ঢাকা ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তিন দলই প্রধান উপদেষ্টার অধীনে নির্বাচন চায়: প্রেস সচিব টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া ছবিটি সম্পর্কে যা জানা গেল বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান ড. ইউনূস বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মোদির ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেসসচিব চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতে তোলপাড় ড. ইউনূসকে ঈদগাহের মুসল্লিরাঃ আপনি ৫ বছর দায়িত্বে থাকুন, এটাই দেশের মানুষের চাওয়া বাংলাদেশে বিশ্বমানের হাসপাতালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে বিপ্লবের সূচনা! খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের দাওয়াত দিলেন প্রধান উপদেষ্টা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান পররাষ্ট্র নীতিতে ড. ইউনূসের কাছে হেরে গেছেন নরেন্দ্র মোদী! ৩ এপ্রিলও ছুটির প্রস্তাব, মিলতে পারে ৯ দিনের ছুটি বউয়ের টিকটকেই ধরা সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ, ‘ক্লু’ ছিল গাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিনের পরিচয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবের পরিচয় শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে সব প্রমাণ সরকারের কাছে আছে জেলায় জেলায় সরকারি অর্থে ‘আওয়ামী পল্লি’

তসলিমার ‘চুম্বন’ প্রকাশকের জয় বাংলা স্লোগান, মব জাস্টিস উস্কে দেয়ার ভারতীয় প্ল্যান?

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 78
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

তসলিমা নাসরিন দেশের একজন সমালোচিত ও নিষিদ্ধ লেখিকা। তাকে নিয়ে এবার নতুন ষড়যন্ত্রে মেতেছে ভারত। নির্বাসিত তসলিমা বাংলাদেশে আসতে না পারলেও তার লেখা নিষিদ্ধ বই এবারের বই মেলাকে কলঙ্কিত করলো আরও একবার। আর এখানেই ছিলো ভারতের বিশেষ প্ল্যান। এমনটিই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তার লেখায় সব সময়ই প্রকাশ পায় ইসলাম বিদ্বেষ। বারবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে উলঙ্গ সব কবিতা-উপন্যাস লেখেন এই লেখক। বই মেলার একটি স্টলে তসলিমা নাসরিনের লেখা ‘চুম্বন’ নামের একটি বই পাওয়া যায়।

এই বইটিকে ঘিরেই মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। একদল শিক্ষার্থী সব্যসাচী নামের সেই স্টলে তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করা দেখে সেখানে ভিড় করেন। শতাব্দী ভব নামে আওয়ামী পন্থী একজন লেখক তখন সেখানেই বসে ছিলেন। তসলিমা নাসরীনের বই বিক্রি কেন করছেন শিক্ষার্থীরা জানতে চাইলে তাদেরকে জঙ্গী বলে আখ্যা দেন এ লেখক। একপর্যায়ে জয় বাংলা স্লোগান দেন তিনি আর এতেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। জয় বাংলা স্লোগান শুনে এ সময় দর্শনার্থীরাও ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘স্বৈরাচারের দালালেররা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। মূলত এখানেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। হঠাৎ করে বই মেলায় কেন নিষিদ্ধ তসলিমা নাসরিনের বই থাকবে? আবার সেখানে বসে থাকবেন একজন আওয়ামী পন্থী লেখক? বিষয়গুলো পরিকল্পিত। ছাত্র-জনতাকে উস্কে দেয়ার জন্যই এমন প্ল্যান করেছে ফেসিস্ট হাসিনা আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। যাতে করে বইমেলায় একটা বড় ধরণের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। আর এই মব তৈরির মাধ্যমে পুরো বইমেলাটি পন্ড হয়ে যায়।

 

হাসিনা ভারতে বসেই একের পর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে দেশকে ঘিরে। শিক্ষার্থীদের জঙ্গী বলে আখ্যা দেয়ার দুঃসাহসও দেখিয়েছে তাদের এই লেখক। এসব ভারতের ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলেই মনে করেন নেটিজেনরাও। সাইফুল ইসলাম নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, বই মেলায় নিষিদ্ধ তসলিমা নাসরিনের বই, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার নয়া পরিকল্পনা ভারতের। নাদিয়া নদী নামের একজন লিখেছেন, এত এত ষড়যন্ত্র ফেসিস্ট হাসিনা আর ভারতের, বইমেলাকেও ছাড়লো না তারা। যে তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে নতুন করে মব তৈরির পায়তারা করছে ভারত। সেই তসলিমাই ভারতে অপমানিত হয়েছে বারবার। তার বই এর মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে চেয়ার ছুড়ে মারার ঘটনাও ঘটেছে ভারতে। এই লেখিকা যে শুধু বাংলাদেশে নিষিদ্ধ তাও কিন্তু নয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও নিষিদ্ধ তিনি। যদিও ভারত তাকে ঠিকই আশ্রয় দিয়েছে। বর্তমানে এই লেখিকার অবস্থান ভারতের রাজধানী দিল্লিতে।

