ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠন আমি স্যামসাং ব্যবহার করি, স্ক্রিনশট গেছে আইফোনের : জনপ্রশাসন সচিব উন্নয়নের ভ্রান্ত ধারণা: ঋণে ডুবে থাকা দেশ টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম আমার টাকা-পয়সার প্রতি লোভ নেই, ৫ কোটি হলেই চলবে এক দিনেই হাওয়া ৮ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন অবশেষে দেখা মিলল আসাদুজ্জামান কামালের ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ কারাগারে কেমন আছেন ‘ভিআইপি’ বন্দীরা একটি ফোনকল যেভাবে বদলে দিয়েছে ড. ইউনূসের জীবনের গতিপথ ড. ইউনুসের Three Zeros থিয়োরি বর্তমান উপদেষ্টাদের সঙ্গে নতুন চার-পাঁচজন মুখ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকটি জাতীয় দিবস বাতিল করতে পারে সরকার সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ গায়েব: উপদেষ্টা “প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস: বাংলার গর্ব, বৈশ্বিক সম্প্রীতির প্রতীক” খেলোয়াড় সাকিবের নিরাপত্তা আছে, ফ্যাসিস্ট সাকিবের ক্ষেত্রে অবান্তর: ক্রীড়া উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সম্মেলন থেকে কী অর্জন করলেন? জাতিসংঘে তিন-শুন্যের ধারণা দিলেন ড. ইউনুস যন্ত্রণার নাম ব্যাটারি রিকশা তরুণ সমাজের অফুরান শক্তি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে— ড. ইউনূস

‘টুথপেস্ট-ডিমের সাদা অংশ ব্যবহারে পোড়া রোগীর জটিলতা বাড়ে’

সালাহউদ্দিন কাদের
  • আপডেট সময় : ১১:১২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২ ১৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
শীতকাল এলেই বিভিন্ন দিক থেকে নানা বয়সের মানুষের আগুনে দগ্ধ হওয়ার খবর আসে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পোড়া রোগীদের সংখ্যাও। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত এসব রোগী বেশি দেখা যায়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীতের মৌসুমে প্রায় চারগুণেরও বেশি মানুষ দগ্ধ হয়। প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসেন। বিশেষ করে শিশুরা এ সময় বেশি দগ্ধ হয়ে থাকে।

এ প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউটটির সহকারী পরিচালক ডা. হোসাইন ইমাম মেডিভয়েসকে জানান, শীতকালে পোড়া রোগীর পরিমাণ হাসপাতালে অনেক বেড়ে যায়। তিনটি কারণে এ মৌসুমে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। সেগুলো হলো:

১. স্ক্যাল্ড বার্ন, শরীরে গরম তরল জাতীয় পদার্থ পুড়ে যে বার্ন হয়, সেগুলোকে স্ক্যাল্ড বার্ন বা তরলে পোড়া বলা হয়। বিশেষ করে এ ধরনের বার্ন মহিলা এবং শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এ ধরনের পোড়ার বেশিরভাগই রান্নাঘর বা বাথরুমে ঘটে। এ মৌসুমে এ ধরনের রোগীর সংখ্যাধিক্যের কারণ গরম পানি দিয়ে গোসল করার প্রবণতা। আর অসতর্কাবস্থায় অনেক সময় গরম পানি শরীরে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

২. ফ্লেইম বার্ন, আগুনে পোড়ার মাধ্যমে যেসব বার্ন হয়, সেগুলোকে ফ্লেইম বার্ন বলা হয়। সাধারণত শীতকাল আসলে বিশেষ করে গ্রামে কোন কিছু পুড়িয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়। এ সময় অসাবধানতায় কাপড়ে বা শরীরে আগুন লেগে বিপর্যয় নেমে আসে।

৩. শীতকালে আরেকটি ভয়াবহ বার্ন হয়। অনেক সময় নতুন মায়েদের বাচ্চা হওয়ার পর ঘাঁ শুকানোর জন্য আগুনের তাপ নেওয়ার সময় কাপড়ে আগুন লেগে শরীরে নিম্নাংশ পুড়ে যায়। এ সময় তলপেট, উরুসহ নিম্নাংশগুলো আগুনে মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি করে।

প্রাথমিক চিকিৎসা 

জানতে চাইলে ডা. হোসাইন ইমাম বলেন, আগুনে পোড়া রোগীর প্রাথমিক এবং জরুরি চিকিৎসা হচ্ছে পানি, পানি এবং পানি। এ সময় রোগীর শরীরে যত সম্ভব বেশি বেশি পানি ঢালতে হবে। তবে বরফ ও বরফ শীতল পানি ব্যবহার করা যাবে না। এতে ক্ষতের গভীরতা আরো বেড়ে যায়। তাই বহমান ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পোড়া জায়গা অন্তত ৩০ মিনিট ধরে ধুতে হবে। শুধু পানি ঢাললেই পোড়ার পরিমাণ কমিয়ে আনা যেতে পারে। পোড়া জায়গা অধিক হারে পানি দেওয়ার মাধ্যমে পোড়ার মাত্রা ২০ শতাংশ থেকে নামিয়ে ১৫ বা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।

