ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড. ইউনূসকে সভাপতি করে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন আপা আপা বলা তানভীর নিজেই আ.লীগের হাতে নির্যাতিত, আছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভল্টের টাকায় অবৈধ বাণিজ্য বিডিআর বিদ্রোহের বিচার পুনরায় করা সম্ভব? সংলাপ, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে যে প্রক্রিয়ায় এগোতে চায় সরকার এবার সরকারের কাছে ৬৩ কোটি ডলার সুদ চাইল রাশিয়া এফবিসিসিআই সভাপতির পদত‍্যাগ, প্রশাসক নিয়োগ তারল্য বাড়াতে ‘বিশেষ ধার’ আগামী সপ্তাহে ৭ হাজার কোটিতে নির্মিত তিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ গার্মেন্টসে থামছে না অস্থিরতা চাকরি গেল আরো দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেলের ওষুধের বাজারে উত্তাপ ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন সড়ক পরিবহনে আসছে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ গরুর দিয়ে পাট নিতে চায় পাকিস্তানি সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন, নেতৃত্বে যারা সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ, কমিশনের দায়িত্বে শাহদীন মালিক ছয় বিশিষ্ট নাগরিককের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার শিগগিরই মেট্রোরেলের বন্ধ থাকা স্টেশন চালু হচ্ছে বিদ্যুতের পাওনা চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন গৌতম আদানি

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র যেভাবে জনপ্রিয় থ্রিলার নির্মাতা

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫০৪৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

হতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার। তবে এক চোট তাঁর পেস বোলার হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে দেয়। এরপর কাজ করার কথা ছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এটাই তাঁর পড়ার বিষয় ছিল কিনা! কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলেন নির্মাতা। এ সময়ে টিভি বা ওটিটির অন্যতম আলোচিত নির্মাতা ভিকি জাহেদ। আজ এই তরুণ নির্মাতার জন্মদিন। এ উপলক্ষে আলো ফেলা যাক তাঁর ক্যারিয়ারে।

নির্মাতা হতে চাননি ভিকি জাহেদ। চেয়েছিলেন পেস বোলার হতে। তবে বোলারদের চিরশত্রু চোটের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তো তাঁর জীবন পুরো বদলে যায়। তা–ও এক রাতে!

সেই রাতে ‘আ ক্লকওয়ার্ক ওরেঞ্জ’ দেখতে বসেছিলেন ভিকি জাহেদ। কে জানত স্ট্যানলি কুবরিকের এই সিনেমাটি তাঁর জীবন বদলে দেবে। ২০১০ সালের দিকে ছবিটি দেখার পর অন্য এক ঘোরের মধ্যে চলে যান, ঠিক করেন এই নির্মাতা হবেন। তাঁর কাছে নির্মাণ একটা জার্নির মতো। ধীরে ধীরে শুরু হলো প্রচুর সিনেমা দেখা আর বই পড়া।

নির্মাণ নিয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, কাজ করেননি কারও সহকারী হিসেবেও; নিজে নিজেই তৈরি করে নিয়েছেন চলচ্চিত্রের ভাষা।
শুরুর দিকে প্রচুর স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানিয়েছেন। বেশির ভাগই ‘ফিল গুড’ রোমান্টিক ধারার কাজ। তবে দেশি নির্মাতাদের মধ্যে ভিকি জাহেদ ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন কোভিড–পরবর্তী সময়ে। ‘ইরিনা’, ‘জন্মদাগ’, ‘রেহনুমা’, ‘চিরকাল আজ’, ‘পুনর্জন্ম’ সিরিজ, ‘রেডরাম’, ‘দ্য সাইলেন্স’, ‘কাজলের দিনরাত্রি’, ‘আমি কি তুমি’, ‘তিথিডোর’, ‘রুমি’—একের পর এক আলোচিত কাজ উপহার দিয়েছেন তিনি।

এককথায় ভিকি জাহেদকে নিয়ে বলতে গেলে বলতে হবে ধূসর! পর্দায় চরিত্রের ধূসর দিক নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন তিনি। এ সময়ের অন্যতম থ্রিলার নির্মাতাও তিনি। কেবল থ্রিলার নয়, সায়েন্স ফিকশন থেকে শুরু করে এমন অপ্রচলিত বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন তিনি, যা দেশি কনটেন্টে খুব একটা দেখা যায় না।

