পদকের ঊর্ধ্বে বন্ধুত্বের বিজয়

- আপডেট সময় : ০৫:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 35
কাজ করলে স্বীকৃতি, পদক কিংবা অর্থ মিলবেই। মেহেদী হাসান খান একুশে পদকে ভূষিত হয়ে একা পদক গ্রহণ করতে রাজি হননি। কেন? তার সঙ্গে আরও তিনবন্ধু শুরু থেকেই অভ্র’র জন্য কাজ করেছেন। মেহেদী হাসান একবারও বলেননি যে তার বন্ধুদেরও পদক দিতে হবে। শুধু জানিয়েছেন, তিনি একা অভ্র’র নির্মাতা হিসেবে পদক গ্রহণে অপারগ। কেননা তিনি এই প্ল্যাটফর্মটি এককভাবে তৈরি করেননি।
মেহেদী হাসানের যে তিন বন্ধুকে সরকার মেহেদী হাসানের সাথে যৌথভাবে পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই বন্ধুদের কাছে কোন পদকটি শ্রেষ্ঠ? একুশে পদক? না, একদমই না। একবারও না। তারা মেহেদী হাসানের মত একজন বন্ধু পেয়েছে- এটাই একজীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, বিশাল পদক। এর থেকে বড় পুরস্কার আর হয় না। কিছুতেই হয় না।
বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে অন্য সকলের অবদান অস্বীকার করে যখন সব ক্রেডিট একা নেওয়ার রেওয়াজ চালু- সেখানে মেহেদী হাসান খানরা অল্প সংখ্যায় ব্যতিক্রম! বন্ধুত্ব এভাবেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। চাইলেই তিনি একা এসে পদক গ্রহণ করে সব বাহবা নিতে পারতেন। কে আটকাতো তাকে? তিনি সেই স্বার্থপরতাটুকু দেখাননি! যাদের অবদানে বাংলা লেখার প্ল্যাটফর্ম সারাবিশ্বের সব বাঙালির কাছে ছড়িয়েছে সেই কারিগরদের কাউকেই ভোলেননি। এই কৃতজ্ঞতাই খান সাহেবকে কত বড় করেছে, তা আগামীর প্রজন্ম মূল্যায়ন করবে। এমন বন্ধুত্ব অনন্ত অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
সরকারকেও বিশেষ ধন্যবাদ। যৌথভাবে পদকটি দেওয়ার জন্য। পদক প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার যে বিষয়গুলো আমলে নিয়েছে তা জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে যথেষ্ট প্রভাব রাখবে। নতুন বাংলাদেশের চিত্র দৃশ্যমান। দলান্ধতার ঊর্ধ্বে এই স্বীকৃতি- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে প্রশংসিত করেছে। আরও মেহেদী হাসানদের জন্মের জন্য কাজের স্বীকৃতির সংস্কৃতি ভূমিকা রাখবে। এমন বাংলাদেশের স্বপ্নেই তো বিভোর থাকতাম। যেখানে বন্ধুত্ব হবে সবকিছুর ঊর্ধ্বের বিবেচ্য। স্যালুট অভ্র’র স্রষ্টাদের। ধন্যবাদ মেধাবীদেরকে মূল্যায়নের সরকারকে।
বাংলা ভাষা হোক সবার জন্য উম্মুক্ত।