বার্ন ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক বলেন, গভীরতা অনুযায়ী আগুনে পোড়া রোগীদের তিনভাগে ভাগ করা হয়।

ফার্স্ট ডিগ্রি বার্ন

এই বার্নে ত্বকের উপরিভাগের একটি স্তর (এপিডার্মিস) ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্যথা থাকতে পারে।

সেকেন্ড ডিগ্রি বার্ন

ত্বকের উপরিভাগের প্রথম স্তর (এপিডার্মিস) সম্পূর্ণভাবে এবং পরবর্তী স্তর (ডার্মিস) আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চামড়া লাল বা ধূসর হয়ে পুড়ে বা ঝলসে যায়।

থার্ড ডিগ্রি বার্ন

এসব বার্ন হলে চামড়া কালো হয়ে পুড়ে যায় এবং মারাত্মক আকার ধারণ করে। ত্বকের উপরিভাগের দুটি স্তরই (এপিডার্মিস ও ডার্মিস) সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চামড়ার নিচে থাকা মাংসপেশি, রক্তনালি ও স্নায়ু ইত্যাদিও আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত স্থান কালো হয়ে যায়, চামড়া পুড়ে শক্ত হয়ে যায়, স্পর্শ করলেও ব্যথা অনুভূত হয় না।

কেউ আগুনে দগ্ধ হলে তার পরিহিত কাপড় ও গহনা যত দ্রুত সম্ভব খুলে ফেলতে হবে। লো-ডোজ হাইড্রোকর্টিসোন ক্রিম শরীরের পোড়া অংশে প্রলেপ দিয়ে রাখুন। যদি তাৎক্ষণিক এসব না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা অ্যালোভেরা লোশন দেওয়া যেতে পারে।

হাতের কাছে এর কোনোটাই পাওয়া না গেলে শুধুমাত্র ভ্যাসলিন প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে।

ডা. হোসাইন ইমাম বলেন, ভয়াবহ আগুনে পোড়ো রোগীর প্রথম ছয় ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া গেলে রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রথমত ছয় ঘণ্টায় হাসপাতালে নেওয়া যেতে পারলে রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী তাকে ২০-৩০ লিটার পর্যন্ত স্যালাইন দেওয়া যায়। কিন্তু এর চেয়ে বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে ৩-৪ লিটারের বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে তার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

অনেক সময় দেখা যায় পোড়া রোগীর ক্ষত স্থানের উপর টুথপেস্ট, লবণ বা ডিমের সাদা অংশ দেয়া হয়, যা পোড়া রোগীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব ব্যবহারের ফলে সেকেন্ড ডিগ্রি বার্নকে থার্ড ডিগ্রিতে নিয়ে যায়!

মনে রাখা জরুরি, আগুনে পোড়ার ক্ষত যতো বেশি থাকবে ব্যথার পরিমাণ ততো কম হবে। সেজন্য পরিস্থিতি বোঝে দ্রুততম সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামান্য শৈথিল্য প্রকাশ করলেও রোগীর জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘টুথপেস্ট-ডিমের সাদা অংশ ব্যবহারে পোড়া রোগীর জটিলতা বাড়ে’

আপডেট সময় : ১১:১২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০২২
শীতকাল এলেই বিভিন্ন দিক থেকে নানা বয়সের মানুষের আগুনে দগ্ধ হওয়ার খবর আসে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পোড়া রোগীদের সংখ্যাও। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত এসব রোগী বেশি দেখা যায়।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীতের মৌসুমে প্রায় চারগুণেরও বেশি মানুষ দগ্ধ হয়। প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে আসেন। বিশেষ করে শিশুরা এ সময় বেশি দগ্ধ হয়ে থাকে।

এ প্রসঙ্গে ইনস্টিটিউটটির সহকারী পরিচালক ডা. হোসাইন ইমাম মেডিভয়েসকে জানান, শীতকালে পোড়া রোগীর পরিমাণ হাসপাতালে অনেক বেড়ে যায়। তিনটি কারণে এ মৌসুমে দগ্ধ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। সেগুলো হলো:

১. স্ক্যাল্ড বার্ন, শরীরে গরম তরল জাতীয় পদার্থ পুড়ে যে বার্ন হয়, সেগুলোকে স্ক্যাল্ড বার্ন বা তরলে পোড়া বলা হয়। বিশেষ করে এ ধরনের বার্ন মহিলা এবং শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এ ধরনের পোড়ার বেশিরভাগই রান্নাঘর বা বাথরুমে ঘটে। এ মৌসুমে এ ধরনের রোগীর সংখ্যাধিক্যের কারণ গরম পানি দিয়ে গোসল করার প্রবণতা। আর অসতর্কাবস্থায় অনেক সময় গরম পানি শরীরে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

