তাজরীন ট্র্যাজেডির এক যুগ: ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের অপেক্ষায় ভুক্তভোগীরা
- আপডেট সময় : ১২:০৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে
আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনস ট্র্যাজেডির এক যুগ পরও মানবেতর জীবনযাপন করছেন আহত শ্রমিক ও নিহতের স্বজনরা। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, দেনদরবার, আবেদন, শ্রদ্ধা নিবেদন ও মিডিয়ার প্রতিবেদনেই আটকে আছে ভুক্তভোগীদের পরিণতি। তবে নতুন সরকারের কাছে নতুন করে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি শ্রমিক নেতাদের।
আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ছোট্ট একটি টঙ চা দোকান চালাচ্ছেন তাজরিন পোশাক কারখানায় আগুনের ঘটনায় আহত শ্রমিক ফাতেমা খাতুন। গুরুতর আহত স্বামী রবিন বেপারী গত বছর হৃদরোগে ভুগে মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরেছেন তিনি। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘আমি এ ছোট্ট চা দোকান দিয়ে টানাটানি করে সংসার চালাচ্ছি। আমার পাশে কেউ নাই। আমাকে দেখার মতন কেউ নাই। কিন্তু এ দোকানের আয় দিয়ে আমার সংসার চলে না।’
ফাতেমার মতো রেহেনা আক্তার ও মুক্তা রানীসহ তাজরিন ট্র্যাজিডিতে আহত প্রায় সব শ্রমিকের একই অবস্থা।
রেহেনা আক্তার ও মুক্তা রানী বলেন, ‘আজ ১২ বছর হলো, কেউ আমাদের খোঁজখবর রাখে না। শুধু বছর শেষ হলে মিডিয়ার ভাইয়েরা আমাদের খোঁজ করেন। তবু একটাই চাওয়া, আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই সঙ্গে আমাদের জীবনও যেন নতুন করে গড়ে ওঠে।’
ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং পুনর্বাসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানালেন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন চৌধুরী বলেন, ‘নতুন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হয়; খোঁজ-খবর নিয়ে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়।’
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘দেশে এখন নতুন সরকার। এখন দেলোয়ারসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করার একটা আশা আমরা করতে পারি।’
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ পোশাককর্মী প্রাণ হারান এবং আহত হন অন্তত দুই শতাধিক।