ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বেনজীরকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারিতে নির্দেশনা শেখ হাসিনার সরকার হটাতে মার্কিন নীলনকশার গোপন নথি ফাঁস শেখ হাসিনার সঙ্গে কী পরিকল্পনা করছিলেন শাওন ? এবার আটক অভিনেত্রী সোহানা সাবা অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক শেখ হাসিনার ফাঁদে পড়ে আরও ক্ষয়ে যাচ্ছে আ. লীগ হাসিনা-রেহানাকে শেয়ারবাজারের ৩ লাখ কোটি টাকা দেন শিবলী রুবাইয়াত হাসিনার ভাষণের মুখোমুখি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন! শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কী বলছে আওয়ামী লীগ? হাসিনা-রেহানাদের ৪ বাগানবাড়ি, আছে ডুপ্লেক্স ভবন, শানবাঁধানো ঘাট, পুকুর বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ তিতুমীর আন্দোলনের পেছনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ শেখ হাসিনাকে রেখেই ফিরছে আওয়ামী লীগ? শেখ হাসিনাকন্যা পুতুলের আড়াই মিনিটের নাচের ভিডিও ভাইরাল হাসিনার সাথে ভারতে গোপন বৈঠক করলেন ওবায়দুল কাদের লাল গালিচায় খালে নেমে খননের উদ্বোধন তিন উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা হতে রাজি হওয়ার আগে–পরে কী ঘটেছিল, জানালেন ইউনূস ক্রিকেটার বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগে বিভক্তি, চ্যালেঞ্জের মুখে হাসিনা হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই কে ফোন করে ইউনূসের কাছে!

‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৬:০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 50
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, তুরস্কে জমজমের নামে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ পানিই স্থানীয় ট্যাপের পানি।

পবিত্র জমজম পানি বিশ্বের মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান ও সম্মানের একটি অংশ। কিন্তু এই ধর্মীয় বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে তুরস্কে এক ব্যক্তি ট্যাপের পানি জমজমের পানি বলে বিক্রি করে প্রতারণা করেছেন। এই ভুয়া পানি বিক্রি করে তিনি আয় করেছেন প্রায় ৯ কোটি লিরা (প্রায় ৩০ কোটি টাকা)।

কীভাবে প্রতারণা হয়েছে?

 

তুরস্কে বিলাল নামে এক ব্যক্তি ট্যাপের পানিকে জমজমের পানি বলে বোতলে ভরে বিক্রি করছিলেন। বোতলের গায়ে জমজমের পানির লেবেল লাগিয়ে এটি আসল জমজম পানি হিসেবে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল। গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিদিন অন্তত ২০ টন পানি বিক্রি করছিলেন তিনি।

তদন্ত ও গ্রেপ্তার

গত পাঁচ মাস ধরে এই প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিলাল। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তুরস্কে জমজমের পানি হিসেবে যেসব পানি বিক্রি হয়, তার বেশিরভাগই আসলে স্থানীয় ট্যাপের পানি। এসব পানি আদানা শহরের একটি ওয়্যারহাউসে মজুত রাখা হতো।

বিলালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভুয়া ১৫ হাজার লিটার জমজমের পানি উদ্ধার করে। এই বোতলগুলো বিভিন্ন আকারে বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতারণার প্রমাণ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া জমজম পানির বোতলের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের বোতলে এই ভুয়া পানি বিক্রি করা হচ্ছিল। এগুলো সাধারণ তুর্কি বাজারে সহজেই পাওয়া যাচ্ছিল।

সতর্কতা

এই ধরনের প্রতারণা শুধু অর্থ আয়ের উদ্দেশ্যেই নয়, বরং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে খেলা করার শামিল। তাই জমজমের পানি কিনতে হলে সবার সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সৌদি আরব থেকে সরাসরি সংগৃহীত পানি ছাড়া অন্য কোথাও থেকে জমজমের পানি কেনার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত।

এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা!

আপডেট সময় : ০৬:০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, তুরস্কে জমজমের নামে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ পানিই স্থানীয় ট্যাপের পানি।

পবিত্র জমজম পানি বিশ্বের মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান ও সম্মানের একটি অংশ। কিন্তু এই ধর্মীয় বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে তুরস্কে এক ব্যক্তি ট্যাপের পানি জমজমের পানি বলে বিক্রি করে প্রতারণা করেছেন। এই ভুয়া পানি বিক্রি করে তিনি আয় করেছেন প্রায় ৯ কোটি লিরা (প্রায় ৩০ কোটি টাকা)।

কীভাবে প্রতারণা হয়েছে?

 

তুরস্কে বিলাল নামে এক ব্যক্তি ট্যাপের পানিকে জমজমের পানি বলে বোতলে ভরে বিক্রি করছিলেন। বোতলের গায়ে জমজমের পানির লেবেল লাগিয়ে এটি আসল জমজম পানি হিসেবে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল। গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিদিন অন্তত ২০ টন পানি বিক্রি করছিলেন তিনি।

তদন্ত ও গ্রেপ্তার

গত পাঁচ মাস ধরে এই প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিলাল। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তুরস্কে জমজমের পানি হিসেবে যেসব পানি বিক্রি হয়, তার বেশিরভাগই আসলে স্থানীয় ট্যাপের পানি। এসব পানি আদানা শহরের একটি ওয়্যারহাউসে মজুত রাখা হতো।

বিলালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভুয়া ১৫ হাজার লিটার জমজমের পানি উদ্ধার করে। এই বোতলগুলো বিভিন্ন আকারে বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতারণার প্রমাণ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া জমজম পানির বোতলের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের বোতলে এই ভুয়া পানি বিক্রি করা হচ্ছিল। এগুলো সাধারণ তুর্কি বাজারে সহজেই পাওয়া যাচ্ছিল।

সতর্কতা

এই ধরনের প্রতারণা শুধু অর্থ আয়ের উদ্দেশ্যেই নয়, বরং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে খেলা করার শামিল। তাই জমজমের পানি কিনতে হলে সবার সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সৌদি আরব থেকে সরাসরি সংগৃহীত পানি ছাড়া অন্য কোথাও থেকে জমজমের পানি কেনার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত।

এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।