ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
কিভাবে বাড়ছে বাংলাদেশের আয়তন? পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছেন পুতুল? চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত হবে নতুন বাংলাদেশ! সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক : প্রেসসচিব অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন: সাংবাদিকদের নামে মামলা নতুন অডিও ফাঁস : কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব শেখ হাসিনার বিচার করা: শফিকুল আলম পুতুলকে ডব্লিউএইচও থেকে অপসারণে অনলাইনে স্বাক্ষর জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জনসাধারণের অভিমত চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শাপলা চত্বরে হেফাজত দমন : অপারেশন ফ্ল্যাশ আউট বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার

নতুন সংবিধান বা আমূল পরিবর্তনের জন্য নির্বাচিত সংসদই শ্রেয়: মির্জা ফখরুল

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৯:০০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 100
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সংবিধানের আমূল পরিবর্তন বা নতুন সংবিধানের জন্য জনগণের নির্বাচিত সংসদকেই শ্রেয় বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার জন্য উচিত ছিল বিপ্লবী সরকার করা। সেটি হয়নি।

শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবিধানের আমূল পরিবর্তনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কোনো কিছুই অসম্ভব নয়, তবে বিষয়টি কঠিন। এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের (অন্তর্বর্তী সরকার) উচিত ছিল বিপ্লবী সরকার করা। এই সংবিধানের অধীনে শপথ না নেওয়া। সেটা তো হয়নি। সংবিধানের অধীনেই তো শপথ নিয়েছে। তাহলে ওই জিনিসটাকে (বর্তমান সংবিধান) সামনে রেখে সেভাবে (সংশোধন) করতে হবে। আমরা নিজেরাই দল থেকে উদ্যোগ নিচ্ছি, সংবিধানের কী কী পরিবর্তন হতে পারে, সেই কাজ শুরু করেছি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিটির উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এরা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত উঁচু দরের বিশেষজ্ঞ। তারা খুবই ভালো করবেন। কিন্তু তার সঙ্গে মানুষের চাওয়াটাকে নিতে হবে।

অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়ে অন্তর্বর্তী সরকার, এই সরকারের মেয়াদ, সংবিধান সংশোধনসহ এই সরকারের সংস্কার কার্যক্রম, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের ঘটনাসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মির্জা ফখরুল।

সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য হচ্ছে, সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে আগে মানুষের কাছে যেতে হবে, তারা কীভাবে সংবিধানের পরিবর্তনটা চায়…। আরেকটা বিষয় আছে, আমি-আপনি-আমরা কয়েকজন এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ) মিলে করে দিলাম, সেটা একটা। কিন্তু সংবিধানের আমূল পরিবর্তন বা নতুন সংবিধান- এটা করতে হলে আপনাকে গণপরিষদ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনমতের বিষয়টি তো আছেই, তারপরে আইনগত দিকগুলোও দেখতে হবে।’

সংবিধানের আমূল পরিবর্তনের জন্য জনগণের ‘ম্যান্ডেট’কে (সমর্থন) সবচেয়ে নিরাপদ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমি যে কথাটা শুরু থেকেই বলেছিলাম, নির্বাচনটা হোক। একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার-নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন- এগুলো সংস্কার করে নির্বাচনটা করে সেখানে আপনি সবকিছু করতে পারবেন। সংসদে প্রয়োজনীয় সব পরিবর্তন করতে পারেন। সবচেয়ে নিরাপদ হবে, জনগণের ম্যান্ডেটটা নিয়ে যদি আমূল পরিবর্তন করতে চান।’

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনাকে আমি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। এর সঙ্গে শূন্যতার সুযোগ নেওয়া, ভূরাজনীতি-অনেক কিছু জড়িত আছে। সুতরাং এটাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখে এখনই কোনো মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। তবে আমি মনে করি, এটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের রাজনীতি এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার একটা অংশ। প্রতি বিপ্লব ঘটানোর প্রক্রিয়ায় বিপ্লবের সুফলকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, একটা বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা।

