ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা আনিসুল হকের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিল্লিতে গৃহবন্দী শেখ হাসিনা? গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ মোদি-হাসিনা মাইনাস: ট্রাম্পের আস্থায় এখন ড. ইউনূস! মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ নিয়ে ভাইরাল ভিডিওর আসল ঘটনা আমি ফিরব, আমাদের শহিদদের প্রতিশোধ নেব’: শেখ হাসিনা অপরাধী হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপে ভারত ইন্টারপোলের জালে বেনজীর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জোরদার হচ্ছে ভারতে! এটুআই ছিল মিলেমিশে লুটপাটের প্রকল্প আওয়ামী লুটপাটে পঙ্গু ইডিসিএল বিদেশেও বিচার সম্ভব শেখ হাসিনার ‘দুঃখিত, আপা! এটাই শেষ!!’ : হাসিনার উদ্দেশ্য প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ ভোটের পর পুলিশে পদকের মচ্ছব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে ঐকমত্য কমিশন প্রফেসর ইউনূস ও তার দাবার চাল। পদত্যাগ করছেন উপদেষ্টা নাহিদ, আসছে নতুন দল

জুতার কারখানার কর্মচারী থেকে ফরচুন বরিশালের স্বপ্নদ্রষ্টা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 15
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জীবনটা ফুলের তৈরি কোন বিছানা নয়, এটার স্বাক্ষী হয়েছেন ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমানও। চলমান বিপিএলে সবচেয়ে সফল দল বরিশালের মালিকের জীবন কাহিনী যেন সিনেমাকেও হার মানায়। যে কাহিনী শুনলে সে কাউকে অবাক হতে হয়।

ছোটবেলায় বেড়ে উঠেছেন বরিশালের প্রত্যন্ত উপজেলা নদীর কোলঘেষা বাবুগঞ্জে। বাবা ছোট একটি চাকরি করতেন। পাঁচ সন্তান নিয়ে টানাপোড়েনের সংসার। ভাইদের মধ্যে সবার বড় মিজানুর রহমান।

গ্রামের স্থানীয় স্কুলে যখন পড়াশোনা করতেন তখন ছিল না বিদ্যুৎ। কুপি বা হারিকেন জ্বালিয়ে তাকে পড়াশোনা করতে হয়েছে। জীবনের প্রতিটা পদে লড়াই করা মিজানুর রহমানের জীবনের শুরুতে করতেন টিউশন। এরপর নাম লেখান জুতার ফ্যাক্টরিতে।

এইচএসসি পড়তেন এক নানার বাসায় থেকে। তার ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। সেটা ছিল চট্টগ্রামের আনোয়ারাতে। কলেজে ক্লাস ছিল নয়টা থেকে। আনোয়ারা থেকে ফেরি পার হয়ে কলেজে যেতেন। সকাল ছয়টায় বাসা থেকে বের হতেন। পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে পড়াতেন। অনেক সময় দুপুরে খাওয়ার মতো টাকা থাকতো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় নাম লেখান জুতার ফ্যাক্টরিতে। এরপর কাজ শিখে নিজেই শুরু করেন আমদানি ব্যবসা। তিনি হাঁটেন ভিন্নপথে। গতানুগতিক চায়না প্রোডাক্টের দিকে না গিয়ে ইউরোপ থেকে কাঁচামাল আমদানি করেন মিজানুর। এরপর বাকিটা তার নেতৃত্বগুণের ফসল।

দেশের জুতার ব্যবসায়ে বিপ্লব সৃষ্টি করে ফরচুন গ্রুপ। একে একে চারটি কোম্পানি তাদের এখন। সেই সঙ্গে খেলাধুলায়ও বরিশালের প্রতিনিধি হয়ে দেশজুড়ে নাম কুড়োচ্ছেন অত্যন্ত ভদ্র ও অমায়িক মিজানুর রহমান।

বিপিএলে যখন দলগুলোর মালিকরা খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে টালবাহানা করছেন, খবরের শিরোনাম হচ্ছেন, মিজানুর রহমান তখন ভাসছেন প্রশংসায়। কারণ, তার দলের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক সঠিক সময়ে দেওয়াসহ আসরের নিয়মকানুন মেনেই দল সামলাচ্ছেন। বরিশালকে উপস্থাপন করেছেন ব্র্যান্ড হিসেবে।