 

 

হাসিনা বিগত ১৬ বছরে কায়েম করেছিলো মব জাস্টিস। এটির জনক হাসিনা যখন যাকে যেভাবে ইচ্ছে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করতেন আবার গুমও করতেন। মেলা প্রাঙ্গনের ঘটনাটিও হাসিনা আর ভারতের ষড়যন্ত্র, এসব থেকে সাবধান হতে হবে আমজনতাকে এমনটিই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তসলিমার ‘চুম্বন’ প্রকাশকের জয় বাংলা স্লোগান, মব জাস্টিস উস্কে দেয়ার ভারতীয় প্ল্যান?

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

তসলিমা নাসরিন দেশের একজন সমালোচিত ও নিষিদ্ধ লেখিকা। তাকে নিয়ে এবার নতুন ষড়যন্ত্রে মেতেছে ভারত। নির্বাসিত তসলিমা বাংলাদেশে আসতে না পারলেও তার লেখা নিষিদ্ধ বই এবারের বই মেলাকে কলঙ্কিত করলো আরও একবার। আর এখানেই ছিলো ভারতের বিশেষ প্ল্যান। এমনটিই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তার লেখায় সব সময়ই প্রকাশ পায় ইসলাম বিদ্বেষ। বারবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে উলঙ্গ সব কবিতা-উপন্যাস লেখেন এই লেখক। বই মেলার একটি স্টলে তসলিমা নাসরিনের লেখা ‘চুম্বন’ নামের একটি বই পাওয়া যায়।

এই বইটিকে ঘিরেই মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। একদল শিক্ষার্থী সব্যসাচী নামের সেই স্টলে তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করা দেখে সেখানে ভিড় করেন। শতাব্দী ভব নামে আওয়ামী পন্থী একজন লেখক তখন সেখানেই বসে ছিলেন। তসলিমা নাসরীনের বই বিক্রি কেন করছেন শিক্ষার্থীরা জানতে চাইলে তাদেরকে জঙ্গী বলে আখ্যা দেন এ লেখক। একপর্যায়ে জয় বাংলা স্লোগান দেন তিনি আর এতেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। জয় বাংলা স্লোগান শুনে এ সময় দর্শনার্থীরাও ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘স্বৈরাচারের দালালেররা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। মূলত এখানেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। হঠাৎ করে বই মেলায় কেন নিষিদ্ধ তসলিমা নাসরিনের বই থাকবে? আবার সেখানে বসে থাকবেন একজন আওয়ামী পন্থী লেখক? বিষয়গুলো পরিকল্পিত। ছাত্র-জনতাকে উস্কে দেয়ার জন্যই এমন প্ল্যান করেছে ফেসিস্ট হাসিনা আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। যাতে করে বইমেলায় একটা বড় ধরণের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। আর এই মব তৈরির মাধ্যমে পুরো বইমেলাটি পন্ড হয়ে যায়।

 

হাসিনা ভারতে বসেই একের পর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে দেশকে ঘিরে। শিক্ষার্থীদের জঙ্গী বলে আখ্যা দেয়ার দুঃসাহসও দেখিয়েছে তাদের এই লেখক। এসব ভারতের ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলেই মনে করেন নেটিজেনরাও। সাইফুল ইসলাম নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, বই মেলায় নিষিদ্ধ তসলিমা নাসরিনের বই, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার নয়া পরিকল্পনা ভারতের। নাদিয়া নদী নামের একজন লিখেছেন, এত এত ষড়যন্ত্র ফেসিস্ট হাসিনা আর ভারতের, বইমেলাকেও ছাড়লো না তারা। যে তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে নতুন করে মব তৈরির পায়তারা করছে ভারত। সেই তসলিমাই ভারতে অপমানিত হয়েছে বারবার। তার বই এর মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে চেয়ার ছুড়ে মারার ঘটনাও ঘটেছে ভারতে। এই লেখিকা যে শুধু বাংলাদেশে নিষিদ্ধ তাও কিন্তু নয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও নিষিদ্ধ তিনি। যদিও ভারত তাকে ঠিকই আশ্রয় দিয়েছে। বর্তমানে এই লেখিকার অবস্থান ভারতের রাজধানী দিল্লিতে।

 

 

হাসিনা বিগত ১৬ বছরে কায়েম করেছিলো মব জাস্টিস। এটির জনক হাসিনা যখন যাকে যেভাবে ইচ্ছে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করতেন আবার গুমও করতেন। মেলা প্রাঙ্গনের ঘটনাটিও হাসিনা আর ভারতের ষড়যন্ত্র, এসব থেকে সাবধান হতে হবে আমজনতাকে এমনটিই মনে করেন বিশ্লেষকরা।