‘অন্যদিকে শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যে সমস্ত কথা বলছেন, এটা কতটুকু সত্য-মিথ্যা আমি জানি না। কিন্তু সেই কথাগুলো একটা প্রভাব তৈরি করছে। সব মিলিয়ে বিষয়গুলো খুব স্বস্তিদায়ক নয়। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। সেই সঙ্গে আমার কাছে মনে হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীলদের রাজনৈতিক সমস্যাগুলো হ্যান্ডেল করার অভিজ্ঞতার অভাব আছে। তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে, তাতে আরও সমস্যা হচ্ছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নতুন সংবিধান বা আমূল পরিবর্তনের জন্য নির্বাচিত সংসদই শ্রেয়: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৯:০০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সংবিধানের আমূল পরিবর্তন বা নতুন সংবিধানের জন্য জনগণের নির্বাচিত সংসদকেই শ্রেয় বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার জন্য উচিত ছিল বিপ্লবী সরকার করা। সেটি হয়নি।

শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবিধানের আমূল পরিবর্তনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কোনো কিছুই অসম্ভব নয়, তবে বিষয়টি কঠিন। এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের (অন্তর্বর্তী সরকার) উচিত ছিল বিপ্লবী সরকার করা। এই সংবিধানের অধীনে শপথ না নেওয়া। সেটা তো হয়নি। সংবিধানের অধীনেই তো শপথ নিয়েছে। তাহলে ওই জিনিসটাকে (বর্তমান সংবিধান) সামনে রেখে সেভাবে (সংশোধন) করতে হবে। আমরা নিজেরাই দল থেকে উদ্যোগ নিচ্ছি, সংবিধানের কী কী পরিবর্তন হতে পারে, সেই কাজ শুরু করেছি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিটির উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এরা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত উঁচু দরের বিশেষজ্ঞ। তারা খুবই ভালো করবেন। কিন্তু তার সঙ্গে মানুষের চাওয়াটাকে নিতে হবে।

অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়ে অন্তর্বর্তী সরকার, এই সরকারের মেয়াদ, সংবিধান সংশোধনসহ এই সরকারের সংস্কার কার্যক্রম, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের ঘটনাসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মির্জা ফখরুল।

সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য হচ্ছে, সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে আগে মানুষের কাছে যেতে হবে, তারা কীভাবে সংবিধানের পরিবর্তনটা চায়…। আরেকটা বিষয় আছে, আমি-আপনি-আমরা কয়েকজন এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ) মিলে করে দিলাম, সেটা একটা। কিন্তু সংবিধানের আমূল পরিবর্তন বা নতুন সংবিধান- এটা করতে হলে আপনাকে গণপরিষদ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনমতের বিষয়টি তো আছেই, তারপরে আইনগত দিকগুলোও দেখতে হবে।’

সংবিধানের আমূল পরিবর্তনের জন্য জনগণের ‘ম্যান্ডেট’কে (সমর্থন) সবচেয়ে নিরাপদ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আমি যে কথাটা শুরু থেকেই বলেছিলাম, নির্বাচনটা হোক। একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার-নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন- এগুলো সংস্কার করে নির্বাচনটা করে সেখানে আপনি সবকিছু করতে পারবেন। সংসদে প্রয়োজনীয় সব পরিবর্তন করতে পারেন। সবচেয়ে নিরাপদ হবে, জনগণের ম্যান্ডেটটা নিয়ে যদি আমূল পরিবর্তন করতে চান।’

খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনাকে আমি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। এর সঙ্গে শূন্যতার সুযোগ নেওয়া, ভূরাজনীতি-অনেক কিছু জড়িত আছে। সুতরাং এটাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখে এখনই কোনো মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। তবে আমি মনে করি, এটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের রাজনীতি এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার একটা অংশ। প্রতি বিপ্লব ঘটানোর প্রক্রিয়ায় বিপ্লবের সুফলকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, একটা বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা।

‘অন্যদিকে শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যে সমস্ত কথা বলছেন, এটা কতটুকু সত্য-মিথ্যা আমি জানি না। কিন্তু সেই কথাগুলো একটা প্রভাব তৈরি করছে। সব মিলিয়ে বিষয়গুলো খুব স্বস্তিদায়ক নয়। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। সেই সঙ্গে আমার কাছে মনে হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীলদের রাজনৈতিক সমস্যাগুলো হ্যান্ডেল করার অভিজ্ঞতার অভাব আছে। তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে, তাতে আরও সমস্যা হচ্ছে।’