ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কিভাবে বাড়ছে বাংলাদেশের আয়তন? পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছেন পুতুল? চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত হবে নতুন বাংলাদেশ! সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক : প্রেসসচিব অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন: সাংবাদিকদের নামে মামলা নতুন অডিও ফাঁস : কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার

ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত টিকটকার মামুন

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 52
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অপর টিকটকরার লায়লাকে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। মামুনকে এ মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানা গেছে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান তদন্ত শেষে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরে সেটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন লায়লা। মামলার পরদিন তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শুনানি শেষে জামিন ও রিমান্ড উভয় নামঞ্জুর করে এ টিকটকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এরপর গত ১ জুলাই জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে জামিনেই আছেন আলোচিত এই টিকটকার।
তদন্তে যা পাওয়া গেছে, প্রিন্স মামুন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে একজন টিকটকার হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে বাদি লায়লা ফেসবুকে বেশ পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। স্বামীর সাথে বনিবনা না থাকায় ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মামুনের সাথে পরিচয় হয় লায়লার। পরে একপর্যায়ে লায়লার সাথে মিডিয়াতে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন টিকটকার মামুন।
এরপর ২০২২ সালের শুরুর দিকে এক সাথে পথচলা শুরু করেন মামুন ও লায়লা। পরবর্বীতে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, যা পাকাপোক্ত করার জন্য দু’জনই এক সাথে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। সম্পর্ক ঘনিভূত হওয়ার কারণে আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করতে থাকেন মামুন। এরপর বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করতে থাকেন। আর একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করেন।
এর আগে মামলার অভিযোগে লায়লা বলেন, প্রিন্স মামুনের সাথে আমার গত তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায় তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেই।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সাথে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সাথে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার আমার সাথে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করেন। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করতেন।
সর্বশেষ ১৪ মার্চ মামুন আমার শয়ন কক্ষে আগের মতো আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত টিকটকার মামুন

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অপর টিকটকরার লায়লাকে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। মামুনকে এ মামলায় অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানা গেছে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান তদন্ত শেষে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরে সেটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ পাঠানো হয়।
এর আগে গত ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন লায়লা। মামলার পরদিন তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শুনানি শেষে জামিন ও রিমান্ড উভয় নামঞ্জুর করে এ টিকটকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এরপর গত ১ জুলাই জামিনে মুক্তি পান তিনি। বর্তমানে জামিনেই আছেন আলোচিত এই টিকটকার।
তদন্তে যা পাওয়া গেছে, প্রিন্স মামুন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে একজন টিকটকার হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে বাদি লায়লা ফেসবুকে বেশ পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। স্বামীর সাথে বনিবনা না থাকায় ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মামুনের সাথে পরিচয় হয় লায়লার। পরে একপর্যায়ে লায়লার সাথে মিডিয়াতে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন টিকটকার মামুন।
এরপর ২০২২ সালের শুরুর দিকে এক সাথে পথচলা শুরু করেন মামুন ও লায়লা। পরবর্বীতে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, যা পাকাপোক্ত করার জন্য দু’জনই এক সাথে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। সম্পর্ক ঘনিভূত হওয়ার কারণে আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করতে থাকেন মামুন। এরপর বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করতে থাকেন। আর একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করেন।
এর আগে মামলার অভিযোগে লায়লা বলেন, প্রিন্স মামুনের সাথে আমার গত তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায় তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেই।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সাথে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সাথে একই রুমে থাকতে শুরু করেন। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার আমার সাথে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করেন। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতেন। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করতেন।
সর্বশেষ ১৪ মার্চ মামুন আমার শয়ন কক্ষে আগের মতো আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে।