ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অপসারণের দাবি প্রসঙ্গে যা বললেন উপদেষ্টা ফারুকী রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছে, আর বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে’: হাসনাত উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য ‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যামামলা: বাদী বললেন জানেন না ‘ফ্যাসিস্টবিরোধীতার পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিত্ব করতে আসিনি’ মন্ত্রণালয় নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন ফারুকী মাহফুজ আলমকে দপ্তর দেওয়া হলো না কেন, জানালেন রিজওয়ানা হাসান বাজার থেকে উধাও হচ্ছে সয়াবিন তেল রাজধানীর সব বাস চলবে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে সবচেয়ে বড় মশকরা হচ্ছে ছাত্রদের সাথে: হাসনাত আবদুল্লাহ ‘মুজিব’ সিনেমায় তিশার অভিনয় নিয়ে সমালোচনা, মুখ খুললেন ফারুকী প্রবাসীরা বিমানবন্দরে অতিথির মতো সম্মান পাবেন: প্রধান উপদেষ্টা ‘গতি বাড়াতে’ উপদেষ্টা পরিষদের আকার বেড়েছে: রিজওয়ানা প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়াটা লোভনীয়, না বলাটা মুশকিল: ফারুকী উপদেষ্টা সেখ বশির বাণিজ্যে, ফারুকী সংস্কৃতিতে, স্থানীয় সরকারে এলেন সজীব ভূঁইয়া শপথ নিতে ডাক পেয়েছেন ডা. সায়েদুর, সেখ বশির, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও মাহফুজ আলম শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি করবে সরকার: আসিফ নজরুল উপদেষ্টা হচ্ছেন আরো ৫ জন, সন্ধ্যায় হতে পারে শপথ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি রাতেই জিরো পয়েন্ট দখলে নিল ছাত্র-জনতা

ড. ইউনূসকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে বললেন মাহমুদুর রহমান

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে চুপ্পুকে অপসারণ করুন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিন এবং জাতীয় সরকার গঠন করুন। এবিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রস্তাব দিন। রাজনৈতিক দলগুলো যখন ঐক্যবদ্ধ থাকবে তখন কোনো তৃতীয় ব্যক্তি ক্ষমতা নিতে পারবে না। আন্তর্জাতিকভাবে একটা মেসেজ যাবে যে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্র দিল্লি থেকে করে লাভ হবে না।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ইনকিলাব মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত ফ্যাসিবাদ উত্তর বাংলাদেশ সংবিধান প্রশ্ন : মুজিববাদ নাকি জনমুক্তি? ইনকিলাব মঞ্চের সংবিধান সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মাহমুদুর রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় সরকার গঠনে রাজি না হয় তাহলে আপনি এখনই বিপ্লবী সরকার গঠন করুন এবং আপনি প্রেসিডেন্ট হয়ে যান। রাজনৈতিক দলগুলো আসবে কি আসবে না সেটা জনগণ বিচার করবে। এরপরে আপনার মত করে একটা নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করে দিন। কতদিন পরে নির্বাচন দিবেন এবং নির্বাচন কমিশনকে কিভাবে সংস্কার করবেন সেটা করে দেন। প্রশাসন ও বিচার বিভাগ কিভাবে সংস্কার করবেন সেটা করে দেন। নির্বাচন কবে দিবেন সেটার একটা সময়ের ঘোষণা করে দেন। ঘোষণার পরে রাজনৈতিক দলগুলোকে বলে দেন তারা যাতে জাতীয় সরকারে শামিল হয় অথবা বিপ্লবী সরকার গঠন করুন।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানকে বাতিল করুন। পরবর্তী পার্লামেন্ট আসলে তারা বুঝবে সংবিধান কি হবে। আপনার সংবিধান লেখারও দরকার নাই, সংস্কারও করার প্রয়োজন নেই। জনগণ এটাতে রাজি আছেন কিনা মতামত নিয়ে নেন। জনগণ সবচেয়ে বড় বিষয়।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে, এতবড় একটা ‘জঙ্গি সংগঠন’ নিষিদ্ধ হয়েছে আর বিএনপি তাতে দুঃখিত হয়! বিএনপি বলে এই নিষিদ্ধ করা ঠিক হয় নাই। কারণ এই নিষিদ্ধ হলে নাকি পরে তাদেরকেও নিষিদ্ধ করা হবে। বিএনপির যে নেতারা এসব কথা বলেন তারা নিজেদেরকে এতো নিচে নামান কি করে? তারা মনে কি করে বিএনপি ছাত্রলীগের মতো একটা দানব হয়ে যাবে? নিজের দল সম্পর্কে এতো ক্ষুদ্র ধারণা বিএনপির নেতারা পোষণ করেন কি করে? তাদেরতো সাধুবাদ দেয়া উচিত ছিলো এই সরকারকে। এই সরকার যে কয়েকটি ভালো কাজ করেছে তার মধ্যে একটি হলো ‘জঙ্গি সংগঠন’ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা। এই নিষিদ্ধ করার জন্য দরকার ছিলো সব রাজনৈতিক দলকে একবাক্যে এই সরকারকে সাধুবাদ জানানো। কোন অধিকার বলে আপনারা সেই ভালো কাজটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান? শুধু বিএনপিকে না আমি জামায়াতকেও প্রশ্ন করতে চাই। কেন আপনারা মন খুলে সাধুবাদ জানান নাই সরকারকে এই কাজ করার জন্য? কোথায় আপনাদের আশংকা? আমি শহীদদের পক্ষ থেকে এর জবাব চাই আপনাদের কাছ থেকে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আপনারা বলেন যে এটা নিয়ম মেনে হয় নাই, সাংবিধানিকভাবে হয় নাই। এই বিপ্লব কী সংবিধান ধরে হয়েছে? পৃথিবীর কোন বিপ্লব সাংবিধানিকভাবে হয় নাই। আমরা কী ধরে নেবো ছাত্রলীগের হাতে বিএনপি অত্যাচারিত হয় নাই? যদি আপনারা অত্যাচারিত হতেন তাহলে আপনারা কিভাবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন?

হিন্দুদের উপর হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেখেন মাইনোরিটি কার্ড কিভাবে খেলা হচ্ছে। সাহস হয় কি করে ‘ইসকন’র মতো একটা সাম্রদায়িক এবং র’এর সংগঠন চট্টগ্রামে এতবড় সভা করে? ইসকনের মধ্যে দেখবেন সব ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুন্ডারা বসে আছে। আমি হিন্দু ভাইদের বলব এই ফাঁদে পারা দিবেন না। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকলে আপনারা বিপ্লবী সরকার হবেন আর ক্ষমতায় না থাকলে আপনারা মাইনোরিটি কার্ড খেলবেন এটা হতে পারে না। হিন্দুদের উপর কোনও আক্রমণ হয় নাই। আক্রমণ হয়েছে আওয়ামী লীগের উপরে। আপনি আওয়ামী লীগ করেছেন আপনার উপর আক্রমণ হয়েছে। যেকোনো বিপ্লবের পরেই হবে। আপনাকে হিন্দু হিসেবে আক্রমণ করা হয় নাই। কয়েকজন হিন্দুর বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে? এমন কি হিন্দু যারা আওয়ামী লীগ করে এমন কয়জনের বাসায় আক্রমণ করা হয়েছে? তার থেকে মুসলমান আওয়ামী লীগের বাসায় বেশি আক্রমণ করা হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারে গেছেন, দুটি রাস্তা আছে ‘আইদার ইউ রুল অর ইউ কুইট’। মাঝামাঝি আর কোনো রাস্তা নাই। আপনি ক্ষমতায় গেছেন, আপনাকে রুল করতে হবে। আর না হলে আপনাকে চলে যেতে হবে। রুল করা মানে হচ্ছে আপনারা রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করবেন, তাদেরকে আপনারা একমত করার চেষ্টা করবেন, তাদের সাথে দর কষাকষি করবেন; কিন্তু সিদ্ধান্ত আপনার। রাজনৈতিক দলকে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করতে দিবেন না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন, জামাতে ইসলামের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ডক্টর আব্দুল লতিফ মাসুম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ডক্টর শরিফুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আফজাল আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডক্টর নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ড. ইউনূসকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে বললেন মাহমুদুর রহমান

আপডেট সময় : ০৮:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

 