ওয়েব সিরিজ ‘আমি কী তুমি’র পোস্টারছবি: ফেসবুক
দুই বাংলায় তুমুল জনপ্রিয় নাটক ‘চিরকাল আজ’-এ তিনি পর্দায় তুলে ধরেছেন অ্যামনেশিয়ায় আক্রান্ত এক চরিত্রের জার্নি। ‘আমি কি তুমি’র মূল উপজীব্য প্যারালাল ইউনিভার্স। তবে তিনি যা–ই বানান, যেখানে ডার্ক বিষয় থাকবেই। থ্রিলারের মোড়কে তাঁর গল্পে দেখা যায় ক্রমিক খুনি, নরমাংসখাদক, জটিল কোনো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি। এ ছাড়া তাঁর কাজে থাকে দুনিয়ার নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার রেফারেন্স।

এ প্রসঙ্গে আগে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিকি জাহেদ বলেছিলেন, ‘শুরুর দিকে বেশির ভাগ মানুষই এ ধরনের বিষয় নিয়ে কাজ করতে নিরুৎসাহিত করেছেন। প্রযোজক পেতেও সমস্যা হতো। তবে আমার বিশ্বাস ছিল। এখন সব দেশের সব ধরনের কনটেন্ট দর্শকের হাতের নাগালে। ওদের সঙ্গে টক্কর দিতে গেলে আমাদেরও বৈচিত্র্য আনতে হবে। যেসব গল্প কখনো বলা হয়নি, সেগুলো বলতে হবে। কারণ, দর্শক তো কনটেন্ট দেখবেন, আপনার বাজেট কম ছিল কি না, কতটা প্রতিকূলতা নিয়ে বানিয়েছেন, সেটা ভাববেন না। তাই টক্কর দিতে আমাদের একটাই অস্ত্র, গল্প।’

অল্প বাজেটে বৈচিত্র্যময় কনটেন্ট তৈরি করাও ভিকি জাহেদের আরেকটি গুণ। এ সময়ের বেশির ভাগ দর্শক বিশ্বের নানা প্রান্তের কনটেন্ট দেখে অভ্যস্ত। দেশি কনটেন্ট দিয়ে তাঁদের কাছে কীভাবে পৌঁছানো যাবে, সেটা ভালোই জানেন ভিকি। তাই তাঁর কাজ তরুণদের কাছে এতটা আলোচিত হয়। বিষয়, অভিনবত্ব, চেনা অভিনেতাকে নতুন রূপে হাজির করাও তাঁর সাফল্যের আরেকটি কারণ হতে পারে।

মেহজাবীন চৌধুরী, আফরান নিশোদের মতো অভিনেতাদেরও তিনি নতুন করে চিনিয়েছেন। ‘পুনর্জন্ম’ সিরিজে নিশো অভিনীত চরিত্র ‘রাফসান’ হক তো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

অন্যদিকে ক্যারিয়ারজুড়েই নানা বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। এর মধ্যে রোমান্টিক চরিত্রই বেশি। রোমান্টিক ভাবমূর্তি ভুলিয়ে মেহজাবীনকে ভিন্ন রূপে হাজির করেন ভিকি জাহেদ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র যেভাবে জনপ্রিয় থ্রিলার নির্মাতা

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

হতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটার। তবে এক চোট তাঁর পেস বোলার হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে দেয়। এরপর কাজ করার কথা ছিল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এটাই তাঁর পড়ার বিষয় ছিল কিনা! কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলেন নির্মাতা। এ সময়ে টিভি বা ওটিটির অন্যতম আলোচিত নির্মাতা ভিকি জাহেদ। আজ এই তরুণ নির্মাতার জন্মদিন। এ উপলক্ষে আলো ফেলা যাক তাঁর ক্যারিয়ারে।

নির্মাতা হতে চাননি ভিকি জাহেদ। চেয়েছিলেন পেস বোলার হতে। তবে বোলারদের চিরশত্রু চোটের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তো তাঁর জীবন পুরো বদলে যায়। তা–ও এক রাতে!

সেই রাতে ‘আ ক্লকওয়ার্ক ওরেঞ্জ’ দেখতে বসেছিলেন ভিকি জাহেদ। কে জানত স্ট্যানলি কুবরিকের এই সিনেমাটি তাঁর জীবন বদলে দেবে। ২০১০ সালের দিকে ছবিটি দেখার পর অন্য এক ঘোরের মধ্যে চলে যান, ঠিক করেন এই নির্মাতা হবেন। তাঁর কাছে নির্মাণ একটা জার্নির মতো। ধীরে ধীরে শুরু হলো প্রচুর সিনেমা দেখা আর বই পড়া।

