। আগে থেকেই জেনে নিন বস কোন সময়ে ফ্রি থাকেন। ঠিক সে সময়টা বেছে নিন। কথা বলার সময় আত্মবিশ্বাসী থাকুন। বিশ্বাস রাখুন, যে বেতন চাচ্ছেন, সেটার যোগ্য আপনি। ভয় পাবেন না। আপনার যুক্তি যত বিশ্বাসযোগ্য হবে, বেতন বাড়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে।
পেশাদারত্ব বজায় রাখুন
বেতন বাড়ার খুদে বার্তা পাওয়ার পর নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন না, বরং নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করুন। বেতন বাড়ানোর সময় আপনি বসকে যে অঙ্গীকার করেছেন, সে অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করুন। বেতন বাড়ার হার যতই হোক না কেন, সেটাকেই সফলতা হিসেবে মেনে নিন। তাহলে সফল হতে পারবেন এবং ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে পারবেন। যদি অসন্তুষ্ট হয়ে সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করতে যান, তাহলে প্রতিষ্ঠান মনে করবে আপনার মধ্যে পেশাদারত্ব নেই। কিছুটা সময় নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও সিভি লাইব্রেরি ডট কম।