মিজানুর রহমান দেখালেন, পরিশ্রম ও সততা থাকলে জীবনে জুতার ফ্যাক্টরীর কর্মচারী থেকে জুতার কোম্পানির চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসা যায়। জয় করা যায় মানুষের মন। জায়গা করে নেওয়া যায় প্রশংসার খাতায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জুতার কারখানার কর্মচারী থেকে ফরচুন বরিশালের স্বপ্নদ্রষ্টা

আপডেট সময় : ০৭:১৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জীবনটা ফুলের তৈরি কোন বিছানা নয়, এটার স্বাক্ষী হয়েছেন ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমানও। চলমান বিপিএলে সবচেয়ে সফল দল বরিশালের মালিকের জীবন কাহিনী যেন সিনেমাকেও হার মানায়। যে কাহিনী শুনলে সে কাউকে অবাক হতে হয়।

ছোটবেলায় বেড়ে উঠেছেন বরিশালের প্রত্যন্ত উপজেলা নদীর কোলঘেষা বাবুগঞ্জে। বাবা ছোট একটি চাকরি করতেন। পাঁচ সন্তান নিয়ে টানাপোড়েনের সংসার। ভাইদের মধ্যে সবার বড় মিজানুর রহমান।

গ্রামের স্থানীয় স্কুলে যখন পড়াশোনা করতেন তখন ছিল না বিদ্যুৎ। কুপি বা হারিকেন জ্বালিয়ে তাকে পড়াশোনা করতে হয়েছে। জীবনের প্রতিটা পদে লড়াই করা মিজানুর রহমানের জীবনের শুরুতে করতেন টিউশন। এরপর নাম লেখান জুতার ফ্যাক্টরিতে।

এইচএসসি পড়তেন এক নানার বাসায় থেকে। তার ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। সেটা ছিল চট্টগ্রামের আনোয়ারাতে। কলেজে ক্লাস ছিল নয়টা থেকে। আনোয়ারা থেকে ফেরি পার হয়ে কলেজে যেতেন। সকাল ছয়টায় বাসা থেকে বের হতেন। পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে পড়াতেন। অনেক সময় দুপুরে খাওয়ার মতো টাকা থাকতো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় নাম লেখান জুতার ফ্যাক্টরিতে। এরপর কাজ শিখে নিজেই শুরু করেন আমদানি ব্যবসা। তিনি হাঁটেন ভিন্নপথে। গতানুগতিক চায়না প্রোডাক্টের দিকে না গিয়ে ইউরোপ থেকে কাঁচামাল আমদানি করেন মিজানুর। এরপর বাকিটা তার নেতৃত্বগুণের ফসল।

দেশের জুতার ব্যবসায়ে বিপ্লব সৃষ্টি করে ফরচুন গ্রুপ। একে একে চারটি কোম্পানি তাদের এখন। সেই সঙ্গে খেলাধুলায়ও বরিশালের প্রতিনিধি হয়ে দেশজুড়ে নাম কুড়োচ্ছেন অত্যন্ত ভদ্র ও অমায়িক মিজানুর রহমান।

বিপিএলে যখন দলগুলোর মালিকরা খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে টালবাহানা করছেন, খবরের শিরোনাম হচ্ছেন, মিজানুর রহমান তখন ভাসছেন প্রশংসায়। কারণ, তার দলের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক সঠিক সময়ে দেওয়াসহ আসরের নিয়মকানুন মেনেই দল সামলাচ্ছেন। বরিশালকে উপস্থাপন করেছেন ব্র্যান্ড হিসেবে।

মিজানুর রহমান দেখালেন, পরিশ্রম ও সততা থাকলে জীবনে জুতার ফ্যাক্টরীর কর্মচারী থেকে জুতার কোম্পানির চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসা যায়। জয় করা যায় মানুষের মন। জায়গা করে নেওয়া যায় প্রশংসার খাতায়।