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে চুপ্পুকে অপসারণ করুন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিন এবং জাতীয় সরকার গঠন করুন। এবিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রস্তাব দিন। রাজনৈতিক দলগুলো যখন ঐক্যবদ্ধ থাকবে তখন কোনো তৃতীয় ব্যক্তি ক্ষমতা নিতে পারবে না। আন্তর্জাতিকভাবে একটা মেসেজ যাবে যে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্র দিল্লি থেকে করে লাভ হবে না।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ইনকিলাব মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত ফ্যাসিবাদ উত্তর বাংলাদেশ সংবিধান প্রশ্ন : মুজিববাদ নাকি জনমুক্তি? ইনকিলাব মঞ্চের সংবিধান সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মাহমুদুর রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় সরকার গঠনে রাজি না হয় তাহলে আপনি এখনই বিপ্লবী সরকার গঠন করুন এবং আপনি প্রেসিডেন্ট হয়ে যান। রাজনৈতিক দলগুলো আসবে কি আসবে না সেটা জনগণ বিচার করবে। এরপরে আপনার মত করে একটা নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করে দিন। কতদিন পরে নির্বাচন দিবেন এবং নির্বাচন কমিশনকে কিভাবে সংস্কার করবেন সেটা করে দেন। প্রশাসন ও বিচার বিভাগ কিভাবে সংস্কার করবেন সেটা করে দেন। নির্বাচন কবে দিবেন সেটার একটা সময়ের ঘোষণা করে দেন। ঘোষণার পরে রাজনৈতিক দলগুলোকে বলে দেন তারা যাতে জাতীয় সরকারে শামিল হয় অথবা বিপ্লবী সরকার গঠন করুন।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানকে বাতিল করুন। পরবর্তী পার্লামেন্ট আসলে তারা বুঝবে সংবিধান কি হবে। আপনার সংবিধান লেখারও দরকার নাই, সংস্কারও করার প্রয়োজন নেই। জনগণ এটাতে রাজি আছেন কিনা মতামত নিয়ে নেন। জনগণ সবচেয়ে বড় বিষয়।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে, এতবড় একটা ‘জঙ্গি সংগঠন’ নিষিদ্ধ হয়েছে আর বিএনপি তাতে দুঃখিত হয়! বিএনপি বলে এই নিষিদ্ধ করা ঠিক হয় নাই। কারণ এই নিষিদ্ধ হলে নাকি পরে তাদেরকেও নিষিদ্ধ করা হবে। বিএনপির যে নেতারা এসব কথা বলেন তারা নিজেদেরকে এতো নিচে নামান কি করে? তারা মনে কি করে বিএনপি ছাত্রলীগের মতো একটা দানব হয়ে যাবে? নিজের দল সম্পর্কে এতো ক্ষুদ্র ধারণা বিএনপির নেতারা পোষণ করেন কি করে? তাদেরতো সাধুবাদ দেয়া উচিত ছিলো এই সরকারকে। এই সরকার যে কয়েকটি ভালো কাজ করেছে তার মধ্যে একটি হলো ‘জঙ্গি সংগঠন’ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা। এই নিষিদ্ধ করার জন্য দরকার ছিলো সব রাজনৈতিক দলকে একবাক্যে এই সরকারকে সাধুবাদ জানানো। কোন অধিকার বলে আপনারা সেই ভালো কাজটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান? শুধু বিএনপিকে না আমি জামায়াতকেও প্রশ্ন করতে চাই। কেন আপনারা মন খুলে সাধুবাদ জানান নাই সরকারকে এই কাজ করার জন্য? কোথায় আপনাদের আশংকা? আমি শহীদদের পক্ষ থেকে এর জবাব চাই আপনাদের কাছ থেকে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আপনারা বলেন যে এটা নিয়ম মেনে হয় নাই, সাংবিধানিকভাবে হয় নাই। এই বিপ্লব কী সংবিধান ধরে হয়েছে? পৃথিবীর কোন বিপ্লব সাংবিধানিকভাবে হয় নাই। আমরা কী ধরে নেবো ছাত্রলীগের হাতে বিএনপি অত্যাচারিত হয় নাই? যদি আপনারা অত্যাচারিত হতেন তাহলে আপনারা কিভাবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন?

হিন্দুদের উপর হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেখেন মাইনোরিটি কার্ড কিভাবে খেলা হচ্ছে। সাহস হয় কি করে ‘ইসকন’র মতো একটা সাম্রদায়িক এবং র’এর সংগঠন চট্টগ্রামে এতবড় সভা করে? ইসকনের মধ্যে দেখবেন সব ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুন্ডারা বসে আছে। আমি হিন্দু ভাইদের বলব এই ফাঁদে পারা দিবেন না। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকলে আপনারা বিপ্লবী সরকার হবেন আর ক্ষমতায় না থাকলে আপনারা মাইনোরিটি কার্ড খেলবেন এটা হতে পারে না। হিন্দুদের উপর কোনও আক্রমণ হয় নাই। আক্রমণ হয়েছে আওয়ামী লীগের উপরে। আপনি আওয়ামী লীগ করেছেন আপনার উপর আক্রমণ হয়েছে। যেকোনো বিপ্লবের পরেই হবে। আপনাকে হিন্দু হিসেবে আক্রমণ করা হয় নাই। কয়েকজন হিন্দুর বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে? এমন কি হিন্দু যারা আওয়ামী লীগ করে এমন কয়জনের বাসায় আক্রমণ করা হয়েছে? তার থেকে মুসলমান আওয়ামী লীগের বাসায় বেশি আক্রমণ করা হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারে গেছেন, দুটি রাস্তা আছে ‘আইদার ইউ রুল অর ইউ কুইট’। মাঝামাঝি আর কোনো রাস্তা নাই। আপনি ক্ষমতায় গেছেন, আপনাকে রুল করতে হবে। আর না হলে আপনাকে চলে যেতে হবে। রুল করা মানে হচ্ছে আপনারা রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করবেন, তাদেরকে আপনারা একমত করার চেষ্টা করবেন, তাদের সাথে দর কষাকষি করবেন; কিন্তু সিদ্ধান্ত আপনার। রাজনৈতিক দলকে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করতে দিবেন না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন, জামাতে ইসলামের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ডক্টর আব্দুল লতিফ মাসুম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ডক্টর শরিফুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আফজাল আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডক্টর নজরুল ইসলাম প্রমুখ।