নির্মাণ নিয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, কাজ করেননি কারও সহকারী হিসেবেও; নিজে নিজেই তৈরি করে নিয়েছেন চলচ্চিত্রের ভাষা।
শুরুর দিকে প্রচুর স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানিয়েছেন। বেশির ভাগই ‘ফিল গুড’ রোমান্টিক ধারার কাজ। তবে দেশি নির্মাতাদের মধ্যে ভিকি জাহেদ ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন কোভিড–পরবর্তী সময়ে। ‘ইরিনা’, ‘জন্মদাগ’, ‘রেহনুমা’, ‘চিরকাল আজ’, ‘পুনর্জন্ম’ সিরিজ, ‘রেডরাম’, ‘দ্য সাইলেন্স’, ‘কাজলের দিনরাত্রি’, ‘আমি কি তুমি’, ‘তিথিডোর’, ‘রুমি’—একের পর এক আলোচিত কাজ উপহার দিয়েছেন তিনি।

এককথায় ভিকি জাহেদকে নিয়ে বলতে গেলে বলতে হবে ধূসর! পর্দায় চরিত্রের ধূসর দিক নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন তিনি। এ সময়ের অন্যতম থ্রিলার নির্মাতাও তিনি। কেবল থ্রিলার নয়, সায়েন্স ফিকশন থেকে শুরু করে এমন অপ্রচলিত বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন তিনি, যা দেশি কনটেন্টে খুব একটা দেখা যায় না।

ওয়েব সিরিজ ‘আমি কী তুমি’র পোস্টারছবি: ফেসবুক
দুই বাংলায় তুমুল জনপ্রিয় নাটক ‘চিরকাল আজ’-এ তিনি পর্দায় তুলে ধরেছেন অ্যামনেশিয়ায় আক্রান্ত এক চরিত্রের জার্নি। ‘আমি কি তুমি’র মূল উপজীব্য প্যারালাল ইউনিভার্স। তবে তিনি যা–ই বানান, যেখানে ডার্ক বিষয় থাকবেই। থ্রিলারের মোড়কে তাঁর গল্পে দেখা যায় ক্রমিক খুনি, নরমাংসখাদক, জটিল কোনো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি। এ ছাড়া তাঁর কাজে থাকে দুনিয়ার নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার রেফারেন্স।

এ প্রসঙ্গে আগে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিকি জাহেদ বলেছিলেন, ‘শুরুর দিকে বেশির ভাগ মানুষই এ ধরনের বিষয় নিয়ে কাজ করতে নিরুৎসাহিত করেছেন। প্রযোজক পেতেও সমস্যা হতো। তবে আমার বিশ্বাস ছিল। এখন সব দেশের সব ধরনের কনটেন্ট দর্শকের হাতের নাগালে। ওদের সঙ্গে টক্কর দিতে গেলে আমাদেরও বৈচিত্র্য আনতে হবে। যেসব গল্প কখনো বলা হয়নি, সেগুলো বলতে হবে। কারণ, দর্শক তো কনটেন্ট দেখবেন, আপনার বাজেট কম ছিল কি না, কতটা প্রতিকূলতা নিয়ে বানিয়েছেন, সেটা ভাববেন না। তাই টক্কর দিতে আমাদের একটাই অস্ত্র, গল্প।’

অল্প বাজেটে বৈচিত্র্যময় কনটেন্ট তৈরি করাও ভিকি জাহেদের আরেকটি গুণ। এ সময়ের বেশির ভাগ দর্শক বিশ্বের নানা প্রান্তের কনটেন্ট দেখে অভ্যস্ত। দেশি কনটেন্ট দিয়ে তাঁদের কাছে কীভাবে পৌঁছানো যাবে, সেটা ভালোই জানেন ভিকি। তাই তাঁর কাজ তরুণদের কাছে এতটা আলোচিত হয়। বিষয়, অভিনবত্ব, চেনা অভিনেতাকে নতুন রূপে হাজির করাও তাঁর সাফল্যের আরেকটি কারণ হতে পারে।

মেহজাবীন চৌধুরী, আফরান নিশোদের মতো অভিনেতাদেরও তিনি নতুন করে চিনিয়েছেন। ‘পুনর্জন্ম’ সিরিজে নিশো অভিনীত চরিত্র ‘রাফসান’ হক তো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

অন্যদিকে ক্যারিয়ারজুড়েই নানা বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। এর মধ্যে রোমান্টিক চরিত্রই বেশি। রোমান্টিক ভাবমূর্তি ভুলিয়ে মেহজাবীনকে ভিন্ন রূপে হাজির করেন ভিকি জাহেদ।