২. ফ্লেইম বার্ন, আগুনে পোড়ার মাধ্যমে যেসব বার্ন হয়, সেগুলোকে ফ্লেইম বার্ন বলা হয়। সাধারণত শীতকাল আসলে বিশেষ করে গ্রামে কোন কিছু পুড়িয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়। এ সময় অসাবধানতায় কাপড়ে বা শরীরে আগুন লেগে বিপর্যয় নেমে আসে।

৩. শীতকালে আরেকটি ভয়াবহ বার্ন হয়। অনেক সময় নতুন মায়েদের বাচ্চা হওয়ার পর ঘাঁ শুকানোর জন্য আগুনের তাপ নেওয়ার সময় কাপড়ে আগুন লেগে শরীরে নিম্নাংশ পুড়ে যায়। এ সময় তলপেট, উরুসহ নিম্নাংশগুলো আগুনে মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি করে।

প্রাথমিক চিকিৎসা 

জানতে চাইলে ডা. হোসাইন ইমাম বলেন, আগুনে পোড়া রোগীর প্রাথমিক এবং জরুরি চিকিৎসা হচ্ছে পানি, পানি এবং পানি। এ সময় রোগীর শরীরে যত সম্ভব বেশি বেশি পানি ঢালতে হবে। তবে বরফ ও বরফ শীতল পানি ব্যবহার করা যাবে না। এতে ক্ষতের গভীরতা আরো বেড়ে যায়। তাই বহমান ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পোড়া জায়গা অন্তত ৩০ মিনিট ধরে ধুতে হবে। শুধু পানি ঢাললেই পোড়ার পরিমাণ কমিয়ে আনা যেতে পারে। পোড়া জায়গা অধিক হারে পানি দেওয়ার মাধ্যমে পোড়ার মাত্রা ২০ শতাংশ থেকে নামিয়ে ১৫ বা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।

বার্ন ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক বলেন, গভীরতা অনুযায়ী আগুনে পোড়া রোগীদের তিনভাগে ভাগ করা হয়।

ফার্স্ট ডিগ্রি বার্ন

এই বার্নে ত্বকের উপরিভাগের একটি স্তর (এপিডার্মিস) ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্যথা থাকতে পারে।

সেকেন্ড ডিগ্রি বার্ন

ত্বকের উপরিভাগের প্রথম স্তর (এপিডার্মিস) সম্পূর্ণভাবে এবং পরবর্তী স্তর (ডার্মিস) আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চামড়া লাল বা ধূসর হয়ে পুড়ে বা ঝলসে যায়।

থার্ড ডিগ্রি বার্ন

এসব বার্ন হলে চামড়া কালো হয়ে পুড়ে যায় এবং মারাত্মক আকার ধারণ করে। ত্বকের উপরিভাগের দুটি স্তরই (এপিডার্মিস ও ডার্মিস) সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চামড়ার নিচে থাকা মাংসপেশি, রক্তনালি ও স্নায়ু ইত্যাদিও আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত স্থান কালো হয়ে যায়, চামড়া পুড়ে শক্ত হয়ে যায়, স্পর্শ করলেও ব্যথা অনুভূত হয় না।

কেউ আগুনে দগ্ধ হলে তার পরিহিত কাপড় ও গহনা যত দ্রুত সম্ভব খুলে ফেলতে হবে। লো-ডোজ হাইড্রোকর্টিসোন ক্রিম শরীরের পোড়া অংশে প্রলেপ দিয়ে রাখুন। যদি তাৎক্ষণিক এসব না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা অ্যালোভেরা লোশন দেওয়া যেতে পারে।

হাতের কাছে এর কোনোটাই পাওয়া না গেলে শুধুমাত্র ভ্যাসলিন প্রলেপ দেওয়া যেতে পারে।

ডা. হোসাইন ইমাম বলেন, ভয়াবহ আগুনে পোড়ো রোগীর প্রথম ছয় ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া গেলে রোগীর মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রথমত ছয় ঘণ্টায় হাসপাতালে নেওয়া যেতে পারলে রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী তাকে ২০-৩০ লিটার পর্যন্ত স্যালাইন দেওয়া যায়। কিন্তু এর চেয়ে বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে ৩-৪ লিটারের বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে তার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

অনেক সময় দেখা যায় পোড়া রোগীর ক্ষত স্থানের উপর টুথপেস্ট, লবণ বা ডিমের সাদা অংশ দেয়া হয়, যা পোড়া রোগীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব ব্যবহারের ফলে সেকেন্ড ডিগ্রি বার্নকে থার্ড ডিগ্রিতে নিয়ে যায়!

মনে রাখা জরুরি, আগুনে পোড়ার ক্ষত যতো বেশি থাকবে ব্যথার পরিমাণ ততো কম হবে। সেজন্য পরিস্থিতি বোঝে দ্রুততম সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামান্য শৈথিল্য প্রকাশ করলেও রোগীর জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।